চেক প্রজাতন্ত্র জাতীয় ফুটবল দল (চেক: Česká fotbalová reprezentace) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম চেক প্রজাতন্ত্রের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা চেক প্রজাতন্ত্র ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৭ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৯৪ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি তারিখে, চেক প্রজাতন্ত্র প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্র তুরস্ককে ৪–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
নারোদাক নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ইয়ারোস্লাভ শিলহাভি এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন স্পার্তা প্রাহার মধ্যমাঠের খেলোয়াড় বোরেক দোচকাল।
চেক প্রজাতন্ত্র এপর্যন্ত ৯ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৩৪ এবং ১৯৬২ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছানো। অন্যদিকে, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে চেক প্রজাতন্ত্র এপর্যন্ত ৯ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে উয়েফা ইউরো ১৯৭৬-এর শিরোপা জয়লাভ করা, যেখানে তারা পশ্চিম জার্মানির সাথে ০–০ গোলে ড্র করার পর পেনাল্টিতে ৫–৩ গোলে পরাজিত করেছে। এছাড়াও, চেক প্রজাতন্ত্র ১৯৯৭ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
পেত্র চেক, কারেল পবোরস্কি, তমাস রসিচকি, ইয়ান কোলার এবং মিলান বারোসের মতো খেলোয়াড়গণ চেক প্রজাতন্ত্রের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে চেক প্রজাতন্ত্র তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (১ম) অর্জন করে এবং ২০১৩ সালের জুন মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ২২তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১ম (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯৫৮ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২০। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো: