দ্রৌপদী মুর্মু (সাঁওতালি: ᱫᱨᱚᱣᱯᱚᱫᱤ ᱢᱩᱨᱢᱩ; জন্ম: ২০ জুন ১৯৫৮) হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং প্রাক্তন শিক্ষক। তিনি ২০২২ সাল থেকে ভারতের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণকারী প্রথম রাষ্ট্রপতি।[১][২] একই সাথে তিনি প্রথম তফসিলি উপজাতির অন্তর্গত ব্যক্তি, যিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে মনোনীত হন।
পূর্বে তিনি ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের ৮ তম রাজ্যপাল হিসাবে, ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রায়রাংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ওড়িশা বিধানসভার সদস্য হিসাবে এবং ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওড়িশা সরকারের প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে, তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যের সেচ ও বিদ্যুৎ বিভাগে কেরানি হিসেবে কাজ করেন এবং তারপর ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত রায়রাংপুরে একজন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশারময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে বিরাঞ্চি নারায়ণ টুডুর কাছে একটি সাঁওতালি উপজাতি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪] তার বাবা এবং দাদা উভয়েই পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থার অধীনে গ্রামের প্রধান ছিলেন।[৫]
দ্রৌপদী মুর্মু শ্যাম চরণ মুর্মূকে বিবাহ করেছিলেন। এই দম্পতির দুটি ছেলে ছিল যারা উভয়ই মারা গেছে এবং একটি মেয়ে আছে।[৬]
কর্মজীবন
শিক্ষকতা পেশা
রাজ্য রাজনীতিতে আসার আগে মুর্মু একজন স্কুল শিক্ষক হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, রায়রঙ্গপুর এর একজন সহকারী অধ্যাপক এবং ওড়িশা সরকারের সেচ বিভাগে জুনিয়র সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন।[৭]
রাজ্য রাজনীতি
মুর্মু ১৯৯৭ সালে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন এবং রায়রঙ্গপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি তফসিলি উপজাতি মোর্চার জাতীয় সহ-সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন।
ওড়িশায় ভারতীয় জনতা পার্টি এবং বিজু জনতা দলের জোট সরকারের সময়, তিনি ৬ মার্চ, ২০০০ থেকে ৬ আগস্ট, ২০০২ পর্যন্ত বাণিজ্য ও পরিবহণ এবং ৬ আগস্ট, ২০০২ থেকে ১৬ মে ২০০৪ পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়নের স্বাধীন দায়িত্বের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।[৮] তিনি ওড়িশার প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ২০০৪ এবং ২০০৪ সালে রায়রঙ্গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের একজন বিধায়ক।[৯] ২০০৭ সালে ওড়িশা বিধানসভা দ্বারা তিনি সেরা বিধায়কের জন্য নীলকণ্ঠ পুরস্কারে ভূষিত হন।
গভর্নরশিপ
তিনি ছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল।[১০][১১] তিনি ওড়িশা থেকে প্রথম মহিলা আদিবাসী নেত্রী যিনি ভারতীয় রাজ্যের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন।
↑"Smt. Droupadi Murmu"। Odisha Helpline। ৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑"Governor reaches out"। Hindustan। Ranchi। ৪ এপ্রিল ২০১৮।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑"Who is Draupadi Murmu?"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৬-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-২২।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑"Draupadi Murmu Jharkhand Guv"। New Indian Express। ২০১৫-০৫-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-১৩।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)