সাইমন ক্যাটিচ

সাইমন ক্যাটিচ
২০০৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে সাইমন ক্যাটিচ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
সাইমন ম্যাথু ক্যাটিচ
জন্ম (1975-08-21) ২১ আগস্ট ১৯৭৫ (বয়স ৪৯)
মিডল সোয়ান, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামক্যাট
উচ্চতা১.৮২ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি চায়নাম্যান
ভূমিকাব্যাটসম্যান, মাঝে-মধ্যে স্পিন বোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৮৪)
১৬ আগস্ট ২০০১ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৩ ডিসেম্বর ২০১০ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৩)
২১ জানুয়ারি ২০০১ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই শার্ট নং১৩ ও ১৯
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৫/৯৬–২০০১/০২; ২০১৩/১৪ওয়েস্টার্ন ওয়ারিয়র্স
২০০০ডারহাম
২০০২ইয়র্কশায়ার
২০০২/০৩–২০১১/১২নিউ সাউথ ওয়েলস
২০০৩–২০০৫হ্যাম্পশায়ার
২০০৭ডার্বিশায়ার
২০০৮–২০০৯কিংস এলেভেন পাঞ্জাব
২০১১/১২–২০১৩/১৪পার্থ স্কর্চার্স
২০১২/১৩দূরন্ত রাজশাহী
২০১৩ল্যাঙ্কাশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৫৬ ৪৫ ২৪৮ ২৩৩
রানের সংখ্যা ৪,১৮৮ ১,৩২৪ ১৯,৬৬৭ ৭,১৩৬
ব্যাটিং গড় ৪৫.০৩ ৩৫.৭৮ ৫২.৮৬ ৩৬.৪০
১০০/৫০ ১০/২৫ ১/৯ ৫৪/১০৩ ৭/৫৫
সর্বোচ্চ রান ১৫৭ ১০৭* ৩০৬ ১৩৬*
বল করেছে ১,০৩৯ ৬,২৩১ ৮৭৭
উইকেট ২১ ১০৫ ২৪
বোলিং গড় ৩০.২৩ ৩৫.০৯ ৩৪.০৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৬৫ ৭/১৩০ ৩/২১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩৯/– ১৩/– ২১৮/– ১০৫/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ জুলাই ২০১২

সাইমন ম্যাথু ক্যাটিচ (ইংরেজি: Simon Katich; জন্ম: ২১ আগস্ট, ১৯৭৫) ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মিডল সোয়ানে জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সদস্য থাকাকালীন তিনি মূলতঃ বামহাতে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন। মাঝে-মধ্যে বামহাতে চায়নাম্যান বোলিং করতেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিজ রাজ্যদল ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজ ও কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ার, ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলেছেন ‘ক্যাট’ ডাকনামে পরিচিত সাইমন ক্যাটিচ। এছাড়াও, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কিংস ইলাভেন পাঞ্জাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

প্রারম্ভিক জীবন

১৯৯৬ সালে এআইএস অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট একাডেমি বৃত্তি পান।[] ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে তার অভিষেক ঘটে। পরের মৌসুমেই ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দল শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা জয় করে যাতে প্রধান ভূমিকা রাখেন ক্যাটিচ। এ মৌসুমে ১,০৩৯ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি।[] ২০০০-০১ ঘরোয়া মৌসুমে ১,২৮২ রান সংগ্রহ করেন।

পরবর্তীতে আবাসস্থল পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে নিউ সাউথ ওয়েলসে বসবাস করতে থাকেন। সেখানকার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজ দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালনসহ ডার্বিশায়ার ক্লাবের অধিনায়ক ছিলেন যা ২০০৭ মৌসুম পর্যন্ত চলমান ছিল।[] ২০০৭-০৮ ঘরোয়া মৌসুমে ক্যাটিচের সেরা সময় কাটে। ১,৫০৬ রান করে মাইকেল বেভানের পুরা কাপ/শেফিল্ড শিল্ডের সর্বাধিক রানের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন। তার এ নৈপুণ্যে নিউ সাউথ ওয়েলস দল ৪৫তম শিরোপা লাভ করে।

খেলোয়াড়ী জীবন

২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৫৬ টেস্ট খেলেছেন। শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে সফরে জাতীয় দলের সদস্য মনোনীত হলেও বসন্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এ সুযোগ নষ্ট হয়। ২০০১ সালে ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ সফরে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। কিন্তু অভিষেক টেস্টে তিনি কেবলমাত্র ১৫ ও অপরাজিত শূন্য রান করেছিলেন। দ্বিতীয় খেলায় প্রথমবারের মতো বোল্ড হন ও সিডনিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬/৬৫ লাভ করেন। ২০০৪ সালে স্টিভ ওয়াহ’র অবসরের পর অস্ট্রেলিয়া দলে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন। জানুয়ারি, ২০০৪ সালে তিনি তার সেরা টেস্ট ব্যাটিং প্রদর্শন করেন। সিডনিতে ভারতের বিপক্ষে ১২৫ ও অপরাজিত ৭৭ রানের কল্যাণে দলকে রক্ষা করেন। এ সময় অস্ট্রেলিয়া দল টেস্ট, সিরিজ ও দীর্ঘতম সময়ের জন্য টেস্টে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে। তারপরও পরের টেস্টেই অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস তার স্থলাভিষিক্ত হন। শ্রীলঙ্কায় প্রথম দুই টেস্টের পর বাদ পড়লে ক্যাটিচ দলে অন্তর্ভুক্ত হন। তৃতীয় টেস্টে ৮৬ করেন। নিজ স্থান ধরে রেখে অক্টোবর, ২০০৪ সালে ভারতে টেস্ট সিরিজ খেলেন।

অবসর

১২ জুন, ২০১২ তারিখে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ক্যাটিচ।[] তারপরও তিনি ২০১৩ সালে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলেছেন।[]

তথ্য

  1. Excellence : the Australian Institute of Sport। Canberra: Australian Sports Commission। ২০০২। 
  2. Cricinfo.com
  3. Katich leaves Derbyshire
  4. "Simon Katich retires from first-class game"। ১২ জুন ২০১২। 
  5. [১]

বহিঃসংযোগ

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
গ্রেম ওয়েলচ
ডার্বিশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক
২০০৭
উত্তরসূরী
রিক্কি ক্লার্ক


Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!