বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প কৌশলগতভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং বাংলাদেশে একটি বড় নিয়োগকারী। বাংলাদেশ সরকার সক্রিয়ভাবে তার সামরিক ও নিরাপত্তা সক্ষমতা উন্নত করতে চাইছে এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বাজেটে পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি করেছে।[১]
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ডিফেন্স প্রকিউরমেন্ট (DGDP) প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় এবং সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী সহ বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীর ক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করে। নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং পরিষেবাগুলোর জন্য দরপত্রসমূহ শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক দরদাতাদের জন্য খোলা থাকে। কম মূল্য মার্কিন দরদাতাদের জন্য একটি সমস্যা, বিশেষ করে আঞ্চলিকভাবে সংগ্রহ করা যেতে পারে এমন পণ্যগুলোর জন্য।[১][২] ২০০২ সালে, চীন এবং বাংলাদেশ একটি "প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি" স্বাক্ষর করে যাতে সামরিক প্রশিক্ষণ এবং প্রতিরক্ষা উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। [৩]
ভবিষ্যত আধুনিকীকরণ পরিকল্পনা
বাংলাদেশ তার সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ফোর্সেস গোল ২০৩০ নামে একটি দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকীকরণ পরিকল্পনা করেছে। পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সমস্ত সরঞ্জাম ও অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ এবং উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান।[৪]
সামরিক বাজেট
বিদায়ী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৪৮.৪২ বিলিয়ন টাকা ($৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রস্তাব করা হয়েছিল।[৫]
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী - $১.৯৭ বিলিয়ন (৳১৬৮১৭ কোটি)
বাংলাদেশ নৌবাহিনী - $৭৪২.৭৮ মিলিয়ন (৳৬৩৩০ কোটি)
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী - $৪৭৪.৩ মিলিয়ন (৳৫৫৬.৫৬ কোটি)