রফিক জুমাদিন
|
পূর্ণ নাম | রফিক রসিফ জুমাদিন |
---|
জন্ম | (1948-04-12) ১২ এপ্রিল ১৯৪৮ (বয়স ৭৬) হারমোনি হল, গাসপারিলো, ত্রিনিদাদ |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স |
---|
ভূমিকা | বোলার, প্রশাসক |
---|
সম্পর্ক | এস জুমাদিন (ভ্রাতা) |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৪৫) | ২০ এপ্রিল ১৯৭২ বনাম নিউজিল্যান্ড |
---|
শেষ টেস্ট | ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ বনাম ভারত |
---|
|
---|
|
|
|
---|
|
রফিক রসিফ জুমাদিন (ইংরেজি: Raphick Jumadeen; জন্ম: ১২ এপ্রিল, ১৯৪৮) গাসপারিলোর হারমোনি হল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ত্রিনিদাদীয় বংশোদ্ভূত সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও প্রশাসক। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন রফিক জুমাদিন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৬৭-৬৮ মৌসুম থেকে ১৯৮০-৮১ মৌসুম পর্যন্ত রফিক জুমাদিনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
ত্রিনিদাদীয় বামহাতি বোলার রফিক জুমাদিন ধন্যবাদবিহীন কাজে অগ্রসর হন। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে স্পিনারদের অপ্রতুলতায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে তাকে খেলার সুযোগ এনে দেয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে বারোটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন রফিক জুমাদিন। ২০ এপ্রিল, ১৯৭২ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯ তারিখে কানপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৭০-এর দশকে ১২টি টেস্টে অংশ নিলেও কেবলমাত্র একবারই পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেন তিনি। এরপর, ১৯৭৬ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। ঐ সফরে ৩০.০০ গড়ে ৫৮ উইকেট লাভ করলেও কেবল একটি টেস্টে তাকে খেলানো হয়। দল নেতা ক্লাইভ লয়েড পেস বোলিং আক্রমণে প্রতিপক্ষকে কাপুকাত করে ফেলতে ব্যস্ত থাকায় তাকে মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়েছিল।
মূল্যায়ন
মনোযোগের তুলনায় বলে নিখুঁতভাব বজায় রাখতেই অধিক সচেষ্ট ছিলেন। দলে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। তাসত্ত্বেও, পরিচ্ছন্ন ও মিতব্যয়ী বোলিংয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের অভিষেক খেলায় তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৬৪-৩১-৬৪-১।
সবমিলিয়ে তিনি ৮৪ রান তুলতে পেরেছিলেন। তন্মধ্যে, কেবল এক ইনিংসেই করেছিলেন ৫৬ রান।[১]
অবসর
১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টে এগারো উইকেট পান। কিন্তু, পরের মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে মাত্র তিন উইকেট লাভ ও ক্যারি প্যাকারের পরিচালনায় খেলোয়াড়দের প্রত্যাবর্তনে তাকে বাদ দেয়া হয়।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। জুলাই, ২০০৮ সালে ক্লাইড বাটসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় দল নির্বাচকের সদস্য হন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