ভৌত বিজ্ঞানসমূহ হল প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে প্রাণহীন জড় ব্যবস্থাসমূহ অধ্যয়ন করা হয়। এর বিপরীতে জৈবনিক বিজ্ঞানসমূহে জীবদের অধ্যয়ন করা হয়। ভৌত বিজ্ঞানের একাধিক শাখা-প্রশাখা রয়েছে, যেগুলির প্রতিটিকে একেকটি ভৌত বিজ্ঞান বলা হয়।
সংজ্ঞা
ভৌত বিজ্ঞানকে নিম্নলিখিতভাবে বর্ণনা করা যায়:
ভৌত বিজ্ঞান হল বিজ্ঞানের একটি শাখা (একটি পদ্ধতিগত প্রচেষ্টা যা মহাবিশ্ব সম্পর্কে পূর্বাভাসের মাধ্যমে জ্ঞান গঠন ও সংগঠিত করে।)[১][২][৩]
প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের একটি শাখা। প্রাকৃতিক বিজ্ঞান হল বিজ্ঞানের একটি প্রধান শাখা যেখানে অভিজ্ঞতালব্ধ সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে প্রকৃতির বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যা ও পূর্বাভাস প্রদানের চেষ্টা করা হয়। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে বৈজ্ঞানিক অনুকল্পগুলিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে যাচাই করা সম্ভব হলে সেগুলিকে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। বৈধতা, সঠিকতা ও গুণমান নিশ্চিতকারী সামাজিক কর্মপদ্ধতিসমূহ, যেমন সমকক্ষদের পর্যালোচনা ও গবেষণার ফলাফলসমূহের পুনরুৎপাদনযোগ্যতা এই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কিছু মানদণ্ড ও পদ্ধতি। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানকে আবার দুইটি প্রধান শাখায় ভাগ করা যায়: জৈবনিক বিজ্ঞান (অর্থাৎ জীববিজ্ঞান ও তার বিভিন্ন শাখাপ্রশাখা) এবং ভৌত বিজ্ঞান। উভয় শাখা ও তাদের সমস্ত উপশাখাগুলি প্রাকৃতিক বিজ্ঞান হিসেবে গণ্য হয়।
ফলিত বিজ্ঞানের একটি শাখা - ফলিত বিজ্ঞান হল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ব্যবহার করে ব্যবহারিক লক্ষ্য অর্জনের প্রক্রিয়া। এর মধ্যে প্রকৌশল এবং চিকিৎসার মতো বিভিন্ন শাখা অন্তর্ভুক্ত। যদিও চিকিৎসা সাধারণত ভৌত বিজ্ঞান হিসাবে বিবেচিত হয় না। ফলিত বিজ্ঞান প্রায়ই মৌলিক বিজ্ঞানের বিপরীতে কাজ করে। মৌলিক বিজ্ঞান মূলত বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এবং সূত্র উন্নতির দিকে মনোযোগ দেয়, যা প্রকৃতি বা অন্যান্য ঘটনাকে ব্যাখ্যা এবং পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
শাখাসমূহ
পদার্থবিজ্ঞান - হল প্রাকৃতিক এবং ভৌত বিজ্ঞানের একটি শাখা, যেখানে পদার্থ[৪] ও এর স্থান এবং সময়ের মধ্য দিয়ে গতি, এবং শক্তি ও বলের মতো সম্পর্কিত ধারণাগুলি নিয়ে গবেষণা করা হয়।[৫] আরও বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে, এটি প্রকৃতির সাধারণ বিশ্লেষণ। এর মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা হয় যে মহাবিশ্ব কীভাবে আচরণ করে।[ক][৬][৭]
জ্যোতির্বিজ্ঞান– এটি মহাকাশের বস্তু যেমন তারা, নক্ষত্রপুঞ্জ, গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু, ধূমকেতু এবং নীহারিকার অধ্যয়ন। এর পাশাপাশি এই বস্তুগুলির পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং তাদের বিবর্তন সম্পর্কেও গবেষণা করা হয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরের ঘটনাবলী যেমন অতিনবতারার বিস্ফোরণ, গামা রশ্মি বিস্ফোরণ, এবং মহাজাগতিক অণূক্ষিপ্ত বিকিরণও জ্যোতির্বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত।
রসায়নবিদ্যা – এটি পদার্থের উপাদান, গঠন, ধর্ম এবং পরিবর্তনের অধ্যয়ন।[৮][৯] রসায়নে একক পরমাণুর ধর্ম, যৌগ গঠনের সময় পরমাণুর মধ্যে রাসায়নিক বন্ধন তৈরি হওয়ার পদ্ধতি, এবং পদার্থের সাধারণ ধর্ম নির্ধারণকারী আন্তঃপরমাণু শক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া, এক পদার্থের সঙ্গে অন্য পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন পদার্থ গঠনের বিষয়ও রসায়নের অন্তর্ভুক্ত।
