সমান্তরাল চলচ্চিত্রসক্রিয় বছর | ৪০ ১৯৫২-১৯৯২ (নবকল্লোল) |
---|
দেশ | ভারত |
---|
প্রধান ব্যক্তিত্ব | সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক, তপন সিংহ, আদুর গোপালকৃষ্ণন, বালু মহেন্দ্র, জি. অরবিন্দন, শ্যাম বেনেগল, গিরিশ কারনাড, গিরীশ কসরবল্লি, শাজি এন. করুণ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, গৌতম ঘোষ, ঋতুপর্ণ ঘোষ, কে. এন. টি. শাস্ত্রী |
---|
অনুপ্রেরণা | ভারতীয় মঞ্চনাটক, বাংলা সাহিত্য, সামাজিক বাস্তববাদ, কাব্যিক বাস্তববাদ, ইতালিয় নয়াবাস্তববাদ |
---|
সমান্তরাল চলচ্চিত্র হল ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটি চলচ্চিত্র আন্দোলন। পশ্চিমবঙ্গে ১৯৫০-এর দশকে মূলধারার ভারতীয় বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের বিপরীতে এই আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটেছিল। ইতালিয় নয়াবাস্তববাদ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সমান্তরাল চলচ্চিত্র ফরাসি নবকল্লোল ও জাপানি নবকল্লোলের কিছু সময় পূর্বে শুরু হয়, এবং এটি ১৯৬০-এর দশকের ভারতীয় নবকল্লোলের অগ্রদূত। বাংলা চলচ্চিত্র শুরুতে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় এবং এই আন্দোলন থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাদৃত চলচ্চিত্র নির্মাতা, তথা সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক, তপন সিংহ-সহ অন্যান্যদের পরিচয় করিয়ে দেয়। পরবর্তী কালে এই আন্দোলন ভারতের অন্যান্য চলচ্চিত্র শিল্পে প্রসিদ্ধি অর্জন করে।
এই ধারার চলচ্চিত্রসমূহ মূলত সমকালীন সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নজর রেখে এর গাম্ভীর্যপূর্ণ বিষয়বস্তু, বাস্তবতাবাদ ও স্বভাববাদ, প্রতীকী উপাদানের উপস্থাপন এবং মূলধারার ভারতীয় চলচ্চিত্রের সাধারণ বৈশিষ্ট তথা নৃত্য ও গান বাদ দেওয়ার জন্য পরিচিত।
ইতিহাস
ভারতীয় চলচ্চিত্রে বাস্তবতাবাদের উৎপত্তি ঘটে ১৯২০ ও ১৯৩০-এর দশকে। বাস্তবতাবাদের প্রারম্ভিক উদাহরণের একটি হল বাবুরাও পেইন্টারের ১৯২৫ সালের নির্বাক চলচ্চিত্র সবকরি পাশ। এটি একজন দরিদ্র কৃষকের (ভি. শান্তরাম) গল্প, যিনি লোভী মহাজনের নিকট তার জমি বন্ধক রেখে সব হারান, এবং শহরে গিয়ে একটি মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হন।[১] ১৯৩৭ সালে শান্তরামের দুনিয়া না মানে চলচ্চিত্রটিতে ভারতীয় সমাজে নারী প্রতি আচরণের সমালোচনার চিত্র দেখা যায়।[২]
উল্লেখযোগ্য পরিচালক
- অ
- আ
- ঋ
- ক
- গ
- জ
- ত
- দ
- ন
- প
- ব
- ম
- র
- স
- শ
তথ্যসূত্র
|
---|
শৈলী অনুসারে | |
---|
বিষয়বস্তু অনুসারে | |
---|
আন্দোলন বা সময়কাল অনুযায়ী | |
---|
দর্শক অনুসারে | |
---|
বিন্যাস, কৌশল, দৃষ্টিভঙ্গির, বা নির্মাণ অনুসারে | |
---|