মাদুগালে ১৯৭৯ সালে আইসিসি ট্রফি’র চূড়ান্ত খেলায় কানাডা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক খেলায় অভিষিক্ত হন। ১৯৭৯ সালের প্রুডেন্সিয়াল বিশ্বকাপের ৯ম খেলায় ভারতের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে রঞ্জন গুণতিলেকে’র সাথে তারও একযোগে অভিষেক ঘটে।[১] খেলায় তিনি ২০ বল খেলে মাত্র ৪ রান সংগ্রহ করে মহিন্দর অমরনাথের বলে উইকেট-রক্ষক সুরিন্দর খান্না’র হাতে ধরা পড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। তা স্বত্ত্বেও তার দল ৪৭ রানের ব্যবধানে জয়ী হয়ে বড় ধরনের অঘটন ঘটায়।
১৯৮২ সালে শ্রীলঙ্কা টেস্ট ক্রিকেট দলের সূচনা খেলায় প্রথম ইনিংসে ৬৫ রানসহ অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র সাথে ৯৯ রানের জুটি গড়েন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ২১ টেস্ট ও ৬৩ ওডিআইয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও, ২টি টেস্ট ও ১৩টি ওডিআইয়ে শ্রীলঙ্কা দলের নেতৃত্ব দেন তিনি।[২] ১৯৮৫ সালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের পর তিনি টেস্টে মাত্র দুইটি অর্ধ-শতক করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় থেকে অবসর গ্রহণ করেন মাদুগালে।
ম্যাচ রেফারি
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে বিপণন নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ক্রিকেট মাঠের প্রতি তার আসক্তি আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরফলে ১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃক ম্যাচ রেফারি হিসেবে মনোনীত হন। আইসিসি’র সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে তিনি কাজ করতে থাকেন।
২০০১ সাল থেকে তিনি আইসিসি’র প্রধান ম্যাচ রেফারি হিসেবে কার্যসম্পাদন করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি ৭৭ টেস্ট ও ১৬৯ একদিনের আন্তর্জাতিকে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন যা তার অংশগ্রহণকৃত মোট খেলার চেয়েও বেশি। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের সফরকালে এশীয় দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিতর্কে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।[৩][৪][৫][৬]