ভূবিজ্ঞান – এটি এমন একটি বিস্তৃত ক্ষেত্র যা পৃথিবী গ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানচর্চা করে। এই বিজ্ঞান পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ (ইকোস্ফিয়ার বা পৃথিবী ব্যবস্থা) কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে এটি বর্তমান অবস্থায় এসেছে, তা নিয়ে অধ্যয়ন করে। এটি বায়ুমণ্ডল, জলমণ্ডল, অশ্মমণ্ডল এবং জীবমণ্ডলের অধ্যয়নকে অন্তর্ভুক্ত করে।
উপাদান বিজ্ঞান – এটি একটি আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র, যা বিভিন্ন ধরনের উপাদান নিয়ে গবেষণা ও আবিষ্কার করে। উপাদান বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করেন কীভাবে একটি পদার্থের প্রক্রিয়াকরণ ইতিহাস (প্রসেসিং) তার গঠন, বৈশিষ্ট্য এবং কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। পদার্থের প্রক্রিয়াকরণ, গঠন ও বৈশিষ্ট্যের সম্পর্ক বোঝার পদ্ধতিকে তাত্ত্বিক পরিকাঠামো বলা হয়। এই তাত্ত্বিক পরিকাঠামো ব্যবহার করে ন্যানোপ্রযুক্তি, জৈব পদার্থ এবং ধাতুবিদ্যার মতো বিভিন্ন গবেষণায় উন্নত জ্ঞান অর্জন করা হয়।
কম্পিউটার বিজ্ঞান – এটি গণনা, তথ্য এবং স্বয়ংক্রিয়তার অধ্যয়ন। কম্পিউটার বিজ্ঞান তাত্ত্বিক শাখা (যেমন অ্যালগরিদম, গণনার তত্ত্ব এবং তথ্য তত্ত্ব) থেকে প্রয়োগমূলক শাখা (যেমন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের নকশা এবং প্রয়োগ) পর্যন্ত বিস্তৃত।
ইতিহাস
ভৌত বিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি প্রকৃতিবিজ্ঞানের এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা জীবদের পরিবর্তে জড় বস্তু নিয়ে অধ্যয়ন করে। ভৌত বিজ্ঞানের বহু শাখা রয়েছে, প্রতিটি শাখাকে "ভৌত বিজ্ঞান" বলা হয়, আর এদের একত্রে "ভৌত বিজ্ঞানসমূহ" বলা হয়। তবে "ভৌত" শব্দটি অনিচ্ছাকৃতভাবে এবং কিছুটা নির্বিচারে পার্থক্য তৈরি করে, কারণ ভৌত বিজ্ঞানের অনেক শাখা জীববিজ্ঞানঘটিত বিষয় যেমন জৈব রসায়ন নিয়ে কাজ করে।
ভৌত বিজ্ঞানের প্রধান চারটি শাখা হল: জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং পৃথিবী বিজ্ঞান। পৃথিবী বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে আবহবিদ্যা ও ভূবিজ্ঞান। একবিংশ শতকে ভৌত বিজ্ঞানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শাখার মধ্যে পদার্থবিদ্যা ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি ভৌত বিজ্ঞানের ইতিহাস, যা পদার্থ এবং এর স্থান-কালের মধ্যে গতি এবং সম্পর্কিত ধারণা যেমন শক্তি ও বল নিয়ে অধ্যয়ন করে।
শব্দবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি কঠিন, তরল এবং গ্যাসের মধ্যে যান্ত্রিক তরঙ্গ (যেমন কম্পন এবং শব্দ) নিয়ে অধ্যয়নের ইতিহাস।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পৃথিবীর বাইরের মহাবিশ্ব নিয়ে অধ্যয়নের ইতিহাস। এর মধ্যে মহাবিশ্বের গঠন, বিকাশ, এবং জ্যোতিষ্কগুলির (যেমন নক্ষত্রপুঞ্জ, গ্রহ ইত্যাদি) বিবর্তন, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, আবহবিদ্যা এবং গতি অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে উদ্ভূত ঘটনা (যেমন মহাজাগতিক বিকিরণ) নিয়েও গবেষণা এর অন্তর্ভুক্ত।
জ্যোতির্গতিবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি ক্ষেপণবিজ্ঞান ও মহাকাশ বলবিদ্যা ব্যবহার করে রকেট ও অন্যান্য মহাকাশযানের গতি-সমস্যার সমাধানের ইতিহাস।
