ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, রাজশাহী বা সংক্ষেপে আই.এইচ.টি, রাজশাহী বাংলাদেশের সরকারি মেডিক্যাল ইন্সটিটিউটগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি ১৯৭৬ সালে মাত্র ৭৫ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে।[১]
১৯৭৬ সালে রাজশাহীবাসীর জন্য রাজশাহী জেলার লক্ষ্মীপুরে একটি প্যারামেডিক্যাল ইন্সটিটিউট স্থাপিত হয়।[১] প্রতিষ্ঠা লগ্নে এটি ৩টি অনুষদে (ফার্মেসী, ল্যাবঃমেডিসিন এবং রেডিওগ্রাফি অনুষদ) মাত্র ৭৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। পর্যায়ক্রমে অনুষদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়ে বর্তমানে ৭টি অনুষদে প্রায় ১০৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। ১৯৮৯ সালের ১২ জুলাই থেকে সরকারী আদেশক্রমে প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে ইন্সটিটিউট অব হেলথ্ টেকনোলোজি রাখা হয়।[১] ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে এখানে বিএসসি কোর্স চালু করে ছাত্র ভর্তি করা হয়। বিএসসি কোর্সে ২টি অনুষদে (বিএসসি ইন মেডিক্যাল টেকনোলজি ল্যাবরেটরি এবং বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি) ৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু হয়।[২] বর্তমানে বিএসসি কোর্সের দুইটি অণুষদে ৫ টি ব্যাচে মোট প্রায় ২৭৫ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।[২]
একটি মাত্র ভবন আছে যেখানে প্রায় ১৫০০ ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে।
আই,এইচ,টি তে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে। যাতে পুরাতন মূল্যবান ও সাম্প্রতিক সংস্করণের বই, জার্নাল এবং সাময়িকীর প্রাচুর্য রয়েছে।
আই,এইচ,টি তে সব বিভাগের আলাদা আলাদা গবেষণাগার আছে। এখানে বিভাগ অনুযায়ী বিভিন্ন গবেষণার কাজ সম্পাদনা করা হয়। দক্ষ শিক্ষক মন্ডলি ও টেকনোলজিষ্ট দ্বারা গবেষণাগার গুলো পরিচালনা করা হয়।
আই,এইচ,টি তে নিয়মিত ভাবে জনপ্রিয় বার্ষিকী ও সাময়িকী প্রকাশ করা হয়। ইন্সটিটিউটের সকল ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাও এতে লিখতে পারেন। সব মিলিয়ে একটি গবেষণা সমৃদ্ধ সাময়িকি প্রকাশ পায়।
১৯৭৬ সালে মাত্র ৭৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে আই.এইচ.টি রাজশাহী। মাত্র ৭৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও অতিদ্রুত সব অনিশ্চয়তা ও প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে আই.এইচ.টি দেখা পায় সোনালী ভবিষ্যতের। আস্তে আস্তে শিক্ষার্থীর সংখা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। পর্যায়ক্রমে অনুষদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়ে বর্তমানে ৭ টি অনুষদে প্রায় ১০৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। আগে সচরাচর যেভাবে ভর্তি করা হয় সেভাবে ভর্তি করা হত, কিন্তু এখন এখানে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তির্ন হয়ে তারপর ভর্তি হতে হয়।