রুয়ান কালপেগে
|
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ-ব্রেক |
---|
|
|
|
---|
|
রুয়ান সেনানি কালপেগে (সিংহলি: රුවන් කල්පගේ; জন্ম: ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০) ক্যান্ডিতে জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অল-রাউন্ডার হিসেবে অংশ নিয়েছেন। বামহাতি ব্যাটসম্যান রুয়ান কালপেগে ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়েও পারদর্শী ছিলেন। ক্যান্ডির সেন্ট অ্যান্থনি’জ কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়ে ১৯৮৯ সালে কলেজের ক্রিকেট দলে খেলেছেন।[১][২] এছাড়াও, ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব, নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাব, তামিল ইউনিয়ন ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাবে খেলেছেন তিনি।
খেলোয়াড়ী জীবন
ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচিত হতেন। ক্রিকেটে ক্ষুদ্রতম সংস্করণে অল-রাউন্ডার হিসেবে দলের অন্যতম দামী খেলোয়াড়ের মর্যাদা পেয়েছেন। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান কিংবা বোলারের কোনটিতেই তেমন সফলতা পাননি। দলনায়কের কাছে তিনি তার চাতুর্যময় অফস্পিন বোলিংয়ে সন্তুষ্ট রাখতেন। নিখুঁত লাইন ও লেন্থের যোগ্যতা থাকলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর অভাব ছিল। টেস্ট পর্যায়ের ১১ খেলায় দুইয়ের অধিক উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখাননি। ব্যাট হাতে কিছু রান সংগ্রহ করলেও তা নিম্নের সারির ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। উদীয়মান উপুল চন্দনা’র আবির্ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে তা স্তিমিত হয়ে পড়ে।
মার্চ, ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি আর কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেননি।[৩]
কর্মজীবন
১৯৯৯ সালে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নিয়ে ট্রেভর চ্যাপেলের সহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পান তিনি যা ২০০১ সাল পর্যন্ত চলমান ছিল। ২০০৪ সালে দলের কম্পিউটার বিশ্লেষকসহ উভয় দায়িত্ব পালন করেন। এপ্রিল, ২০০৬ সালে স্পিনার্স ক্লিনিকের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান। এছাড়াও এ-দল, অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-১৫ দলের কোচ ছিলেন তিনি। মার্চ, ২০০৮ সালে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে উচ্চ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনকারী প্রধান কোচ হিসেবে মনোনীত হন।[৪] ২০১০ সালে এ দায়িত্ব পরিত্যাগ করে পুনরায় শ্রীলঙ্কা দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব লাভ করেন। কিন্তু, আগস্ট, ২০১৪ সালে তাকে বাংলাদেশের সহকারী কোচ ও স্পিন-বোলিং কোচের দায়িত্বসহ ফিল্ডিং কোচ হিসেবে মনোনীত হন।[৫]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন