দাড়ি হল কারো গাল, থুতনি, এবং ওষ্ঠের নিচের অংশে গজানো চুল। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালের বা বয়সন্ধিকালোত্তীর্ণ পুরুষলোকের গড়ে ২১ বছর বয়স থেকে দাড়ি গজায়।[১] মুখমন্ডলের ওপরের ও নিচের অংশের চুলের মধ্যে পার্থক্য করতে বলা হলে দাড়ি মূলত নিচের অংশের চুলকেই বোঝায়, যার মধ্যে গোঁফ অন্তর্ভুক্ত নয়। দাড়ি সংক্রান্ত অধ্যয়ন পগনোলজি নামে পরিচিত।
ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায় যে, দাড়িবিশিষ্ট পুরুষলোককে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী, পৌরুষত্বের অথবা উঁচু সামাজিক মর্যাদার অধিকারী ভাবা হত। আবার মুদ্রার অন্য পিঠে দাড়িযুক্ত পুরুষকে অসংস্কৃত এবং কিম্ভূত চেহারার বলেও বিবেচনা করা হত। দাড়ির এই মর্যাদা ও অমর্যাদা সংস্কৃতি-সাপেক্ষ। তবে পৃথিবীর প্রথম মানুষ থেকে শুরু করে পূর্বের জ্ঞানী-গুনী, ধার্মিক ও বীর পুরুষেরা দাড়ি রাখতেন।
জীববিজ্ঞান
বয়ঃসন্ধিকালে দাড়ি গজায়। এ সময়ে মুখমন্ডলের লোমকূপে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন এর উদ্দীপনার কারণে দাড়ি গজায়। চুলের গ্রন্থিগুলো অবস্থানের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয়; ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন টাক পড়াকেও প্রভাবিত করে। ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন টেস্টোস্টেরন হতে নিঃসৃত হয়, যার মাত্রা বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন হয়: ফলে গ্রীষ্মকালে দাড়ি দ্রুত বাড়ে।[২]