ক্যাপ্টেন |
---|
চলচ্চিত্রের পোস্টার |
পরিচালক | দিবাকর ভট্টরাই |
---|
প্রযোজক | ভুবন কে.সি. নির্বাহী প্রযোজক জিয়া কে.সি. |
---|
শ্রেষ্ঠাংশে | অনমোল কে.সি. সুনীল থাপা উপসনা সিং ঠকুরী প্রিয়াঙ্কা এমভি উইলসন বিক্রম রাই সরোজ খনাল প্রশান্ত তাম্রাকার |
---|
চিত্রগ্রাহক | নবরাজ উপ্রেতি |
---|
সম্পাদক | দির্ঘা রাজ খড়্কা |
---|
প্রযোজনা কোম্পানি | সুপার কাজল ফিল্মস |
---|
মুক্তি |
- ১ মার্চ ২০১৯ (2019-03-01)
|
---|
দেশ | নেপাল |
---|
ভাষা | নেপালি |
---|
নির্মাণব্যয় | ১.২৫ কোটি নেপালি রুপী |
---|
আয় | ৪.৫০ কোটি নেপালি রুপী |
---|
ক্যাপ্টেন (নেপালি: क्याप्टेन; এর চিপ্পি ক্যাপ্টেন: ম্যাচ বিগনিং সুন দ্বারাও পরিচিত) ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া নেপালি ক্রীড়া-নাট্য চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন দিবাকর ভট্টরাই, সামিপ্য রাজ তিমলসিনা, সাগর খরেল, ব্রজেশ খনাল এবং প্রযোজনা করেছে ভুবন কে.সি. ও জিয়া কে.সি. ছবিটি সুপার কাজল ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন অনমোল কে.সি., সুনীল থাপা, সরোজ খনাল, উইলসন বিক্রম রাই, উপসনা সিং ঠকুরী, প্রিয়াঙ্কা এমভি, এবং প্রশান্ত তাম্রাকার প্রমুখ। এই ছবিটি একটি কিশোরের কাহিনীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে, কিশোরটি ফুটবলে তার বাবার পদানুসরণ করতে সংগ্রাম করে যায়। ছবিটি ঝাপা এবং ইলাম অঞ্চলে চিত্রায়িত করা হয়েছে।[১] এটি ২০১৯ সালের ১ মার্চ নেপালে মুক্তি পায়।[২][৩] এটি এর কাহিনীবিন্যাস, ভিজ্যুয়াল বিশেষ আবহ এবং বিষণ্ন অভিনয়ের কারণে দর্শকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং সমালোচকদের কাছ থেকে বেশিরভাগ প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া পায়। এটি বক্স অফিসে গড় মানের নিচে মান অর্জন করে এবং দ্বিতীয় সপ্তাহান্তের পরে এটির প্রদর্শণী বন্ধ হয়ে যায়।
কাহিনী সংক্ষেপ
মদন খড়কা (সরোজ খনাল) একজন প্রতিভাবান ফুটবলার ছিলেন, তবে ফুটবল তার পরিবারকে সহায়তা করতে পারেনি, তাই তিনি কাজের সন্ধানে সৌদি আরব যান। তার ছেলে ইশান (অনমোল কে.সি.) তার বাবার পদানুসরণ করে এবং পেশাদার ফুটবলার হতে চায়। বিদেশে কোন এক দুর্ঘটনায় তার বাবা যখন আহত হয়, তখন পরিবারকে সহায়তা করার জন্য ইশান তার পেশা চালিয়ে যাবে না অন্য কোন কাজ করবে তা নিয়ে দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হয়।
অভিনয়ে
- অনমোল কে.সি. - ইশান খড়্কা চরিত্রে[৪]
- উপসনা সিং ঠকুরী - শ্রেয়া চরিত্রে[৫]
