পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সে সুযোগ রয়েছে আটটি ভিন্ন পাঠ্য বিষয়ে। প্রথম বর্ষে মাত্র ৪২০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং চারটি প্রযুক্তি (সিভিল, ইলেট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল ও পাওয়ার) নিয়ে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদী এই কোর্সে ৯টি বিভাগ চলমান রয়েছে।[১][২][৩]
১৯২৪ সালে তাড়াশের জমিদার শ্রী বনমালী রায় কর্তৃক বর্তমানে নগরবাড়ী মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে পাবনা শহরে বিএল ইলিইয়ট টেকনিক্যাল স্কুল নামে একটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ এর দশকে ততকালীন পাকিস্তান সরকারের ৫ম বার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে পূর্ব পাকিস্তানের বহু জেলাতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়। তারই অংশ হিসেবে পাবনা জেলাতে ১৯৬২ সালে উক্ত টেকনিক্যাল স্কুলটি "পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট" নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭০ সালের ১০ই জানুয়ারি তৎকালীন পরিচালক (কারিগরি শিক্ষা) ড. ওয়াকার আহম্মদ বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের উত্তর-পশ্চিম পার্শে ইছামতি নদীর উপকন্ঠে ৩০ একর জমির উপর বর্তমানে ক্যাম্পাসের ভীতি প্রস্তর স্থাপন করে ইহার ঐতিহাসিক অগ্রযাএা তরান্তিত করেন। নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পর তিনটি প্রযুক্তি নিয়ে ১৯৭৮ সালে নূতন ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।[২][৩][১]
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পাবনা শহর এলাকার গাংকোলায় অবস্থিত। এর উত্তরে ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, দক্ষিণে কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় এবং পশ্চিমে পাবনা -চাটমোহর হাইওয়ে, পূর্ব দিকে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ক্যাম্পাস অবস্থিত।[২]
মূল ক্যাম্পাসে চারতলা বিশিষ্ট একটি ভবন, তিনটি বড় ওয়ার্কশপ ভবন, অফিস, গ্রন্থাগার, ওয়ার্কশপ এবং ল্যবরেটরী এবং একটি ৪০০ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অডিটোরিয়াম। এছাড়া মূল ভবনের উত্তর পাশে রয়েছে মসজিদ সংলগ্ন শহীদ মিনার।
একাডেমিক প্রযুক্তিসমূহের মধ্যে রয়েছে
ছাত্রদের জন্য একটি এবং ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হল রয়েছে।
সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই ইনস্টিটিউটের ‘এর স্কোয়াড বাংলাদেশ’ দল চ্যাম্পিয়ন হয়। দলের সদস্যরা হলেন প্রিয়াল ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ ও তাসদির আহমেদ।[৪]