কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (সিপিএইচ) বা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল ঢাকার রাজারবাগে অবস্থিত একটি সরকারি হাসপাতাল। এই হাসপাতালে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা পান।[২][৩] ১৯৫৪ সালে হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়।
১৯৫৪ সালে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমে ৭০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। ‘বাংলাদেশ পুলিশ হাসপাতালসমূহ আধুনিকীকরণ(১৯৯৭-২০০৫)’ শীর্ষক বিশেষ প্রকল্পের আওতায় হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যায় এবং ২০২১ সালে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।[৪][৫]
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালটি ৪ তলাবিশিষ্ট ভবন। এটি স্টিল কাঠামোতে তৈরি করা হয়েছে। অন্তঃবিভাগ, বহির্বিভাগ, জরুরী বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।[৬]
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে শুধু বাংলাদেশ পুলিশবাহিনী সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্য (মা, বাব, স্ত্রী, সন্তান) চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারে।
হাসপাতালটি বিভিন্ন বিভাগ আছে। উল্লেখযোগ্য বিভাগসমূহ হলঃ[২][৬]
এছারাও এই হাসপাতালে রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং ও ল্যাবরেটরি, ইকো-কার্ডিওগ্রাম , ব্লাড ব্যাংক, অপারেশন থিয়েটার, ৪-ডি আল্ট্রাসনোগ্রাম, ডায়ালাইসিস ইউনিট, ডিজিটাল ম্যামোগ্রাফী, ১৬০ স্লাইচ সিটিস্ক্যান,ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, এমআরআই মেশিন, ইটিটি সুবিধা রয়েছে।[৪]
২০২০ সালের তথ্য অনুসারে, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ১২০টি চিকিৎসক পদ আছে।[৩] দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর মোট ১৬৬ পদের মধ্যে ৪০টি(১২৬ জন কর্মরত) শূন্য আছে।[৭]
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা সেবা প্রাথমিকভাবে এই হাসপাতালে শুরু করা হয়।[৮] আক্রান্ত এবং সন্দেহজনক রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে হাসপাতাল ভবনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সিআইডি ট্রেনিং স্কুল, সিদ্ধেশ্বরী কলেজে সহ বিভিন্ন জায়গাতে রেখে চিকিৎসা সেবা শুরু করেন এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।[৯]
তবে হাসপাতালটি করোনা যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।[৮][১০] হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপি দিয়ে করোনা রোগী ভাল করার চেষ্টা করা হয়।[১১] তাছাড়া হোমিও চিকিৎসা দিয়েও চেষ্টা করা হচ্ছে।[১২][১৩]