ওড়িশা নামটি দ্বারা ভারতবর্ষের একটি রাজ্যকে বোঝায়। ইতিহাসে বিভিন্ন সময় এই রাজ্যটি ও রাজ্যের অংশগুলি বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। অঞ্চলটির সীমান্তও অতীতে বহুবার বদলেছে।
ওড়িশায় মানব ইতিহাসের শুরু ধরা হয় পূর্ব পুরাপ্রস্তর যুগে, কারণ সেই যুগের কিছু অ্যাকিউলীয় অস্ত্র ওড়িশার কিছু কিছু অঞ্চলে পাওয়া গেছে।[১]
ওড়িশার প্রাচীন ইতিহাসের কথা মহাভারত, মহা গোবিন্দ সূত্র ও কিছু পুরাণে পাওয়া গেছে। ২৬১ খ্রিস্টাব্দে মৌর্য বংশের সম্রাট অশোক কুখ্যাত কলিঙ্গের যুদ্ধে, যা অধুনা ভুবনেশ্বরের কাছে দয়া নদীর ধারে ঘটেছিল, অঞ্চলটি দখল করেন। কিন্তু এই যুদ্ধের ফলে অসংখ্য প্রাণনাশ ও রক্তক্ষয় অশোকের ওপরে গভীর প্রভাব ফেলে, ও তিনি শান্তিবাদী হয়ে যান। একটি জনপ্রিয় মতে ও কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে এর পরেই তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন ও ভারতীয় উপমহাদেশে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে মন দেন।[২]
১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দ অঞ্চলটির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাল ধরা হয়। ১৫৬৮ সালে আইকনোক্লাস্টকালাপাহাড়ের নেতৃত্বে শাহী বাংলার সৈন্যদল অঞ্চলটি দখল করে। ওড়িশা তার রাজনৈতিক পরিচয় ও স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলে। ১৭৫১ সালের পরে প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে অঞ্চলটি মারাঠাদের দখলে থাকে।[৪] ১৮০৩ থেকে ওড়িশা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দখলে থাকে।[৫] ১৮৩৬ সালে ওড়িয়া-ভাষী জেলাগুলি নিয়ে ওড়িশা প্রদেশটি তৈরি করা হয়।[৬]
ওড়িশার ঐতিহাসিক নামগুলি
অধুনা ওড়িশার অন্তর্গত অঞ্চলগুলি ইতিহাস জুড়ে একই নামে পরিচিত ছিল না। অঞ্চলটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত ছিল।