লেস্টার কিং
১৯৬৩ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে লেস্টার কিং |
|
পূর্ণ নাম | লেস্টার অ্যান্থনি কিং |
---|
জন্ম | ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৯ সেন্ট ক্যাথরিন, জ্যামাইকা |
---|
মৃত্যু | ৯ জুলাই, ১৯৯৮ কিংস্টন, জ্যামাইকা |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট |
---|
ভূমিকা | বোলার |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১১৯) | ১৩ এপ্রিল ১৯৬২ বনাম ভারত |
---|
শেষ টেস্ট | ২৮ মার্চ ১৯৬৮ বনাম ইংল্যান্ড |
---|
|
---|
|
|
|
---|
|
লেস্টার অ্যান্থনি কিং (ইংরেজি: Lester King; জন্ম: ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৯ - মৃত্যু: ৯ জুলাই, ১৯৯৮) জ্যামাইকার সেন্ট ক্যাথরিন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৮ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা ও ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিং করতেন লেস্টার কিং।
খেলোয়াড়ী জীবন
১৯৬১-৬২ মৌসুম থেকে ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম পর্যন্ত লেস্টার কিংয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভ হয়েছিল লেস্টার কিংয়ের। ১৩ এপ্রিল, ১৯৬২ তারিখে কিংস্টনে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৮ মার্চ, ১৯৬৮ তারিখে জর্জটাউনে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৬২ সালে ভারতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। সিরিজের পঞ্চম টেস্টে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন তিনি। কিংস্টনে সফরকারী ভারতের প্রথম ইনিংসে দূর্দান্ত বোলিং করেন। টেস্ট অভিষেকেই পাঁচ-উইকেট পান তিনি।[৪] জ্যামাইকার পক্ষে মাত্র দুইটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের পরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে খেলার জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেরা খেলোয়াড়দের উপস্থিতি সত্ত্বেও মাত্র ২৩ বছর বয়সে সাবিনা পার্কে ওয়েস হলের সাথে বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দেন। প্রথম চার ওভারেই ভারতের পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। এরফলে ভারতের সংগ্রহ ২৬/৫-এ দাঁড়ায়। খেলায় তিনি ৫/৪৬ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আরও দ্রুতলয়ে দুই উইকেট শিকার করেন। ঐ টেস্টে তার দল জয়ী হয় ও ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ করায়ত্ত্ব করে।
এর এক বছর বাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইংল্যান্ড গমন করে। কিন্তু, অধিকতর আগ্রাসী ভূমিকায় থাকা চার্লি গ্রিফিথের কারণে টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। তবে, ২৭.৩১ গড়ে ৪৭টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছিলেন। ঐ সফরে বোলিং গড়ে দশম স্থানে চলে যান। ১৯৬৬ সালে আঘাতের কারণে দলের বাইরে থাকেন। তাসত্ত্বেও, ভারত ও অস্ট্রালেশিয়া গমন করেন। বিদেশের মাটিতেও টেস্ট খেলার সুযোগ হয়নি তার। অতঃপর ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে জর্জটাউনে চার্লি গ্রিফিথের পরিবর্তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি আরও দুই উইকেট পান। তবে, এটিই তার সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।
খেলার ধরন
সুইং ও কাটের উপর তার অসম্ভব দক্ষতা ছিল। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমায় খেলতেন। খেলার মাঠে উৎফুল্ল অবস্থায় থাকতেন। জ্যামাইকার পক্ষে খেলার পাশাপাশি এক মৌসুম বাংলা ও ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে রটেনস্টলের পক্ষে খেলেছেন।
১৯৬০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ফাস্ট বোলারের মর্যাদা পেয়েছিলেন তিনি। দূর্ভাগ্যবশতঃ ওয়েস হল, হারম্যান গ্রিফিথ ও বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী গ্যারি সোবার্সের উপস্থিতির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে স্থায়ী সদস্যের মর্যাদা পাননি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে মাত্র দুই টেস্ট খেলার অধিকারী হন।
৯ জুলাই, ১৯৯৮ তারিখে ৫৯ বছর বয়সে জ্যামাইকার কিংস্টনে যকৃৎজনিত পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে লেস্টার কিংয়ের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