ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও ডানহাতে স্লো বোলিং করতেন। রাগবি ইউনিয়নের সাথেও জড়িত ছিলেন কার্লি পেজ।
খেলোয়াড়ী জীবন
ক্রাইস্টচার্চ বয়েজ হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তিনি। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সর্বক্রীড়ায় পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।[২] সচরাচর চার কিংবা পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামতেন কার্লি পেজ। এছাড়াও স্লো-মিডিয়াম বোলিং করতেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন ১৯৩১-৩২ মৌসুমে। ক্যান্টারবারির সদস্যরূপে ওয়েলিংটনের বিপক্ষে ২০৬ রান তুলেছিলেন। ২৭৭ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ উইকেটে অ্যালবি রবার্টসের সাথে মূল্যবান ২৭৮ রানের জুটি গড়েন।[৩]
১৯২০-২১ মৌসুম থেকে ১৯৪২-৪৩ মৌসুম পর্যন্ত তার প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় অধিনায়ক হবার কৃতিত্ব অর্জন করেন। নিউজিল্যান্ড দলকে সাত টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন কার্লি পেজ।
১৯২৭, ১৯৩১ ও ১৯৩৭ সালে সর্বমোট তিনবার ইংল্যান্ড গমন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব-পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে অংশগ্রহণকৃত ১৪ টেস্টের সবকটিতেই তার সপ্রতিভ পদচারণা ছিল।
১৯৩১ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান। লর্ডসে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। প্রথম ইনিংসে ১০৪ রান করলেও ২৩০ রানে নিউজিল্যান্ড দল পিছিয়ে ছিল। তৃতীয় উইকেটে স্টুই ডেম্পস্টারের সাথে ১১৮ রান তুলেন। এরপর চতুর্থ উইকেটে রজার ব্লান্টের সাথে ১০৫ মিনিটে ১৪২ রানের জুটি গড়েন।[৪]
ব্যক্তিগত জীবন
রাগবি ইউনিয়নে অল ব্ল্যাকসের পক্ষে হাফ-ব্যাক অবস্থানে খেলেন। ১৯২৮ সালে ক্রাইস্টচার্চে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৭ তারিখে ৮৪ বছর বয়সে ক্রাইস্টচার্চে কার্লি পেজের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
↑Knight, Lindsay। "Curly Page"। New Zealand Rugby Union। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।