ভারতের নারীবাদী দল (ভারতীয় স্ত্রীবাদী প্রাশ নামেও পরিচিত) ভারতের একটি রাজনৈতিক দল। এর মূল বিষয় হচ্ছে নারীমুক্তি। ভারতীয় নারীবাদী দল ৩১ অক্টোবর, ২০০৩ সালে মুম্বাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই দলটি ভারতে পুরুষ-অধ্যুষিত রাজনীতির ক্ষেত্রকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত। ভারতীয় নারীবাদী দলের সভাপতি হলেন বর্ষা কালে।[১] এবং সাধারণ সম্পাদক হলেন অভিশা কুলকার্নি।
দলটি নিজেকে 'নারীবাদী' বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ তারা 'নারীবাদী' শব্দটিকে ভারতে উচ্চ-শ্রেণীর অর্থ বহন করে বলে মনে করে। এই দলের মূল ধারণাটি হল মহিলাদের আরও স্বায়ত্তশাসিত করা এবং স্থানীয় সংস্থা, বিধানসভা এবং সংসদে তাদের 'স্বামী রাজ' থেকে মুক্ত করা। লিঙ্গ সমতার মূলনীতির উপর ভিত্তি করে একটি ন্যায়সঙ্গত শাসন কাঠামো তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এই দল ভারতের জাতীয় সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্য নিয়েছে। এই দলটি ভারতীয় জাতীয় রাজনীতির সাধারণ নির্বাচনে ২৮৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্য নিয়েছে তারা, যা লোকসভার মোট আসনের ঠিক অর্ধেক, যা ইঙ্গিত দেয় যে সরকারী কাঠামোকে অবশ্যই প্রতিনিধিত্বমূলক হতে হবে।
ভারতীয় দলীয় রাজনীতিতে নারীর কম প্রতিনিধিত্বের প্রেক্ষাপটে এই নারীবাদী দলটি একটি ব্যাখ্যা-উপযোগী নারীবাদী প্রাতিষ্ঠানিকতা উপস্থাপন করে। ভারতের নারীবাদী দল পুরুষ-অধ্যুষিত ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বদ্ধপরিকর। ভারতের নারীবাদী দলটি ভারতীয় মহিলাদের ইস্যুগুলিকে উপেক্ষা করা কঠিন করে তুলছে এবং এর কর্মসূচি হল ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে মহিলাদের জন্য প্রায় ৫০% সংরক্ষণকে লাগু করা। [১]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