মার্ক অ্যালান বুচার (ইংরেজি: Mark Butcher; জন্ম: ২৩ আগস্ট, ১৯৭২) লন্ডনের ক্রয়ডন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করে থাকেন। এছাড়াও, সারে ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন মার্ক বুচার।[১]
প্রারম্ভিক জীবন
কাউন্টি ক্রিকেটে ১৯৯২ সাল থেকে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এ সময় তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সারে দলের পক্ষে অভিষিক্ত হন।[২][৩] ২০০৬ সালে সহকারী কোচ হিসেবে তার বাবা অ্যালান বুচার সারে দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময়ে তিনি ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সারে দলে খেলেন। কাউন্টি ক্রিকেটের সবগুলো খেলাই সারে দলে খেলেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে।[৪]এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি অংশগ্রহণ করেন।[৪] ডিসেম্বর, ২০০৪ সালে তিনি তার সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৭১ টেস্টে ৩৪ ঊর্ধ্ব গড়ে ৮ সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন তিনি।[৫] কিন্তু তিনি কখনো একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেননি। ১৯৭০-৭১ থেকে শুরু হওয়া প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিকের পর টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ স্বত্ত্বেও ওডিআই না খেলার দিক দিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছেন।[৬]
শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। পাঁচ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজে দুইটি অর্ধ-শতক করেন। এরপর শীত মৌসুমে দলের অন্যান্য সদস্যের ন্যায় তিনিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যর্থ হন। তিনি মাত্র ১৫ গড়ে রান সংগ্রহ করেন।[৩] কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরবর্তী সিরিজে তিনি বেশ ভাল করেন। সিরিজে তিনি এক শতক ও দুই অর্ধ-শতক করেন। এরপর শীতের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে শতক করলেও পরের টেস্টগুলোয় তিনি সুবিধা করতে পারেননি। পরবর্তী ১২ টেস্টে কোন অর্ধ-শতকের সন্ধান পাননি।
বুচার ইংল্যান্ড দলকে একটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে নিয়মিত অধিনায়ক নাসের হুসেনের আঘাতজনিত অনুপস্থিতির কারণে তিনি এ দায়িত্ব পান।[৫]নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐ টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের পর ২০০০-এর শীতে দল থেকে বাদ পড়েন।
অবসর
হাঁটুর আঘাতের কারণে আগস্ট, ২০০৯ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।[৭] অবসর পরবর্তীকালে স্কাই স্পোর্টসে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পান ও টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে খেলা বিশ্লেষণে নিয়োজিত থাকেন। জানুয়ারি, ২০১০ সালে এমসিসি’র আজীবন সম্মানিত সদস্যের মর্যাদা লাভ করেন।[৮]