পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া ফাযিল মাদরাসা হচ্ছে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নভূক্ত পুরকুইল গ্রামে অবস্থিত একটি এমপিও-ভূক্ত আলিয়া মাদ্রাসা।[১][২] পূর্বে এটি পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া আলিম মাদরাসা হিসবে পরিচিত ছিল।[৩] এর ইআইআইএন (EIIN) নম্বর ১০৩৩৫৯। বর্তমানে মাদরাসাটিতে ইবতেদায়ি (প্রাথমিক) থেকে শুরু করে দাখিল (মাধ্যমিক), আলিম (উচ্চমাধ্যমিক) ও ফাযিল (ডিগ্রি সমমান) পর্যায় পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বর্তমানে মাদ্রাসাটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত।[৪]
১৯৬৪ সালের ১ জানুয়ারিতে গ্রামে ইসলামি শিক্ষা প্রচারের লক্ষ্যে পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা পীর হাফেজ হাবিবুর রহমান এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে দাখিল কার্যক্রম শুরু করার প্রাথমিক অনুমতি দেওয়া হয় এবং ১৯৭৯ সালে এর সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৮০ সালে দাখিল শাখা এমপিও-ভূক্ত হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে মাদ্রাসাটিতে আলিম চালু করার অনুমতি দেওয়া হলেও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আসে ২০০২ সালে। আলিম স্তর এমপিও-ভূক্ত হয় ২০০৪ সালে। সবশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটিকে ফাজিল স্তর চালু করার অনুমতি ও স্বীকৃতি দেওয়া হয়।[৫] পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকেই প্রতিষ্ঠানটিতে ফাজিল শ্রেণিকার্যক্রম চলমান আছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিকে কামিল পর্যায়ে উন্নীত করার কাজ চলছে।
মাদ্রাসাটি পুরকুইল দরবারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। দরবার এলাকার ভিতরে দক্ষিণ দিকে মাদ্রাসা ক্যাম্পাস অবস্থত। ক্যাম্পাসের উত্তর প্রান্তের একটি লম্বালম্বি দ্বি-তল ভবনে প্রতিষ্ঠানটির মূল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ভবনের সামনে একটি মাঠ হয়েছে। মাঠের উল্টো দিকে রয়েছে ৩০০ আসন বিশিষ্ট ছাত্রাবাস।[৫] এখানে কেবল ছাত্রদেরই আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে। মাঠের পশ্চিমদিকে রয়েছে মসজিদ। মাদ্রাসা ক্যাম্পাসের ভিতরেই একটি হিফজ মাদ্রাসা ও সংযুক্ত এতিমখানা রয়েছে। মাদ্রাসার মূল ভবনের পূর্বদিকে লম্বালম্বি ভাবে আরও একটি ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।