কান্দাগে হসন্ত রুয়ান কুমারা ফার্নান্দো (সিংহলি: හසන්ත ප්රනාන්දු; জন্ম: ১৪ অক্টোবর, ১৯৭৯) পান্দুয়ারা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০২ থেকে ২০০৬ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বাসনাহিরা সাউথ, চিল ম্যারিয়ান্স ক্রিকেট ক্লাব, মুরস স্পোর্টস ক্লাব, সেবাস্টিয়ানিটিস ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব, শ্রীলঙ্কা এ দল ও শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন হসন্ত ফার্নান্দো।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
মোরাতুয়ার প্রিন্স অব ওয়ালস কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ২০০১-০২ মৌসুম থেকে হসন্ত ফার্নান্দো’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। ব্যাট হাতে নিয়ে তিন সেঞ্চুরি সহযোগে ৩৫.০৫ গড়ে রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে ১৫.৭৩ গড়ে ৬১ উইকেট পান।
২০০৬ সালে হোয়াইটহ্যাভেন ক্রিকেট ক্লাবে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন। লিগের বোলিং গড়ে শীর্ষ স্থান অধিকার করেন। শ্রীলঙ্কা দল থেকে বাদ পড়ার পর ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে অর্ধ-পেশাদারী পর্যায়ের দল প্লাইমাউথে স্থানীয় ৫০ ওভারের লিগ প্রতিযোগিতায় খেলেন। আকস্মিকভাবেই শ্রীলঙ্কান ২০/২০ দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন ও দলের গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষিত খেলোয়াড় ছিলেন। প্লাইমাউথ দল পরবর্তীতে লিগের শীর্ষ স্থান দখল করে। ২০১১ সালে সাডবারি সিসিতে পেশাদারী খেলোয়াড় ছিলেন। এ পর্যায়ে ইস্ট অ্যাংলিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে ক্লাবে ভূমিকা রাখেন। ২০১২ সালেও ক্লাবে যুক্ত থাকেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও সাতটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন হসন্ত ফার্নান্দো। ৮ নভেম্বর, ২০০২ তারিখে জোহেন্সবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৫ নভেম্বর, ২০০২ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
সেবাস্টিয়ানিটিস ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাবে মাত্র এক মৌসুম খেলার পরপরই দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন। ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপকে ঘিরে দল নির্বাচকমণ্ডলী তাদের একদিনের দলের উপযোগী ফাস্ট বোলিং অল-রাউন্ডারের সন্ধান করছিল। হসন্ত ফার্নান্দোকে শীর্ষে রাখা হয়। ঐ মৌসুমে তিনি তিনটি সেঞ্চুরির সন্ধান পেয়েছিলেন। ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের অন্যতম খেলোয়াড় হিসেবে তাকে শ্রীলঙ্কা দলে রাখা হয়।
৪ আগস্ট, ২০০২ তারিখে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। খেলায় তার বোলিং বেশ আশাপ্রদ ছিল। পেসে দক্ষতা দেখালেও নিখুঁত নিশানা ও খেলার বোলিং ভঙ্গীমায় বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামলেও সুবিধে করতে পারেননি। তবে বল হতে বেশ সফল হন। পেসের অভাব সত্ত্বেও বৈচিত্র্যময় বোলিং উপহার দেন।
পরের বছর দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। জোহেন্সবার্গে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। কিন্তু, উভয় ইনিংসেই তিনি শূন্য রানে বিদেয় নেন। তিন বছর পর বাংলাদেশ সফরে যান। পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের আইসিসি টুয়েন্টি২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে খেলার জন্য আমন্ত্রিত হন।