আলী কায়সার হাসান মোর্শেদ (মৃত্যু ২৩ নভেম্বর ২০২৩) ছিলেন একজন বাংলাদেশী কূটনীতিক। তিনি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১] তিনি এছাড়া বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের চেয়ারম্যান ছিলেন।[২]
আলী কায়সার হাসান মোর্শেদ কেজি মোর্শেদ ও জুলেখা মোর্শেদের ঘরে জন্ম নেন।[৩] তিনি ১৯৫৬ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৫৮ সালে হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।[৪]
মোর্শেদ ১৯৫৭ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের ফরেন সার্ভিস শাখায় যোগদান করেন।[৪]
১৯৭০ সালে, মোর্শেদ অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তান দূতাবাসের কাউন্সিলর ছিলেন।[৫]
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, মোর্শেদ ১৯৭১ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪] তিনি জুলাই ১৯৭২ থেকে অক্টোবর ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপমহাদেশ বিষয়ক মহাপরিচালক ছিলেন।[৪][৬] তিনি ১৯৭৬ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৭৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।[৪]
মে ১৯৭৯ থেকে জুলাই ১৯৮২ পর্যন্ত মোর্শেদ পশ্চিম জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।[৪] ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি জেনেভায় জাতিসংঘ অফিসে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন।[৪] ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।[৪] ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি পশ্চিম জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আবারও দায়িত্ব পালন করেন।[৪]
মোর্শেদ ২৫ জুন ১৯৮৯ থেকে ২১ অক্টোবর ১৯৮৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন।[৪] অবসর গ্রহণের পর, ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেন।[৪]
আলী কায়সার হাসান মোর্শেদ সুরাইয়া মোর্শেদকে বিয়ে করেন।[৭] তাদের মেয়ে লামিয়া মোর্শেদ মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক।[৮]
আলী কায়সার হাসান মোর্শেদ ২৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[৯]