চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীবাড়ি হল ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকা চিত্তরঞ্জন পার্কে অবস্থিত একটি মন্দির চত্বর ও বাঙালি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ১৯৭৩ সালে এখানে একটি ছোটো পাহাড়ে প্রথমে একটি শিব মন্দির স্থাপিত হয়। এই মন্দিরটি এখনও মন্দির চত্বরে আছে। ১৯৮৪ সালে কালী, শিব ও রাধাকৃষ্ণের জন্য তিনটি বড়ো মন্দির তৈরি হয়। শারদীয়া দুর্গাপূজা এই কালীবাড়িতে খুব জাঁকজমক করে অনুষ্ঠিত হয়।[১] ১৯৭৩ সাল থেকে এই মন্দিরে দুর্গাপূজা হয়ে আসছে।[২]
এই মন্দিরটি ১৯৭৩ সালে স্থাপিত হয়। এটি নির্মীয়মান ইবিডিপি কলোনির জমিতে গড়ে ওঠে। কলোনির এক ধারে একটি ছোটো পাহাড়ের উপর একটি শিব মন্দির স্থাপিত হয়। এই বছরই মন্দিরে দুর্গাপূজা শুরু হয়। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলার আটচালা স্থাপত্য শৈলীর ধাঁচে কালী মন্দিরটি নির্মিত হয়। এরপর একটি শিব ও একটি রাধাকৃষ্ণ মন্দির স্থাপিত হয়। ২০০৬-০৯ সাল নাগাদ মন্দিরগুলিতে টেরাকোটার সাজসজ্জা করানো হয়।
চিত্তরঞ্জন পার্কের বাঙালি-অধ্যুষিত এই কালী মন্দিরটি বাঙালিদের একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। কালী মন্দির সমিতি এখানে সারা বছর বহু সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এই মন্দিরের পাঁচ দিন ব্যাপী দুর্গাপূজা একটি প্রধান উৎসব। এখানকার দুর্গাপূজা সারা দিল্লিতে জনপ্রিয়।[৩] প্রচুর মানুষ রোজ এই পূজা দেখতে আসেন।[৪] পূজার উপকরণ পশ্চিমবঙ্গ থেকে আনা হয়।[৫] মন্দিরের অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল কালীপূজা, লক্ষ্মীপূজা, সরস্বতী পূজা, গণেশ চতুর্থী ইত্যাদি। দুর্গাপূজার সময় ভক্তদের চাঁদা থেকে মন্দিরের প্রচুর টাকা আয় হয়।[৫] মন্দিরের একটি অংশে কুমোরেরা মূর্তি বানান।[৬]
মন্দিরে একটি বড় গ্রন্থাগার আছে। এখানে বাংলার সংস্কৃতি ও ভাষা সংক্রান্ত ক্লাস নেওয়া হয়। এখানে শিশুদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতাও হয়। মন্দিরের একটি গেস্ট হাউসও আছে।
|তারিখ=