যুক্তরাজ্যের রয়্যাল এয়ার ফোর্স , বোর্নিওর সরওয়াকের প্রত্যন্ত গ্রামে বিড়াল বিতরণ করার এক অন্যরকম কর্মসূচি শুরু করে যাকে অপারেশন ক্যাট ড্রপ নাম দেওয়া হয়। ইঁদুরের মহামারি মোকাবেলায় বিস্তৃত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিড়াল বাক্সে করে প্যারাসুট দিয়ে নামানো হয়। যদিও এই ঘটনাটির অনেক তথ্যের বিশ্বাসযোগ্য সূত্র নেই। তবে এটা ভাবা হয় যে, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য অনিচ্ছাকৃত ডিডিটি স্প্রে করার সময় সেখানে বিড়ালের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছিল। অনেক সময় একটি ভাল পরিকল্পনা থেকেও পরিবেশের অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি হতে পারে অথবা সাধারণ জিনিসও অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত পরিণতি ডেকে আনে এই জিনিস বুঝাতেও এই গল্পটি বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়।
অপারেশন ক্যাট ড্রপ কীভাবে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য কীটনাশক ব্যবহারের সাথে সম্পৃক্ত বা খাদ্য শৃঙ্খলে কীটনাশকের অতিমাত্রায় ব্যবহারের কারণে বিড়ালের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছিল কিনা তা পরিষ্কার নয়। গল্পের বিভিন্ন দিককে নানা ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, সম্ভবত ডিডিটির চেয়ে ডিলড্রিন এ অঞ্চলটিতে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশি ব্যবহৃত হয় এবং তারপরেই অসংখ্য বিড়ালের মৃত্যু হয়েছিল। [১]
সমসাময়িক বিবরণে বলা হয়েছিল যে, কেবল মাত্র বিড়ালই ইঁদুর সমস্যা সমাধান করতে পারে এবং যার জন্য এই বিড়ালগুলো সিঙ্গাপুর থেকে রয়্যাল এয়ার ফোর্সের মাধ্যমে বহন করে [২] প্যারাসুট দিয়ে নামানো হয়। অপারেশনটি "সফল" হিসাবে ততক্ষণে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। [৩][৪] অপারেশনের পরপরই প্রকাশিত একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে ২৩টি বিড়াল ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়, যা পরবর্তী কয়েকটি বিবরণীতে উল্লিখিত ১৪,০০০ এর চেয়ে কিছু কম। [৫] সমসাময়িক প্রতিবেদনগুলো অপারেশনের কয়েক দিন পূর্বে ৩০টি বিড়ালের জন্য একটি ড্রাইভ "নিয়োগ"-এর বিজ্ঞপ্তিও দেয়। [৬]
২০১৫-এর অক্টোবরে এমনি একটি অনুরুপ প্রকল্পে, পানির গুণগতমান ঠিক করার জন্য আকাশ থেকে প্যারাস্যুটের সাহায্যে বিভার ছেড়ে দিতে দেখা যায়।[৭]