নাজিম উদ্দিন আলী খান যিনি নাজিম-উদ-দৌলা (বা নাজাম-উদ-দৌলা) (১৭৫০ - ৮ই মে ১৭৬৬) নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন ১৭৬৫ থেকে ১৭৬৬ সাল পর্যন্ত বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব। তিনি ছিলেন মীর জাফরের দ্বিতীয় পুত্র। নাজিম-উদ-দৌলা তার পিতা মীর জাফরের মৃত্যুর পর রাজপদে অধিষ্ঠিত হন। রাজ্যাভিষেকের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। তিনি ফেব্রুয়ারি ৫, ১৭৬৫ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৭৬৫ সালে বক্সারের যুদ্ধে ব্রিটিশরা জয়লাভের ফলে বাংলা, বিহার ও ওরিষ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম-এর কাছ থেকে দেওয়ানী (রাজ্য শাসনের জন্য পদ) লাভ করে। ১৭৬৫ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নবাব কর্তৃক ব্রিটিশদের কাছে দেওয়ানী অর্পণ করা হয়।
নাজিমুদ্দিন, মুর্শিদাবাদের দুর্গে রবার্ট ক্লাইভের সম্মানে দেওয়া একটি পার্টিতে জ্বরে আক্রান্ত হন এবং ১৭৬৬ সালের ৮ই মে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে জাফরগঞ্জের সমাধিক্ষেত্র সমাহিত করা হয় এবং উত্তরাধিকারসূত্রে তার ছোট ভাই নাজাবুত আলী খান নবাব পদে অধিষ্ঠিত হন।
জীবন
জন্ম
নাজিমুদ্দিন আলী খান ছিলেন মুন্নী বেগম ও মীর জাফরের দ্বিতীয় পুত্র। ১৭৬৪ সালের ২৯শে জানুয়ারি মীর জাফর নিজে নাজিমুদ্দিকে মুর্শিদজাদা বাহাদুর উপাধি দিয়ে তার উত্তরাধীকারী হিসেবে ঘোষণা করেন।
নবাব হিসেবে রাজত্ব
মীর জাফরের মৃত্যুর পর নাজিমুদ্দীন সুজা-উল-মুলুক (দেশের নায়ক), নাজাম-উদ-দৌলা (রাজ্যের স্টার), মহবত জং (যুদ্ধের বিভিষীকা) উপাধি গ্রহণ করে ১৫ বছর বয়সে ৫ই ফেব্রুয়ারি ১৭৬৫ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৭৬৫ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও তাকে অনুমোদন দেয়। এরজন্য তাকে ₤১৪০,০০ ব্যয় করতে হয় এবং এটি কলকাতা কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
১৭৬৬ সালের ৮ই মে নাজিমুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন। এরপূর্বে রবার্ট ক্লাইভের সম্মানে দেওয়া এক পার্টিতে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। তাকে জাফরগঞ্জ সমাধিক্ষেত্রে তার পিতা মীর জাফরের সমাধির পশ্চিম পাশে সমাধিস্থ করা হয়। তিনি ছিলেন নিঃসন্তান। তার ছোট ভাই নাজবুত আলী খান মোহাম্মদীয় আইন অনুসারে রাজত্ব লাভ করেন।