২০০৫ নভেম্বর বাংলাদেশের আদালতে বোমা হামলা ছিল ২৯ নভেম্বর ২০০৫-এ জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ কর্তৃক বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং গাজীপুরের আদালতে একযোগে আত্মঘাতী বোমা হামলা যাতে ৮ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়।[১][২]
জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ আইন বাতিল করে শরিয়া আইনের সাথে প্রতিস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছিল। তারা ২০০৫ সালে বিচার বিভাগকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামলা চালায়। ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজীপুর কোর্ট হাউস কমপ্লেক্সের হল বিল্ডিং-২ এর নিচতলায় গাজীপুর আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। বিস্ফোরণে ৮ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে ৩ জন আইনজীবী এবং ৫০ জন আইনজীবী আহত হন।[৩] বোমা হামলাকারী আইনজীবীদের পোশাক পরে ছদ্মবেশে প্রবেশ করেছিল।[৪] একই দিন এবং একই সময়ে চট্টগ্রামের আদালতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হলেও বোমা হামলাকারী বেঁচে যায়। বিস্ফোরণে ১৩ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৬ জন আহত হয়েছেন।[৫][৬]
২৪ এপ্রিল ২০১১ গাজীপুর আদালতে বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গাজীপুরের একটি আদালত অভিযোগ গঠন করা হয়।[৭] ২০১৩ সালের ২০ জুন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ গাজীপুর আদালতে বোমা হামলার ঘটনায় ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২৮ জুলাই ২০১৬-এ বাংলাদেশ হাইকোর্ট ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেছে, ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তর করেছে এবং সমস্ত অভিযোগের মধ্যে দুটি সাফ করেছে।[৩]
নিরাপত্তা হালনাগাদ করার দাবিতে বোমা হামলার পর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ধর্মঘট ডেকেছে।[৮]