নেপাল দূরসঞ্চার কোম্পানি লিমিটেড (নেপালি: नेपाल दूरसञ्चार कम्पनी लिमिटेड), যা নেপাল টেলিকম (নেপালি: नेपाल टेलिकम) হিসাবে ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়। এটি নেপালে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিযোগযোগ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা যেখানে সরকারের ৯১.৪৯% অর্থনৈতিক অংশ রয়েছে।[৫]
২০০৩ সালে বেসরকারী টেলি-অপারেটর ইউনাইটেড টেলিকম লিমিটেড (ইউটিএল) পরিষেবা প্রদান শুরু করার আগ পর্যন্ত এই সংস্থাটি নেপালে একচেটিয়া ব্যবসা করত। নেপাল টেলিকমের সদর দফতর কাঠমান্ডুর ভদ্রকালী প্লাজায় অবস্থিত। পুরো দেশ জুড়ে মোট ১৮৪টি শাখা, এক্সচেঞ্জ কাউন্টার এবং অন্যান্য পরিষেবামূলক অফিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
বিস্তারিত
নেপালে নেপাল টেলিকমই একমাত্র স্থায়ী ইন্টারনেট লাইন, ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস ডিজিটাল নেটওয়ার্ক এবং লিজড-লাইন পরিষেবাগুলি জনগণের কাছে সরবারহ করে। কিন্তু ২০০৫ সালে নেপালের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় এনসেল (পূর্বে মেরো মোবাইল নামে পরিচিত) আগমনের পরে এটি বর্তমান্র আর নেপালের একমাত্র গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন্স পরিষেবা সরবরাহকারী নয়। তবে ৫,৪০০ জনেরও বেশি কর্মচারী নিয়ে গঠিত নেপাল টেলিকম নেপালের বৃহত্তম কর্পোরেশনগুলির একটি। জুলাই ২০১১ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নেপাল টেলিকম মোট ২৬২টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কাউন্টার, ৬০৩,২৯১টি পিএসটিএন লাইন, ৫ মিলিয়নেরও বেশি জিএসএম সেলুলার ফোন এবং এক মিলিয়নেরও বেশি সিডিএমএ ফোন লাইন পরিষেবা প্রদান করে আসছে।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে,[৬] নেপাল টেলিকমের স্থির ল্যান্ডলাইন, জিএসএম মোবাইল, সিডিএমএ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহারকারীসহ মোট ১ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। নেপাল টেলিকমই নেপালে সর্বপ্রথম ১ জানুয়ারী ২০১৭ সালে ফোরজি এলটিই পরিষেবা চালু করে। নেপাল টেলিকম নেপালে ফোরজি পরিষেবার জন্য আদর্শ ১৮০০ মেগাহার্টজ নিরপেক্ষ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ব্যবহারকারী প্রথম অপারেটর। সর্বপ্রথম কাঠমান্ডু এবং পোখরা শহরে ফোরজি পরিষেবা চালু করা হয়।[৭]
২০১৯ সালের জুলাই মাসে নেপাল টেলিকম নেপালে প্রথমবারের মতো ভোএলটিই সেবা চালু করে।[৮] ২০১৯ সালের এপ্রিলে নেপাল টেলিকমিউনিকেশন কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত এমআইএসের প্রতিবেদন অনুসারে, নেপালের ক্যাবল ইন্টারনেট ৮৪% পরিষেবার নেপাল টেলিকম দিয়ে থাকে। নেপাল টেলিকমের ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা হল ২১১,৫১৩ জন যা নেপালের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার সিংহভাগ।[৯] একইভাবে, নেপাল টেলিকম দেশের একমাত্র ওয়াইম্যাক্স পরিষেবা সরবরাহকারী হওয়ায় এপ্রিল ২০১৯ সালে এর ৮৭,৯৭৭ জন ওয়াইম্যাক্স গ্রাহক ছিল।[১০] ২ অক্টোবর ২০১৯ সালে নেপাল টেলিকম ৩৭টি জেলা ও ৬০টি শহরে ফোরজি পরিষেবা চালু করে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি তা উদ্বোধন করেন।[১১]
তথ্য পরিসংখ্যান
অপারেটরের নাম
|
নেপাল টেলিকম
|
টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক (পোস্ট-পেইড জিএসএম মোবাইল)
|
এনটিসি মোবাইল (৪২৯-০১^এনপিএল)
|
টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক (প্রি-পেইড জিএসএম মোবাইল)
|
নমস্তে (৪২৯-০১^এনপিএল)
|
টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক (সিডিএমএ মোবাইল)
|
স্কাই ফোন (৪২৯-০৩)
|
প্রযুক্তি
|
জিএসএম ৯০০ (জিপিআরএস, ইডিজিই), ইউএমটিএস (এইচএসডিপিএ, এইচএসপিএ, এইচএসপিএ+), এলটিই, ব্রডব্যান্ড, স্যাটেলাইট ফোন, ওয়াইফাই হটস্পট
|
পরিষেবা প্রদানের সময়কাল
|
১৯৯৯ সালের মে থেকে বর্তমান
|
ইতিহাস
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ছিল টেলিযোগাযোগ বিভাগ। পরবর্তীকালে ১৯৬৯ সালে এটির নাম পরিবর্তন করে টেলিযোগাযোগ উন্নয়ন বোর্ড রাখা হয়। ১৯৭৫ সালে যোগাযোগ কর্পোরেশন আইন -১৯৭১ কার্যকর করার পরে, এটি আনুষ্ঠানিকভাবে নেপাল টেলিযোগাযোগ কর্পোরেশন নামে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন যোগাযোগ প্রতিষ্ঠান হিসাবে রূপান্তরিত হয়। ২২শে মাঘ, ২০৬০ বিক্রম সংবতে নেপাল টেলিযোগাযোগ কর্পোরেশন একটি পাবলিক লিমিটেড সংস্থায় পরিণত হয়েছিল।
ভাগ কাঠামো
নেপাল সরকার
|
৯১.৪৯%
|
কর্মকর্তা-কর্মচারী
|
৪.৫%
|
সাধারণ জনগণ
|
৩.৯৮%
|
নাগরিক লাগানী কোষ
|
০.০৩%
|
পরিষেবাসমূহ
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