কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজেস (সিসিসি) ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিস্ট এ ক্রিকেট ও সাবেক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দল। কেএফসি কাপ নামে পরিচিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিজিওন্যাল সুপার৫০ ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় দলটি খেলে ও সাবেক ক্যারিব বিয়ার কাপ নামে পরিচিত রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশনে অংশ নিয়েছিল। মূলতঃ পূর্বেকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দল নামে পরিচিত এ দলটি ২০০৭-০৮ মৌসুমে গঠন করা হয়। অক্টোবর, ২০০৭ সালে কেএফসি কাপ একদিনের প্রতিযোগিতায় দলটি প্রথম অংশ নেয়।
জানুয়ারি, ২০০৮ সালের ক্যারিব বিয়ার কাপের মাধ্যমে চারদিনের খেলায় দলটি তাদের প্রথম খেলায় অংশ নেয়। প্রথম মৌসুম শেষে দলটি ছয় খেলায় অংশ নিয়ে কেবলমাত্র একটিতে জয় পেয়ে লীগের পয়েন্ট তালিকায় সর্বনিম্ন স্থান দখল করে।[১] দ্বিতীয় মৌসুমে তাদের খেলায় উত্তরণ দেখা যায়। ১২ খেলার মধ্যে চারটিতে জয়ী হয় ও বার্বাডোসের সাথে সমান পয়েন্ট লাভ করে।[২]
২০১১ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দলটি চমৎকার খেলে ও চূড়ান্ত খেলায় জ্যামাইকার মুখোমুখি হয়। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এটিই দলের তৎকালীন সেরা সাফল্য ছিল। বার্বাডোস, লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস, উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস ও গায়ানার বিপক্ষে দলটি জয় পেয়েছিল। কিন্তু, চূড়ান্ত খেলায় শক্তিধর জ্যামাইকার বিপক্ষে তারা মোটেই সুবিধে করতে পারেনি ও পরাজিত হয়। ২০১২ সালের ক্যারিবীয় ৪-দিনের প্রতিযোগিতায় লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের কাছে ইনিংস ও ১৫ রানে পরাজিত হয়ে বিদেয় নেয়।
জুলাই, ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ঘোষণা করে যে, ২০১৪-১৫ মৌসুমের রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশনে দলটিকে বাইরে রাখা হবে। মার্চ, ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালক রিচার্ড পাইবাসের প্রতিবেদনের সুপারিশমালা বাস্তবায়নে কয়েকটি পরিবর্তনের অন্যতম হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।[৩]
২০১৭ সালে দলের কয়েকজন খেলোয়াড়কে নিয়ে একই ধরনের দল গঠন করা হয়। কম্বাইন্ড ইউনিভার্সিটিজ ও ক্যাম্পাসেস (সিসিসি) নামের দলটি জ্যামাইকা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সুপার লীগ নামীয় নতুন প্রিমিয়ার দুই-দিনের ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো অংশ নেয়।[৪]
অক্টোবর, ২০১৮ সালে দলটি ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলকে রিজিওন্যাল সুপার৫০ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় পরাজিত করে। এরফলে, প্রথমবারের মতো ঐ প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করতে সক্ষম হয়।[৫][৬]