জ্যোতির্মিতির ইতিহাস – এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের এমন একটি শাখার ইতিহাস, যেখানে নক্ষত্র ও অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুগুলির স্থান ও গতির সুনির্দিষ্ট মাপজোক নিয়ে কাজ করা হয়।
বিশ্বতত্ত্বের ইতিহাস – এটি এমন একটি বিদ্যার ইতিহাস, যা মহাবিশ্বের প্রকৃতি ও তার সম্পূর্ণ রূপ নিয়ে আলোচনা করে।
বহির্জাগতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরের বস্তুগুলি নিয়ে অধ্যয়ন করে।
ভৌত বিশ্বতত্ত্বের ইতিহাস – এটি মহাবিশ্বের বৃহৎ কাঠামো ও তার গতিশীলতার অধ্যয়নের ইতিহাস। এটি মহাবিশ্বের গঠন ও বিবর্তন নিয়ে মৌলিক প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজার ইতিহাস।
গ্রহসম্পর্কীয় বিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি গ্রহ (পৃথিবীসহ), উপগ্রহ এবং গ্রহগত ব্যবস্থাগুলি, বিশেষত সৌরজগতের গ্রহগুলির এবং তাদের গঠন প্রক্রিয়াগুলির বৈজ্ঞানিক অধ্যয়নের ইতিহাস।
নক্ষত্র জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি প্রকৃতিবিজ্ঞানের একটি শাখার ইতিহাস, যা জ্যোতিষ্কগুলির (যেমন নক্ষত্র, গ্রহ, ধূমকেতু, নীহারিকা, নক্ষত্রপুঞ্জ এবং ছায়াপথ) এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরের ঘটনার (যেমন মহাজাগতিক পটভূমি বিকিরণ) অধ্যয়ন নিয়ে কাজ করে।
গণনামূলক পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থবিজ্ঞানের বিদ্যমান পরিমাণগত তত্ত্বের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য সংখ্যাগত অ্যালগরিদম প্রয়োগের এবং বিকাশের ইতিহাস।
ঘনপদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি ঘনীভূত অবস্থার পদার্থের ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে অধ্যয়নের ইতিহাস।
হিমবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি −১৫০° সেলসিয়াস বা এর নীচে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রা উত্পাদন এবং সেই তাপমাত্রায় পদার্থের আচরণ নিয়ে অধ্যয়নের ইতিহাস।
গতিবিদ্যার ইতিহাস – এটি গতির কারণ এবং গতির পরিবর্তন নিয়ে অধ্যয়নের ইতিহাস।
অর্থপদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস– এটি আন্তঃশৃঙ্খল গবেষণার এমন একটি ক্ষেত্রের ইতিহাস, যেখানে পদার্থবিজ্ঞানে উদ্ভূত তত্ত্ব ও পদ্ধতি অর্থনীতির সমস্যাগুলির সমাধানে প্রয়োগ করা হয়।
তড়িৎচুম্বকত্বের ইতিহাস – এটি এমন একটি বিজ্ঞানের ইতিহাস, যা বৈদ্যুতিকভাবে চার্জযুক্ত কণার মধ্যে সংঘটিত বল এবং তাদের প্রভাব নিয়ে কাজ করে।
ভূ-পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস– এটি পৃথিবীর এবং মহাকাশের পরিবেশের পদার্থবিদ্যার ইতিহাস। এটি পরিমাণগত ভৌত পদ্ধতি ব্যবহার করে পৃথিবী অধ্যয়নের ইতিহাসও।
উপাদান পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি বল, তাপ, আলো এবং যান্ত্রিকতা ব্যবহার করে পদার্থের বিভিন্ন দিক থেকে ব্যাখ্যার ইতিহাস।
গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থবিজ্ঞানের সমস্যাগুলির সমাধানে গণিত প্রয়োগ এবং তত্ত্ব গঠনের জন্য গণিতের পদ্ধতি বিকাশের ইতিহাস।
বলবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা বল বা স্থানচ্যুতির প্রভাবে পদার্থের আচরণ এবং পরিবেশে সৃষ্ট প্রভাব নিয়ে কাজ করে।
জৈব বলবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি জীববিদ্যার কাঠামো ও কার্যকলাপের ইতিহাস, যেখানে মানুষের, প্রাণীর, উদ্ভিদের, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের এবং কোষের বৈশিষ্ট্য যান্ত্রিকতার পদ্ধতি ব্যবহার করে বিশ্লেষণ করা হয়।
চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি বলবিজ্ঞানের একটি প্রধান উপশাখার ইতিহাস, যেখানে বলের ক্রিয়ায় বস্তুর গতিবিধি বর্ণনা করার জন্য ভৌত নিয়মগুলির সেট নিয়ে কাজ করা হয়।
ধারাবাহিক বলবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি বলবিদ্যার একটি শাখার ইতিহাস, যেখানে পদার্থকে পৃথক কণার পরিবর্তে একটি ধারাবাহিক ভর হিসাবে মডেল করে পদার্থের গতি এবং যান্ত্রিক আচরণ বিশ্লেষণ করা হয়।
কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থবিজ্ঞানের এমন একটি শাখার ইতিহাস, যেখানে পদার্থের আচরণ বিশ্লেষণ করা হয়, যেখানে প্রভাব প্ল্যাঙ্ক ধ্রুবকের সমান পর্যায়ে থাকে।
তাপগতিবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি ভৌত বিজ্ঞানের একটি শাখার ইতিহাস, যা তাপ এবং এর অন্যান্য শক্তি বা কাজের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে।
নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা পরমাণুর নিউক্লিয়াসের গঠন এবং তাদের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে।
আলোকবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থবিজ্ঞানের একটি শাখার ইতিহাস, যা আলো এবং এর বৈশিষ্ট্য ও আচরণ, পদার্থের সঙ্গে এর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো ব্যবহার বা সনাক্ত করার যন্ত্রের নির্মাণ নিয়ে কাজ করে।
কণা পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা পদার্থ বা রশ্মির মৌলিক কণিকা এবং তাদের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে।
মনো পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি ভৌত উদ্দীপনা এবং তা দ্বারা সৃষ্ট অনুভূতি ও ধারণার মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে পরিমাণগত গবেষণার ইতিহাস।
পলিমার পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি পদার্থবিজ্ঞানের এমন একটি ক্ষেত্রের ইতিহাস, যা পলিমার, তাদের ওঠানামা, যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং পলিমার ও মনোমার সংশ্লেষণ এবং অবক্ষয়ের গতিবিদ্যা নিয়ে কাজ করে।
স্থিতিবিদ্যার ইতিহাস – এটি বলবিজ্ঞানের এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা বল এবং টর্ক বিশ্লেষণ করে, যেখানে বস্তু বা কাঠামো সময়ের সঙ্গে অবস্থান পরিবর্তন করে না, বা ধ্রুব গতিতে থাকে।
কঠিন অবস্থা পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি কঠিন পদার্থ বা কঠিন বস্তু নিয়ে গবেষণার ইতিহাস, যেখানে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান, স্ফটিকতত্ত্ব, তড়িৎচুম্বকত্ব, এবং ধাতুবিদ্যা ব্যবহার করা হয়।
রসায়নের ইতিহাস – এটি ভৌত বিজ্ঞানের একটি শাখার ইতিহাস, যা পরমাণবিক পদার্থ (যা রাসায়নিক মৌল দিয়ে তৈরি) এবং এর রাসায়নিক বিক্রিয়া, বৈশিষ্ট্য, গঠন, এবং আচরণ নিয়ে কাজ করে।
বিশ্লেষণী রসায়নের ইতিহাস – এটি প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম পদার্থের রাসায়নিক উপাদান পৃথকীকরণ, শনাক্তকরণ, এবং পরিমাণ নির্ধারণের ইতিহাস।
জ্যোতিঃরসায়নের ইতিহাস – এটি মহাবিশ্বের রাসায়নিক মৌল এবং অণুর প্রাচুর্য, তাদের বিক্রিয়া, এবং বিকিরণের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করে।
মহাজাগতিক রসায়নের ইইতিহাস– এটি মহাবিশ্বের পদার্থের রাসায়নিক গঠন এবং সেই গঠনে অবদান রাখা প্রক্রিয়াগুলির ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করে।
