মুহাম্মদ আব্দুল হক আজমী |
---|
উপাধি | শাইখুল হাদীস, শাইখে সানী, হজরত, মাওলানা |
---|
|
জন্ম | আব্দুল হক ১৯২৮
|
---|
মৃত্যু | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬(2016-12-30) (বয়স ৮৭–৮৮)
|
---|
সমাধিস্থল | কাসেমী গোরস্তান, দারুল উলূম দেওবন্দ |
---|
ধর্ম | ইসলাম |
---|
জাতীয়তা | ভারতীয় |
---|
আখ্যা | সুন্নি |
---|
শিক্ষালয় | দারুল উলূম মাউ |
---|
সম্প্রদায় | ইসলামি শিক্ষা |
---|
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
---|
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | মাতুরিদী |
---|
আন্দোলন | দেওবন্দি |
---|
প্রধান আগ্রহ | হাদিস |
---|
উল্লেখযোগ্য কাজ | মুহাদ্দিস |
---|
শিক্ষা | মাওলানা, মূফতি |
---|
অন্য নাম | আজমী,শাইখুল হাদীস,শাইখে সানী |
---|
কাজ | মুহাদ্দিছ |
---|
|
শিক্ষক | হুসাইন আহমদ মাদানি, ইবরাহীম বালিয়াভী, ইজাজ আলী আমরুহী |
---|
|
আবদুল হক আজমি (১৯২৮ - ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬) একজন ভারতীয় সুন্নি ইসলামী পণ্ডিত ছিলেন। তিনি দারুল উলূম দেওবন্দের প্রাক্তন শায়খুল হাদীস ছিলেন। তিনি তার অনুসারীদের কছে শায়খে সানী নামেও পরিচিত।[১][২]
প্রাথমিক জীবন
আবদুল হক আজমির জন্ম ১৯৮৮ সালে আজমগড়ের জগদীশপুর এলাকায়।[৩] তিনি স্থানীয় স্কুল এবং তারপরে আজমগড়ের সরাই মীরের মাদ্রাসা বাইতুল উলুমে ভর্তি। পরে তিনি আরবি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত দারুল উলূম মাউ-এ পড়াশোনা করেন এবং পরে ১৯৪৮ সালে দারুল উলূম দেওবন্দে প্রবেশ করেন এবং হুসাইন আহমদ মাদানী, ইজাজ আলী আমরূহি এবং ইব্রাহিম বালিয়াভীর অধীনে স্নাতক অর্জন করেন। তিনি মজিদ আলী জৌনপুরীর শিষ্য তার সৎ পিতা মুসলিম জৌনপুরীর সাথে যুক্তিবিদ্যার অধ্যয়ন করেন।[৩][৪][৫]
কর্মজীবন
তিনি ষোল বছরেরও বেশি সময় ধরে বেনারসের মা'আতুল উলূমে বিভিন্ন ইসলামী জ্ঞান শিখিয়েছিলেন। তের বছর ধরে দারুল উলূম মাউ-এ মুফতী হিসাবে তিনি প্রায় ১৩,০০০ ফতোয়া জারি করেছিলেন।[১] পরে তিনি ১৯৮২ সালে দারুল উলূম দেওবন্দের হাদীস শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন যেখানে তিনি সহিহ বুখারী এবং মিশকাত আল-মাসাবিহ-এর দ্বিতীয় খণ্ডটি পড়ান। তিনি ৩৪ বছর ধরে দারুল উলূম দেওবন্দে সহিহ বুখারী পড়িয়েছিলেন। তার ছাত্রদের মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদ নজিব কাসেমি, মাহমুদ মাদানী, নূর আলম খলিল আমিনী এবং সালমান মনসুরপুরী।[১][৩][৪]
ব্যক্তিগত জীবন
তিনি ভারতীয় সাংবাদিক রানা আইয়ুব-এর পিতা মুহাম্মদ আইয়ুব ওয়াকিফের মামাতো বোনকে বিয়ে করেছিলেন।[৬]
মৃত্যু
আব্দুল হক আজমী ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ (৩০ রাবিউল আওয়াল ১৪৩৮ হিজরী) মারা যান এবং দারুল উলূম দেওবন্দের কাসেমি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার জানাজার নামাজ পরিচালনা করেন আরশাদ মাদানী। তিনি তার স্ত্রী এবং বারো সন্তান রেখে গেছেন। তার ছেলে আবদুল বার আজমী আজমগড়ের মাদ্রাসা বায়তুল উলুম সরাই মীরের হাদীসের অধ্যাপক।[১][৩][৫]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র