আস্কর আলী পণ্ডিত: একটি বিলুপ্ত অধ্যায় বাংলাদেশের অন্যতম লোককবি আস্কর আলী পণ্ডিতের জীবন ও সাহিত্যকর্মের উপর রচিত একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ।। গ্রন্থটির লেখক শামসুল আরেফীন।[১] ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বলাকা প্রকাশনী গ্রন্থটি প্রকাশ করে।[২]
আস্কর আলী পণ্ডিত চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার পুরানগড় এলাকায় ১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শোভনদণ্ডী গ্রামে এই কবি স্থায়ী বসতি গড়ে তোলেন।[৩] তিনি মাইজভান্ডারী তরিকার অনুসারী ছিলেন। মাইজভান্ডারী তরিকার হজরত আহমদুল্লাহ মাইজভান্ডারীর খলিফা ফজল রহমানকে তিনি দীক্ষাগুরু হিসেবে মান্য করতেন।[৪] ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন আস্কর আলী। জীবদ্দশায় তিনি প্রচুর গান ও একাধিক পুঁথি রচনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গান-কী জ্বালা দি গেলা মোরে, কী লইয়া যাইয়ুম ঘরে সন্ধ্যাকালে আইলাম বাজারে, এক সের পাবি দেড় সের খাবি ঘরত নিবি কী, ডালেতে লড়িচড়ি বৈও চাতকি ময়নারে প্রভৃতি । তাঁর গানগুলোর সুরে বিশেষ মাদকতা থাকায় গানগুলোকে বাংলা গানের বিশেষ সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমনকি, এ কারণে আস্কর আলী পণ্ডিতকে হাছন রাজার মতো ভাবুক ও গীতিকারও মনে করা হয়। [৫][৬][৭] তাঁর পঞ্চসতী প্যারজান, জ্ঞান চৌতিসা, বর্গসাস্ত্র, হাফেজ বাহাদুর, নন্দবিলাস প্রভৃতি গ্রন্থের বিভিন্ন ছিন্ন অংশ এবং স্থানীয় মানুষের স্মৃতি থেকে সংগৃহীত গানগুলোর (প্রায় ৩০০) সঙ্গে তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনকাল নিয়ে শামসুল আরেফীন প্রকাশ করেছেন ১১২ পৃষ্ঠার ‘আস্কর আলী পণ্ডিত : একটি বিলুপ্ত অধ্যায়’ গ্রন্থটি।[৮]