বায়ুমণ্ডলীয় রসায়নের ইতিহাস – এটি বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানের একটি শাখার ইতিহাস, যেখানে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ও অন্যান্য গ্রহের বায়ুমণ্ডলের রাসায়নিক গঠন এবং প্রক্রিয়াগুলি নিয়ে গবেষণা করা হয়। এটি একটি বহু-শাখাভিত্তিক গবেষণাক্ষেত্র, যা পরিবেশ রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, আবহাওয়াবিজ্ঞান, কম্পিউটার মডেলিং, মহাসাগরবিদ্যা, ভূতত্ত্ব এবং আগ্নেয়গিরি বিজ্ঞানসহ অন্যান্য শাখার ওপর নির্ভরশীল।
প্রাণরসায়নের ইতিহাস – এটি জীবের রাসায়নিক প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণার ইতিহাস। জীবরসায়ন জীবনের সমস্ত প্রক্রিয়া এবং জীবন্ত উপাদানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
কৃষি রসায়নের ইতিহাস – এটি রসায়ন ও প্রাণরসায়নের ইতিহাস, যা কৃষি উৎপাদন, কাঁচামালের খাদ্য ও পানীয় প্রক্রিয়াকরণ, এবং পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রাণ-জৈব রসায়নের ইতিহাস – এটি দ্রুত বর্ধমান একটি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রের ইতিহাস, যা জৈব রসায়ন এবং প্রাণরসায়নকে একত্রিত করে।
প্রাণ-পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি রসায়নের একটি নতুন শাখার ইতিহাস, যা জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করে।
পরিবেশ রসায়নের ইতিহাস– এটি প্রকৃতিতে রাসায়নিক ও জীবরাসায়নিক ঘটনাবলী নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ইতিহাস।
প্রতিরক্ষা রসায়নের ইতিহাস – এটি রসায়নের এমন একটি শাখার ইতিহাস, যা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া ও উপাদান নিয়ে গবেষণা করে।
চিকিৎসা রসায়নের ইতিহাস – এটি রসায়ন (বিশেষ করে সংশ্লেষিত জৈব রসায়ন), ঔষধ বিজ্ঞান, এবং অন্যান্য জীববৈজ্ঞানিক শাখার একটি মিশ্রণের ইতিহাস। এই শাখা ওষুধ তৈরী, রাসায়নিক সংশ্লেষণ, এবং বাজারজাত উন্নয়নে নিযুক্ত।
ঔষধবিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞানের একটি শাখার ইতিহাস, যা ওষুধের ক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে।
প্রাকৃতিক পণ্য রসায়নের ইতিহাস – এটি জীবন্ত জীব দ্বারা উৎপন্ন রাসায়নিক যৌগ বা পদার্থের ইতিহাস, যা সাধারণত ঔষধ আবিষ্কার এবং ওষুধের নকশায় জৈবিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়।
স্নায়ুরসায়নের ইতিহাস – এটি স্নায়ুরসায়নিক পদার্থের নির্দিষ্ট গবেষণার ইতিহাস। এর মধ্যে নিউরোট্রান্সমিটার এবং নিউরো-অ্যাকটিভ ড্রাগসের মতো অন্যান্য অণু অন্তর্ভুক্ত, যা স্নায়ুকোষের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে।
পরিগণনামূলক রসায়নের ইতিহাস – এটি রসায়নের একটি শাখা যা রাসায়নিক সমস্যাগুলির সমাধানে কম্পিউটার বিজ্ঞানের নীতিগুলি ব্যবহার করে।
রাসায়নিক তথ্যবিদ্যার ইতিহাস – রাসায়নিক তথ্যবিদ্যার ইতিহাস রাসায়নে তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার-ভিত্তিক পদ্ধতির প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে।
আণবিক বিজ্ঞানের ইতিহাস – এটি নিউটনীয় যন্ত্রবিজ্ঞানের মাধ্যমে অণু এবং তাদের সিস্টেম মডেল করার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করে।
স্বাদ রসায়নের ইতিহাস – কৃত্রিম এবং প্রাকৃতিক স্বাদ তৈরির জন্য রসায়নের প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে।
প্রবাহী রসায়নের ইতিহাস – এটি রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি ধারাবাহিক প্রবাহের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া এবং ব্যাচ উৎপাদনের পরিবর্তে প্রবাহ ভিত্তিক প্রক্রিয়ার বর্ণনা প্রদান করে।
ভূরসায়নের ইতিহাস – ভূরসায়নের ইতিহাস রাসায়নের মাধ্যমে পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ব্যবস্থার প্রক্রিয়াগুলি বিশ্লেষণের বিবরণ।
