বৈশ্য কপালী (ইংরেজি: Baishya Kapali) সাধারণত কপালী নামে পরিচিত, যারা বাঙ্গালি হিন্দু কৃষিজীবী শ্রেণীর অর্ন্তভূক্ত। এই গোষ্ঠীর বিস্তার মূলত বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।১৯০৭
সাল থেকে তারা "বৈশ্য কাপালী" নামটি নিজেদের জাতির নাম হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে, যা নিয়ে এখন পর্যন্তসন্দেহ নেই।
। কপালীরা সাধারণত পাট উৎপাদনে পারদর্শী যার দ্বারা চটের ব্যাগ উৎপাদন করা হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কাপালীদের অন্যান্য অনগ্রসর জাতি শ্রেণীর তালিকাভুক্ত করা হয়।[১][২]
উৎপত্তি
রিসলে কাপালিদের "পূর্ব বাংলার একটি চাষী ও বয়নকারী জাতি হিসাবে উল্লেখ করেছেন, যারা নিজেকে একজন কর্মকার পিতা এবং একজন তেলি মায়ের সন্তান বলে দাবি করেন"।[৩] পাল সাম্রাজ্যের আমলে কাপালী, ডোম, চন্ডালদের সাথে একটি গোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। জ্যোতির্ময় শর্মা মনে করেন, কাপালীদের সামাজিক সম্মান ডোম এবং চন্ডালদের থেকে উপরে।[৪]
ইতিহাস
কাপালীরা দাবি করে যে তারা চন্ডাল এবং সুড়ি জাতির থেকে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী। সৎশুদ্রের বংশধর হওয়ায় ফলে খাঁটি ধোপা ও নাপিতরা তাদের জন্য কাজ করে। বৈশ্য মর্যাদা দাবির জন্য তারা "বৈশ্য কাপালী" নামটি ব্যাবহার করতে শুরু করেন। মাঝি, মন্ডল, সিকদার, মালা, হালদার এই পদবী গুলি কাপালীদের মধ্যে পাওয়া যায়। সরকার মনে করেন জাতিটি অনুভূমিক ভাবে সুস্পট এবং সংগঠনিক শ্রেণীতে বিভক্ত। কুলিন প্রথাও এই জাটিতির মধ্যে দেখা যায়।[৫][৬]