মারে চ্যাপেল

মারে চ্যাপেল
১৯৬১ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে মারে চ্যাপেল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
মারে আর্নেস্ট চ্যাপেল
জন্ম(১৯৩০-০৭-২৫)২৫ জুলাই ১৯৩০
ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড
মৃত্যু৩১ জুলাই ১৯৮৫(1985-07-31) (বয়স ৫৫)
হ্যামিল্টন, ওয়াইকাতো
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান, অধিনায়ক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬১)
১৩ মার্চ ১৯৫৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৪ ১১৯
রানের সংখ্যা ৪৯৭ ৫৩৪৪
ব্যাটিং গড় ১৯.১১ ২৮.৮৮
১০০/৫০ ০/৩ ৪/৩১
সর্বোচ্চ রান ৭৬ ১৬৫
বল করেছে ২৪৮ ১১০৬৪
উইকেট ১৪২
বোলিং গড় ৮৪.০০ ২৫.০৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২৪ ৫/২৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১০/- ৬৭/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মারে আর্নেস্ট চ্যাপেল (ইংরেজি: Murray Chapple; জন্ম: ২৫ জুলাই, ১৯৩০ - মৃত্যু: ৩১ জুলাই, ১৯৮৫) ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৬ সময়কালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও নিউজিল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি ও সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও বামহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন মারে চ্যাপেল

খেলোয়াড়ী জীবন

১৯ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে নামেন। শুরুতে ক্যান্টারবারির পক্ষে ১৯৪৯-৫০, ১৯৫২-৫৩ থেকে ১৯৬০-৬১ এবং পরবর্তীতে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে ১৯৫০-৫১ থেকে ১৯৫১-৫২, ১৯৬২-৬৩ মৌসুম থেকে ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম পর্যন্ত খেলেন।

প্লাঙ্কেট শীল্ডের চার মৌসুমে খেলার পর ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে জাতীয় পর্যায়ে সকলের নজরে কাড়েন। এ সময়ে সর্বোচ্চ রান তুলেন ৭৯। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যান্টারবারির সদস্যরূপে ব্যাটিং উদ্বোধন করে ১৬৫ ও ৮৮ রান তুলেন।[] ফলশ্রুতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে খেলার জন্য তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরের মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে অকল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৫/২৪ গড়েন। []

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

১৩ মার্চ, ১৯৫৩ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে মারে চ্যাপেলের। ১৩ বছরের খেলোয়াড়ী জীবনে ১৪ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। শুধুমাত্র ব্যাটিংয়েই পারদর্শী ছিলেন। তবে, ব্যাপক অর্থে তিনি তেমন সফলতা পাননি। মাত্র তিনবার পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন ও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল ৭৬ রানের।

১৯৫৩-৫৪ ও ১৯৬১-৬২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে দলের অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে দ্বিতীয় টেস্টে পায়ে গুরুতর আঘাত পান। ফলশ্রুতিতে তাকে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন।

অবসর

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর ১৯৭১-৭২ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড দলের ব্যবস্থাপকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যান। আঘাতের কারণে দলের খেলোয়াড়ের সংখ্যা দশে নেমে যাওয়ায় উইনওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলেন। তবে, বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় তিনি ব্যাট, বল কিংবা মাঠে নামেননি। উইজডেনে হেনরি ব্লোফেল্ড তার এ সফরের ব্যবস্থাপনার বিষয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তিনি অনেক ধরনের চাপ থেকে খেলোয়াড়দেরকে মুক্ত রাখার চেষ্টা চালান ও বিজ্ঞ পরামর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করেন। এ সফরের সফলতায় তিনি অবশ্যই ধন্যবাদ পাবার যোগ্য দাবীদার ছিলেন।[] এছাড়াও তিনি ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড দলকে নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান গমন করেন। ১৯৮৬ সালে দলকে নিয়ে ইংল্যান্ড সফরে যাবার কথা ছিল তার।[]

৩১ জুলাই, ১৯৮৫ তারিখে ৫৫ বছর বয়সে ওয়াইকাতোর হ্যামিল্টনে মারে চ্যাপেলের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

  1. Canterbury v South Africans 1952-53
  2. Canterbury v Auckland 1955-56
  3. Henry Blofeld, "New Zealand in the West Indies, 1971-72", Wisden 1973, p. 881.
  4. Wisden 1986, p. 1209.

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
জন রিড
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৬৬
উত্তরসূরী
ব্যারি সিনক্লেয়ার

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!