জলজ ভূরসায়নের ইতিহাস – এটি নদী অববাহিকায় বিভিন্ন উপাদানের ভূমিকা এবং বায়ুমণ্ডল, ভূমি ও জলজ পরিবেশের মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে উপাদানগুলির অদলবদল নিয়ে আলোচনা করে।
আইসোটোপ ভূরসায়নের ইতিহাস – ভূতত্ত্ব ও রাসায়নের মাধ্যমে উপাদান এবং তাদের আইসোটোপের আপেক্ষিক ও ঘনত্ব নিয়ে গবেষণা করে।
রাসায়নিক তাপগতিবিদ্যার ইতিহাস – তাপ ও কার্যের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং পদার্থের অবস্থা পরিবর্তনের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে গবেষণার ইতিহাস, যা তাপগতিবিদ্যার নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
তড়িৎ রসায়নের ইতিহাস – তড়িৎ রসায়ন হল রসায়নের একটি শাখা। এটি রাসায়নিক বিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে, যা দ্রবণে ঘটে। এই বিক্রিয়াগুলো এমন এক স্থানে ঘটে, যেখানে একটি ইলেকট্রন পরিবাহী (যেমন ধাতু বা আধা-পরিবাহী) এবং একটি আয়নিক পরিবাহী (যেমন তড়িৎদ্রব বা ইলেকট্রোলাইট) সংযোগ স্থাপন করে। এই প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটে। ইলেকট্রন স্থানান্তর হয় ইলেকট্রোড এবং তড়িৎদ্রব বা দ্রবণে উপস্থিত অন্য পদার্থের মধ্যে।
ফেমটো রসায়নের ইতিহাস রাসায়নিক বিক্রিয়ার অতি ক্ষুদ্র সময়সীমায় (প্রায় ১০−১৫) সেকেন্ড) সংঘটিত ঘটনাগুলি নিয়ে গবেষণা করে।
গাণিতিক রসায়নের ইতিহাস – গাণিতিক রসায়নের ইতিহাস হল রসায়নে নতুন গণিত প্রয়োগ এবং রাসায়নিক ঘটনাগুলির গণিত মডেল নিয়ে গবেষণার ইতিহাস।
যান্ত্রিক রসায়নের ইতিহাস – যান্ত্রিক রসায়ন এমন একটি শাখা যেখানে যান্ত্রিক এবং রাসায়নিক ঘটনাগুলোর সংযোগ আণবিক স্তরে বিশ্লেষণ করা হয়। এতে যান্ত্রিক ভাঙন, যান্ত্রিক চাপযুক্ত কঠিন পদার্থের রাসায়নিক আচরণ (যেমন, চাপ-ক্ষয়জনিত ফাটল), ঘর্ষণ বিজ্ঞান (ট্রাইবোলজি), শিয়ারের ফলে পলিমারের অবক্ষয়, গহ্বর সংশ্লিষ্ট ঘটনা (যেমন শব্দ রসায়ন এবং শব্দালোচ্ছটনা), শক তরঙ্গ রসায়ন ও পদার্থবিদ্যা এবং আণবিক যন্ত্রপাতির বিকাশ অন্তর্ভুক্ত।
ভৌত জৈব রসায়নের ইতিহাস – ভৌত জৈব রসায়ন এমন একটি ক্ষেত্র, যা জৈব অণুগুলোর গঠন এবং প্রতিক্রিয়াশীলতার মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে।
কোয়ান্টাম রসায়নের ইতিহাস – কোয়ান্টাম রসায়ন এমন একটি শাখা, যা রাসায়নিক ব্যবস্থার শারীরিক মডেল এবং পরীক্ষায় কোয়ান্টাম যান্ত্রিক তত্ত্ব প্রয়োগ করে।
শব্দ রসায়নের ইতিহাস – শব্দ রসায়ন রাসায়নিক ব্যবস্থার উপর শব্দ তরঙ্গ এবং এর বৈশিষ্ট্যের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে।
স্থিতি রসায়নের ইতিহাস – স্থিতি রসায়ন পরমাণুগুলোর আপেক্ষিক স্থানিক বিন্যাস এবং অণুর অভ্যন্তরীণ বিন্যাস নিয়ে গবেষণা করে।
অণুরোপ রসায়নের ইতিহাস – অণুরোপ রসায়ন এমন একটি শাখা, যা অণুর বাইরের রাসায়নিক ব্যবস্থাগুলো নিয়ে কাজ করে এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক সংযুক্ত অণু-উপাংশ বা উপাদানের রাসায়নিক ব্যবস্থাগুলো বিশ্লেষণ করে।
তাপ-রসায়নের ইতিহাস – তাপরসায়ন সেই রসায়ন শাখা, যেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং/অথবা ভৌত রূপান্তরের সঙ্গে জড়িত শক্তি ও তাপের অধ্যয়ন করা হয়।
উদ্ভিদ রসায়নের ইতিহাস – উদ্ভিদরসায়ন শব্দটির সঠিক অর্থে উদ্ভিদজনিত রাসায়নিক পদার্থগুলোর অধ্যয়ন বোঝানো হয়।
পলিমার রসায়নের ইতিহাস – পলিমার রসায়ন একটি বহুমুখী বিজ্ঞান। এটি পলিমার বা বৃহৎ অণুর রাসায়নিক সংশ্লেষণ এবং রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করে।
