ফরহাদ রেজা (জন্ম: ১৬ জুন, ১৯৮৬) রাজশাহী বিভাগে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জুলাই ২০০৬ সালে তার একদিনের আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক খেলায় অর্ধ-শতক করার গৌরব অর্জন করেন। তিনি ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলাররূপে পরিচিত। তিনি ঘরোয়া ক্রিকেট ২০০৪ সাল থেকে রাজশাহী বিভাগের হয়ে খেলে থাকেন। প্রাথমিকভাবে রেজাকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি কিন্তু পরবর্তীতে তাপস বৈশ্যের ইনজুরি কারণে তাকে স্কোয়াডে রাখা হয়। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগ খেলার কারণে মাত্র ২২ বছর বয়সে সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। পরবর্তীতে তিনি পুনরায় খেলার মাঠে ফিরে আসেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
জুলাই ২০০৬ সালে বাংলাদেশের ঘরোয়া খেলায় সর্ব্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে ২০০৫-০৬ মৌসুম সফলতার সাথে শেষ করেন। জিম্বাবুয়ে এবং কেনিয়া সফরের জন্য ১৫ দলের সদস্য তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর প্রধান নির্বাচক রেজা এবং সাকিবকে অলরাউন্ড ক্রিকেটের জন্য মুল স্কোয়াডে রাখেন এবং বলেন আমরা সর্ব্বোচ্চ আশাবাদী যে তাদের এখনই সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভাল কিছু করার।[১] রেজার একদিনের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ৩০ জুলাই ২০০৬ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। যখন তিনি ক্রিজে এসেছিলেন তখন ৭৩ রানে ৪ উইকেটের পতন হয় কিন্তু এই কঠিন সময়ে এসেও তিনি মাত্র ৫৭ বলে ৫০ রানের এক অসাধারণ ইনিংস উপহার দেন এবং উক্ত খেলায় বাংলাদেশ ৬২ রানে জয়লাভ করে।[২] রেজা সিরিজের শেষ চারটি ম্যাচ খেলে ৩১.৬৬ এভারেজ বোলিং এভারেজ ৬০.৫০।[৩] তিনি তার প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক উইকেট নেন জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজার।[৪]
বাংলাদেশের কেনিয়া সফরে প্রথম তিন ম্যাচ সিরিজে ৩-০ ব্যবধান সিরিজ জেতে এবং এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম সিরিজ জয়। শেষ ওডিআইতে রেজা অপরাজিত ৪১ রানে বাংলাদেশ দল সহজেই জয়ের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল।[৫] সাথে ছিল ৯০ রান ৩ ইনিংসে এবং রেজা ছিলেন সিরিজের সর্ব্বোচ্চ রান সংগ্রকারী।[৬] রেজার উজ্জল সম্ভাবনাময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মধ্যবর্তী কন্ট্রাক্টে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ সালে পুরষ্কৃত করা হয়।[৭] মার্চ ২০০৮ আয়ারল্যান্ড ৩টি ওডিআই সিরিজের জন্য বাংলাদেশ সফরে আসে। দ্বিতীয় ম্যাচে রেজা তার প্রথম ৫ উইকেট ক্লাবে প্রবেশ করেন এবং বাংলাদেশ দলকে জয়ের জন্য সাহায্য করেন।[৮]
১৩ এপ্রিল, ২০১৪ তারিখে ঘরোয়া ক্রিকেটে চট্টগ্রাম বিভাগের বিরুদ্ধে রাজশাহীর হয়ে খেলার সময় তিনি তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান (২৫৯) করেন। এরফলে তিনি তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের পূর্বতন সর্বোচ্চ ১৭৭ রানের রেকর্ড ভঙ্গ করেন।[৯]