শওকত হাসানুর রহমান রিমন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। তিনি বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে এবং ২০১৮ সালে তৃতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।[১][২]
প্রারম্ভিক জীবন
শওকত হাচানুর রহমান রিমন ১৯৬৪ সালের ২৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।[৩]
রাজনৈতিক ক্যারিয়ার
নির্বাচনের রাজনীতিতে তার প্রথম হাতেখড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে। তার বাবা খলিলুর রহমান ও ছিলেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তিনি দীর্ঘদিন ওই ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপর তিনি পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে বরগুনা-২ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলু সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসন থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যও।[৪]
সমালোচনা
২০১৩ সালে বরগুনা-২ আসনের উপনির্বাচনে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়ার পর কিছু সংবাদ মাধ্যমে তার বাবা খলিলুর রহমান পটুয়াখালী মহাকুমা রাজাকার বাহিনীর চেয়ারম্যান ছিলেন বলে খবর বের হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় রিমনের বিরুদ্ধে বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার নির্দেশ জারি করে। তবে এর বিরুদ্ধে তার করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় সরকারি কর্মকর্তা, তাঁতি লীগের সভাপতি, হাসপাতালের কর্মী ও মহিলাদের পিটিয়ে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে তিনি আলোচনায় আসেন।[৪][৫][৬][৭][৮][৯][১০][১১][১২]
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রায় ৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অভিযোগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।[১৩]
তথ্যসূত্র