কালা-ই-বোস্ত

কালা-ই-বোস্ত
প্রত্নস্থল
বোস্তের দূর্গ
বোস্তের দুর্গে ঘুরী সম্রাজ্যের খিলান
কালা-ই-বোস্ত
স্থানাঙ্ক: ৩১°৩০′২″ উত্তর ৬৪°২১′২৪″ পূর্ব
দেশ	আফগানিস্তান
প্রদেশ	হেলমান্দ
জেলা	লস্করগাহ

বোস্তের দুর্গ, (স্থানীয়ভাবে কালা-ই-বোস্ত নামে পরিচিত) আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের লস্করগাহের কাছে অবস্থিত কাঁদামাটির দুর্গপ্রাকার, যা প্রায় ৩০০০ বছর আগে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়।^[১][২] অনেক স্থানীয় এবং বিদেশী পর্যটকদের দুর্গ পরিদর্শনে ইতিহাস আছে।^[৩] সম্পূর্ণ প্রত্নস্থল প্রায় ১০ কিলোমিটার (বা 8 মাইল) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।^[৪] বোস্তের দুর্গ লস্করগাহ থেকে দক্ষিণে প্রায় আধঘণ্টার গাড়ী চালানো দূরত্বে হেলমান্দ ও আরঘান্দাব নদীর মিলনস্থলের কাছে ৩১° ৩০' ০২″ উত্তর, ৬৪° ২১' ২৪″ পূর্ব অক্ষাংশে অবস্থিত। দূর্গ এলাকায় বিভিন্ন ফল এবং খেজুর গাছ রয়েছে।^[৫]

ইতিহাস

কালা-ই-বোস্ত হেলমান্দ প্রদেশের ১২টি প্রত্নস্থলের একটি।^[৩] দুর্গটিকে প্রাক-ইসলামিক যুগে নির্মিত আফগানিস্তানের অন্যতম সেরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী প্রত্নস্থল ধরা হয়। গজনভি সুলতান মাসউদ এখানে একবার অবকাশ যাপন করেন।^[১] স্থানীয়দের মতে দুর্গের বয়স প্রায় ৩০০০ বছর হলেও^[২] ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন, দুর্গটি নওশেরয়ান নামে পরিচিত সাসনিয় সম্রাট প্রথম খসরুর শাসনামলে প্রায় ২৫০০ বছর আগে নির্মিত।^[৩]

২০০৬ সালে, লস্করগাহের দক্ষিণ থেকে কালা-ই-বোস্তের খিলান পর্যন্ত যাওয়ার জন্য একটি পাথুরে রাস্তার নির্মাণ শুরু হয়।^[৬] ২০০৮ সালের এপ্রিলে প্রায় ২০ ফুট প্রস্তের এবং ২০০ ফুট গভীর একটি প্রাচীন খাদ আবিস্কার হয়েছিল, যেখানে খাদের পাশে থাকা অনেক অন্ধকার ঘর এবং নীচের নামার জন্য একটি সর্পিল সিঁড়ি রয়েছে। ২০২০ সালে, দুর্গের সংস্কার কাজ শুরু হয়।^[৭][৮] ২০২১ সালে, গৃহযুদ্ধের ফলে পালিয়ে আসা শতাধিক লোক এখানে আশ্রয় নিয়েছিল।^[৯]

অবশিষ্ঠাংশ

প্রত্নস্থলে ১১- শতকের একটি আলংকারিক খিলান আছে, যা ১০০০০ আফগান মুদ্রার ব্যাংকনোটে প্রদর্শিত হয়েছে। টিকে থাকা খিলান একটি প্রাচীন মসজিদের অবশিষ্টাংশের অংশ। যারা দুর্গ পরিদর্শন করেছেন তারা এটিকে একটি সমৃদ্ধ সম্প্রদায়ের কৃষ্টি হিসাবে বর্ণনা করেছেন।^[৫] হেলমান্দ ও আরঘান্দাব নদীর মোহনায় অবস্থান ও নদী ভাঙ্গনের কারণে দূর্গটি বিলীন হওয়ার শংকাগ্রস্থ।^[২][৪]

আফগান নোটে মুদ্রিত কালা-ই-বোস্তের দুর্গ এবং খিলান

এছাড়াও দেখুন

• আফগানিস্তানের পর্যটন

তথ্যসূত্র

1. "Helmand's Historic Bost Fort Left to Deteriorate"। TOLOnews (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৬। 
2. "Helmand's Archeological Glories Vanishing"। RFE/RL (ইংরেজি ভাষায়)। জুলাই ১৭, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৬। 
3. "Thousands of people visit Helmand's historic Bost fort during Eid"। Ariana News (ইংরেজি ভাষায়)। এপ্রিল ১৪, ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৫। 
4. "Afghan war displaced settle in the ruins of a lost city"। Agence France-Presse। Gulf Today। ২৪ মে ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৫। 
5. "BOST – Encyclopaedia Iranica"। iranicaonline.org। ডিসেম্বর ১৫, ১৯৮৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৬। 
6. National Geographic – Qala-E-Bost Arch, Afghanistan, 1968 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ আগস্ট ২০০৯ তারিখে
7. "Work Begins in Helmand's Historical Sites"। TOLOnews (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৬। 
8. "Helmand's Bost Castle to be Restored: Officials"। TOLOnews (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৬। 
9. "Afghan war refugees settle in the ruins of an ancient royal city"। South China Morning Post। মে ২৩, ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২১। 

বহির্সংযোগ

• কালা-ই-বোস্তের ছবি