মারজুক রাসেল |
---|
|
জন্ম | (1973-08-15) ১৫ আগস্ট ১৯৭৩ (বয়স ৫১)
|
---|
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
---|
পেশা | কবি, গীতিকার, মডেল, অভিনেতা |
---|
কর্মজীবন | ২০০৩-বর্তমান |
---|
মারজুক রাসেল (জন্ম ১৫ আগস্ট ১৯৭৩) একজন বাংলাদেশী কবি, গীতিকার, মডেল এবং অভিনেতা। তার কর্মজীবনের শুরু কবিতা ও গানের গীত রচনার মধ্য দিয়ে। তিনি টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, টেলিভিশনে তার অভিনীত প্রথম কাজ ছিল মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী পরিচালিত আয়না মহল। সেই থেকে তিনি বহু টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন এবং অসংখ্য টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। তিনি ২০০৪ সালে ব্যাচেলর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ের সূচনা করেন এবং প্রশংসা পান। মারজুক একাধিক সঙ্গীত ভিডিওতে কাজ করেছেন, যেমন ঘুড়ি তুমি কার আকাশে উড়ো (২০১২),[১] স্মৃতি কথা (২০১৭)।[২]
প্রারম্ভিক জীবন
মারজুক রাসেল ১৯৭৩ সালের ১৫ই আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার বাবা দৌলতপুরে একটি জুট মিলে কাজ করতেন। বাবার চাকরি সূত্রে তিনি বড় হয়েছেন খুলনার দৌলতপুরে। তিনি প্রথমে কৃষ্ণমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, তবে তার বাবা তাকে একটি মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করান।[৪] খুলনায় থাকাকালীন তিনি ১৯৮৪-৮৫ সালে ঢাকার সংবাদপত্রে ছাপার জন্য কবিতা লিখে পাঠাতেন। ১৯৯৩ সালে দৈনিক বাংলার বাণীতে তার প্রথম কবিতা ছাপা হয়। এরপর নিয়মিত তার কবিতা বিভিন্ন দৈনিকে ছাপা হয়।[৫]
কর্মজীবন
মারজুক ১৯৯৫ সালে গান লেখা শুরু করেন। সে সময় তিনি গান লিখে বিভিন্ন সুরকারকে দিতেন, কিন্তু কোন সুরকার তার গান নেননি। দুই বছর পর তিনি এক বন্ধুর বাসায় জেমসের গাওয়া "মান্নান মিয়ার তিতাস মলম" গান শুনে জেমসের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। লেখালেখির সূত্র ধরে তার সঞ্জীব চৌধুরীর সাথে পরিচয় ছিল, তার মাধ্যমেই সাউন্ড গার্ডেন স্টুডিওতে জেমসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। জেমস তখন লেইস ফিতা অ্যালবামের কাজ করছেন। মারজুক সেই অ্যালবামের জন্য "হাউজি", "দে দৌড়", এবং "রাখে আল্লাহ মারে কে" গান লিখেন।[৫] এরপর সাড়ে চার বছর জেমসের সাথে কাজ করেন। জেমসের "ঠিক আছে বন্ধু" অ্যালবামের জন্য "মীরাবাঈ", "এপিটাফ", "পত্র দিও"সহ ৭-৮টি গান লিখেন। "মীরাবাঈ" তার লেখা প্রথম জনপ্রিয় গান।[৫] এরপর তিনি বৃহস্পতি মিক্সড অ্যালবামের জন্য লিখেন "তেরো নদী সাত সমুদ্দুর", "শুরু হলো ভালোবাসা"। তিনি পুনরায় জেমসের জন্য পাগলা হাওয়া অ্যালবামের "আমি ভাসবে যে জলে" গান লিখেন।[৫]
তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের শিরোনাম শান্টিং ছাড়া সংযোগ নিষিদ্ধ। তারপরে তিনি যথাক্রমে তিনটি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন - চান্দের বুড়ির বয়স যখন ষোল (২০০৩), বাঈজী বাড়ি রোড, ছোট্ট কোথায় টেনিস বল।
তিনি প্রথম মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী পরিচালিত আয়না মহল ভিডিও ফিকশনের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন।[৬] এরপর তিনি চড়ুইভাতি টিভি নাটকে অভিনয় করেন। ফারুকীর সহকারী হিসেবে তিনি স্বরবর্ণ থিয়েটারে কাজ করেন।[৫] ২০০৪ সালে ব্যাচেলর দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে এবং তার কাজ বেশ প্রশংসিত হয়।[৭]
বইসমূহ
- শান্টিং ছাড়া সংযোগ নিষিদ্ধ (২০০০)
- চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (২০০৩)[৮]
- বাঈজী বাড়ি রোড
- ছোট্ট কোথায় টেনিস বল (২০০৫)[৯]
- দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর (২০২০)[১০]
- হাওয়া দেখি বাতাস খাই (২০২২ ফেব্রুয়ারী)
চলচ্চিত্রের তালিকা
- অভিনেতা
টেলিভিশন
গীতিকার
ওয়েব ধারাবাহিক
গান
নাম |
অ্যালবাম |
বছর |
শিল্পী
|
লেইস ফিতা লেইস
দে দূরে
বাইসকুপের খেলা
রাখে আল্লাহ মারে কে
হাউজি
|
লেইস ফিতা লেইস |
১৯৯৮ |
জেমস
|
জাত যায়
কথা
সারাবে সারাব
পাখি উড়ে যায়
পত্র দিও
মীরাবাঈ
|
ঠিক আছে বন্ধু |
১৯৯৯ |
জেমস
|
তেরো নদী সাত সমুদ্র
|
বৃহস্পতি |
- |
জেমস
|
সবার বাংলাদেশ
|
হ্রদয়ে রক্তক্ষরণ |
- |
আসিফ আকবর
|
তুমি হারিয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিও
|
পাশানি |
২০০৩ |
আসিফ আকবর
|
নারী
|
ফিস ফাস ফিস |
- |
আসিফ আকবর
|
একটি পরীর গল্প কি কারণে কোন কে কেনো ফুল বনমালী বেশে যাওয়ার গান পরিনতি' উল্টোরথে' সে আজকাল তোমাকে
|
হ্রদগন্ত
|
২০০৭
|
হাসান মাসুদ
|
ফুল তোক্বা
|
শখি তুমি কার
|
২০১৬
|
মারজুক রাসেল
|
- হা ডু ডুর জেমস
- ভাসবো যে জ্বলে প্রেম যমুনার কোলে জেমস
- ললনা আইয়ুব বাচ্চু
- তোমার চেখে দেখলে আইয়ুব বাচ্চু
- বদলে আসিফ আকবর (২০১৬)
- মিল আসিফ আকবর
- মাইথ আসিফ আকবর
- জলকণ্যা আসিফ আকবর
- ফু (২০১৮) আসিফ আকবর
- পুড়তে চাইলে
- ভালোবাসা দাও ভালোবাসা নাও
তথ্যসূত্র