বঙ্গবন্ধু সড়ক বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের একটি রাস্তা। এই রাস্তাকে সংক্ষেপে বিবি রোড নামেও উল্লেখ করা হয়।[১] এই রাস্তার দৈর্ঘ্য ১.৫ কিমি। এটি নারায়ণঞ্জের ব্যস্ততম রাস্তা।[২] এটি শহরের চাষাড়া ও নিতাইগঞ্জ চত্বরের সাথে যুক্ত।[৩]
ইতিহাস
১৯৫৯ সালের আগে এই রাস্তা তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিলো। চাষাড়া থেকে ২ নম্বর গেট পর্যন্ত রাস্তার উত্তর অংশ নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যানের নামানুসারে ১৯২২ সালে ডেলিসলে রোড নামকরণ করা হয়। পরবর্তী অংশটি গেট নং ২ থেকে থেকে মন্ডলপাড়া পুল পর্যন্ত ছিলো যা পরবর্তী চেয়ারম্যানের নামানুসারে সিরকোর রোড নামকরণ করা হয়। রাস্তার শেষ অংশটি মন্ডলপাড়া পুল থেকে দক্ষিণে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত যার নাম ওয়েস্টার্ন রোড ছিলো। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বারো বছর পর ও আইয়ুব খানের রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রথম বার্ষিকীতে পৌর কর্তৃপক্ষ তিনটি রাস্তাকে একত্রিত করে এবং পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর নামানুসারে এটিকে কায়েদে আজম রোড নামকরণ করে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের নামে রাস্তাটির নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু সড়ক রাখা হয়।[৩]
সমস্যা
এই রাস্তার দুই পাশে হকাররা পণ্য বিক্রি করায় রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হতো।[৪] ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ সালে শহরের পুলিশ সুপার রাস্তাটিকে হকারমুক্ত রাস্তা ঘোষণা করে রাস্তার উভয় পাশে হকারদের পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করেন।[৫] ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ হকারদের রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করতে গেলে তাদের সঙ্গে রাজনীতিবিদ শামীম ওসমানের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে হকার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিভিন্ন চেষ্টা করা হলেও সেগুলো ব্যর্থ হয়।[৬] বঙ্গবন্ধু সড়কের দুই পাশে নির্মিত অধিকাংশ বিপণিবিতানে পার্কিং সুবিধা না থাকায় রাস্তার দুই পাশে গাড়ি রাখা হয়ে থাকে, ফলে যানজট বেড়ে যায়।[২] বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই বঙ্গবন্ধু সড়ক প্লাবিত হয়ে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি করে।[৭]
তথ্যসূত্র