ডাঃ প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় (১৭ অক্টোবর ১৯৩৩ - ১৭ মে ২০১৮) ছিলেন একজন খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। ভারত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জাতীয় ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর উপদেষ্টা সমিতির অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।[১][২]
প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ১৭ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বিহার রাজ্যের মুঙ্গের জেলার জামালপুর শহরে। তিনি হলেন মিহিজামের প্রখ্যাত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরেশনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় সন্তান এবং সম্পর্কে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভ্রাতুস্পুত্র।[২] তিনি মিহিজামের ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি তে পড়াশোনার পর ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ হতে পিতার চিকিৎসালয়ে অনুশীলন করতে থাকেন। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং এলগিন রোডের (অধুনা লালা লাজপত রাই সরণি) বাড়িতেই পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং ঈশানচন্দ্রের হোমিওপ্যাথির পরম্পরা নিয়ে অধীত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জ্ঞানে চালু করেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারখানা। অচিরেই সুনাম অর্জন করেন এবং কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন ড.প্রশান্ত ব্যানার্জি হোমিওপ্যাথিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন। তিনি পরবর্তীতে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে আরো একটি ডাক্তারখানা খোলেন। তার ডাক্তারখানায় প্রতিদিন ১০০০ হতে ১২০০ মত রোগী চিকিৎসার জন্য আসেন। তার মধ্যে প্রায় ১২০-১৫০ জন ক্যানসার রোগীও হতেন। হোমিয়োপ্যাথিক চিকিৎসায় তিনি ও তার পুত্র প্রতীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্য ব্যানার্জিস্ প্রোটোকল প্রবর্তন করেন, যা হোমিওপ্যাথি ওষুধের সাথে নির্দিষ্ট রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের একটি নতুন পদ্ধতি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[৩] ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৮ জুন তার প্রোটোকল সম্পর্কিত গ্রন্থটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়।[৪] অগণিত মানুষ উপকৃত হয়েছেন তাদের নিরলস প্রয়াসে।
তিনি তার আত্মজীবনীতে দ্য ডায়েরিজ অফ এ স্টাববর্ণ্ হোমিওপ্যাথ ডক্টর প্রশান্ত ব্যানার্জি। [৫]
ডাঃ প্রশান্ত ব্যানার্জি ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মে মঙ্গলবার কলকাতায় তার এলগিন রোডের (অধুনা লালা লাজপত রাই সরণি) বাড়িতে হৃদরোগ আক্রান্ত হলে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, কিন্তু ১৭ মে বৃহস্পতিবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।[১][২] তার পুত্র প্রতীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ২০২১ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জানুয়ারি প্রয়াত হন।[৬]
|1=
|2=