কঠিন-অবস্থা রসায়নের ইতিহাস – কঠিন অবস্থার রসায়ন হল এমন একটি শাখা, যা কঠিন অবস্থার উপাদানের সংশ্লেষণ, কাঠামো এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করে। এটি বিশেষত অণুর বাইরের কঠিন পদার্থ নিয়ে কাজ করে।
রসায়নের বহুমুখী ক্ষেত্রসমূহ
রাসায়নিক জীববিজ্ঞানের ইতিহাস – রাসায়নিক জীববিজ্ঞান একটি বিজ্ঞান শাখা, যা রসায়ন এবং জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলোকে সংযুক্ত করে। এতে রাসায়নিক পদ্ধতি এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করে জীবজগতের সিস্টেমগুলো অধ্যয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
রসায়ন প্রকৌশলের ইতিহাস – রাসায়নিক প্রকৌশল একটি প্রকৌশল শাখা, যা পদার্থবিজ্ঞান (যেমন রসায়ন এবং পদার্থবিদ্যা) এবং জীববিজ্ঞান (যেমন জীববিদ্যা, অণুজীববিদ্যা এবং জীবরসায়ন) নিয়ে কাজ করে। এটি গণিত এবং অর্থনীতির সাহায্যে কাঁচামাল বা রাসায়নিক পদার্থগুলোকে আরও কার্যকর বা মূল্যবান রূপে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করে।
↑"... modern science is a discovery as well as an invention. It was a discovery that nature generally acts regularly enough to be described by laws and even by mathematics; and required invention to devise the techniques, abstractions, apparatus, and organization for exhibiting the regularities and securing their law-like descriptions." —p.vii, J. L. Heilbron, (2003, editor-in-chief). The Oxford Companion to the History of Modern Science. New York: Oxford University Press. আইএসবিএন০-১৯-৫১১২২৯-৬.
↑"science"। Merriam-Webster Online Dictionary। Merriam-Webster, Inc। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১৬। 3 a: knowledge or a system of knowledge covering general truths or the operation of general laws especially as obtained and tested through scientific method b: such knowledge or such a system of knowledge concerned with the physical world and its phenomenaউদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑At the start of The Feynman Lectures on Physics, Richard Feynman offers the atomic hypothesis as the single most prolific scientific concept: "If, in some cataclysm, all [] scientific knowledge were to be destroyed [save] one sentence [...] what statement would contain the most information in the fewest words? I believe it is [...] that all things are made up of atoms – little particles that move around in perpetual motion, attracting each other when they are a little distance apart, but repelling upon being squeezed into one another ..." (Feynman, Leighton এবং Sands 1963, পৃ. I-2)
↑"Physical science is that department of knowledge which relates to the order of nature, or, in other words, to the regular succession of events." (Maxwell 1878, পৃ. 9)
↑"Physics is the study of your world and the world and universe around you." (Holzner 2006, পৃ. 7)
↑Russell, John B.। "What is Chemistry?"। Chemweb.ucc.ie। ৩ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "lower-alpha" নামক গ্রুপের জন্য <ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-alpha"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি
Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!