১৯৬৭ সালের ভারতের সাধারণ নির্বাচন ৪র্থ লোকসভার সদস্যদের নির্বাচন করতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৭র থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি ভোটদান হওয়া এই নির্বাচনটিতে ৫২০টি একজনের সদস্যের আসনে ভারতর ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলকে প্রতিনিধিত্ব করেছিল। বিগত নির্বাচন থেকে আসনের সংখ্যা ২টি বৃদ্ধি পেয়েছিল।[১]ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ৫৪% আসন লাভ করে একেবারে চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল;অন্যদিকে, অন্যরাজনৈতিক দলগুলোর ১০%এর বেশি আসন বা ভোট লাভ করা ছিল না। জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে পূর্বর তিনটি লোকসভার নির্বাচনে কংগ্রেস লাভ করা ফলের তুলনায় এই নির্বাচনে কংগ্রেসে লাভ করা ফল লক্ষণীয়ভাবে নিম্নস্তরের ছিল। ১৯৬৭তে ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশর হার নিম্ন ছিল। ৩য় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (১৯৬১-৬৬) বার্ষিক বিকাশর লক্ষ্য ছিল ৫.৬%। কিন্তু প্রকৃত বিকাশর হার ছিল মাত্র ২.৪%। ১৯৬৫র ভারত-পাক যুদ্ধ লালবাহাদুর শাস্ত্রী সরকারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল। কিন্তু এর আগের ১৯৬২র ভারত-চীন যুদ্ধকে ধরে এই যুদ্ধ অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। কংগ্রেসের মধ্যে আভ্যন্তরীণ বিবাদ দেখা দিয়েছিল। নেহরু ও শাস্ত্রীর মতো দু'জন জনপ্রিয় নেতার মৃত্যু হয়েছিল। শাস্ত্রীর মৃত্যুর পরে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের নেতৃত্ব লাভ করেছিল যদিও অন্য একজন প্রধানমন্ত্রীর পদ প্রয়াসী মোরারজী দেশাইর সাথে সংঘাত তুঙ্গে উঠেছিল।[২]
কংগ্রেসের ক্রমহ্রাসমান জনপ্রিয়তা রাজ্যর বিধানসভার নির্বাচনেও প্রতিফলিত হয়েছিল। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেস ৬টিরাজ্যে ক্ষমতা হারাবার মতো হয়েছিল। গান্ধীর সাথে কংগ্রেসর দলীয় নেতৃবৃন্দের মতবিরোধ হয়েছিল ও এর ফলে ১৯৬৯ত কংগ্রেস দল দুইভাগে বিভক্ত হয়েছিল।[২]