বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন ১৮৮৫ হল বঙ্গ সরকারের একটি আইন যা ব্যাপক কৃষক বিদ্রোহের প্রতিক্রিয়ায় জমিদার প্রভু এবং তাদের প্রজাদের অধিকারকে সংজ্ঞায়িত করেছিল।[১][২]
১৭৯৩ সালের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত জমিদারদের নিরঙ্কুশ অধিকার দিয়েছিল, যারা বংশগত জমির মালিক ছিলেন এবং এইভাবে শাসন করতেন, কিন্তু প্রজাদের অধিকার সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। সময়ের সাথে সাথে ঊনবিংশ শতাব্দীতে জমির চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং প্রভুরা খাজনা ও জমির রাজস্ব বৃদ্ধি করে। রায়ত (প্রজা) প্রথাগত হারের বাইরে জমিদারি খাজনা বৃদ্ধি গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।
এই সময়কালেও কম জমিদার আভিজাত্যের (চৌধুরী এবং তালুকদার) উত্থান দেখা যায়, যাদের অস্তিত্ব স্থায়ী বন্দোবস্ত আইনের অধীনে পড়েনি। মধ্যস্বত্বরা, যেমন তাদের বলা হত (আক্ষরিক অর্থে সাবিনফ্যুডেশন), প্রভুদের মতো উত্তরাধিকারের মাধ্যমে নয়, ক্রয়ের মাধ্যমে তাদের অধিকার পেয়েছিল। সরকার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৮৫৯ সালে ভাড়া আইন প্রণয়ন হলেও মাধ্যমে এই শ্রেণীর সমস্যা রয়ে গেল।
পাবনায় এর মতো বিদ্রোহ ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি করেছিল[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের ভাড়া কমিশন তাই ১৮৮৫ সালের তৃতীয় আইন প্রণয়ন করে।