- প্রিয়াঙ্কা এমভি - চারু চরিত্রে[৬][৭]
- সুনীল থাপা - কোচ চরিত্রে[৮]
- প্রশান্ত তাম্রাকার - ইমাম বিক্রম থাপা চরিত্রে[৮]
- সরোজ খনাল - মদন খড়্কা (ইশানের বাবা) চরিত্রে[৯]
- ভুবন কে.সি. ("কার্লি কার্লি কপাল" এ ক্যামিও উপস্থিতি)[১০]
- নিরুতা সিং ("কার্লি কার্লি কপাল" এ ক্যামিও উপস্থিতি)[১১]
সঙ্গীত
|
১. | "রহর ছ সঙ্গৈ" | দিগজ ধৌরালি | অর্জুন পোখরেল | অঞ্জু পন্ত, সুগম পোখরেল | ৪:৪৫ |
২. | "কার্লি কার্লি কপাল" | হার্কা সাউদ, মনীষ ঢাকাল | এসডি যোগী, সুশান্ত গৌতম | মেলিনা রাই, এসডি যোগী | ৩:৫৪ |
৩. | "সক্দিনঁ কি বাঁচ্ন" | দিগজ ধৌরালি | অর্জুন পোখরেল | সুমন কে.সি., দীপা লামা | ৩:১৫ |
বিপণন
চলচ্চিত্রের পোস্টার ২০১৮ সালের আগস্টে প্রকাশিত হয়, পোস্টারে প্রধান অভিনেতা আনমল কে.সি. কে তুলে ধরা হয়[১২] এবং ম্যাচ শীঘ্রই শুরু হবে চিপ্পি লাগানো হয় ।[১৩] ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি ট্রেলার প্রকাশিত হয়।[১৪]
প্রতিক্রিয়া
বক্স অফিস
ক্যাপ্টেন চার দিনের মধ্যে বক্স অফিসে আয় করে ২.৮৫ কোটি নেপালি রুপি (रू২৮.৫ মিলিয়ন)।[১৫] তবে এর দ্বিতীয় সপ্তাহান্তের মধ্যে ছবিটি ৪.৫০ কোটি নেপালি রুপি (रू৪৫ মিলিয়ন) উপার্জন করে এবং এর প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যায়।[১৬]
সমালোচনা
ক্যাপ্টেন সমালোচকদের কাছ থেকে খুব কম সমালোচনা পায়। দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের অভিমন্যু দীক্ষিত চলচ্চিত্রটিকে “অনভিপ্রেত ব্যঙ্গচিত্র” বলে মন্তব্য করেন এবং এটিকে পাঁচের মধ্যে মাত্র এক নম্বর দিয়ে বলেন: “ভুবন দা, এটি একটি আন্তরিক কাকুতি। কিন্তু আপনার দর্শক আপনার চিন্তার চেয়ে বেশি পরিণত। দয়া করে এর পরের বার বিচক্ষণ কিছু উপহার দিয়ে আমাদের বিস্মিত করে দিন।”[১৭] অনলাইনখবর এর দেওয়াকর পিয়াকুরেল লিখেছেন:“অভিনেতা আনমল কেসি নির্মাতাদের গল্প বুঝতে পারেনি” এবং ছবিটিকে পাঁচের মধ্যে দুই নম্বর দিয়ে বলেছেন: “ক্যাপ্টেন অন্যান্য ক্রীড়া ঘরণার চলচ্চিত্রের ভবিষ্যতের পত্রোদ্গত হওয়ার উদাহরণ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। পরিবর্তে সাধারণ খেলোয়াড়দের মতো এটি আলো ছড়ারবার জন্য কিছু ব্যর্থ চেষ্টা করেছে।”[১৮] ছবিটি নেপালের প্রধানমন্ত্রী খড়্গ প্রসাদ ওলীর কাছ থেকে ইতিবাচক সমালোচনা পেয়েছিল, তিনি বলেন: “ছবিটি বুদ্ধিদীপ্ত এবং এটি দেশপ্রেম, বিনোদন সহ একটি সামাজিক বার্তা ...আমাদের এমন বিষয়বস্তু দরকার, যা নেপালি চলচ্চিত্র শিল্পকে উৎসাহিত করতে পারে।”[১৯]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