আল শাখাউয়ি লিখেছেন যে ৮ম শতক থেকে মেধা, বয়স বা পান্ডিত্য ছাড়াও বড় কোনো সম্প্রদায়ের ইসলামি বিষয়ের তদারককারী বা শহরের কাজি এমন অনেককে এই উপাধি দেয়া হত।
উসমানীয় সাম্রাজ্যের সময় এটি একটি সম্মানজনক পদ হয়ে উঠে। উসমানীয় যুগে আলেমদের মধ্যে শক্ত শ্রেণিবিভাগ ছিল। এর মধ্যে শাইখুল ইসলামের পদ ছিল সর্বোচ্চ। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর কাজিদের মধ্য থেকে রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে শাইখুল ইসলাম নিযুক্ত হতেন। নতুন সুলতান নিশ্চিত করার ক্ষমতা শাইখুল ইসলামের ছিল। কিন্তু নিযুক্ত হওয়ার পর কর্তৃত্বের দিক থেকে সুলতান শাইখুল ইসলামের উপরে অবস্থান করতেন। শাইখুল ইসলাম ফতোয়া জারি করতে পারতেন এবং শরিয়া আইনের প্রতিনিধিত্ব করতেন। ১৬ শতকে এর গুরুত্ব খুব বৃদ্ধি পায়। সুলতান মুরাদ ইয়াহিয়া নামক একজন সুফিকে তার শাইখুল ইসলাম হিসেবে নিযুক্ত করেন যা ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়।
১৯২০ সালে তুরস্কের জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ১৯২৪ সাল পর্যন্ত এই কার্যালয় শরিয়া ওয়া আউকাফ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। এরপর তুরস্কেধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা হওয়ার থেকে এর কার্যকলাপ প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিওস এফেয়ারসের অধীনে চলে যায়। শাইখুল ইসলামের দায়িত্বের ধারক হিসেবে এটি তুরস্কে সুন্নি ইসলামের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কর্তৃত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।