‘বেগুসরাই’ নামটি এসেছে ‘বেগমসরাই’ (অর্থাৎ রানির সরাইখানা) কথাটি থেকে। ‘বেগমসরাই’ পরবর্তীকালে ‘বেগুসরাই’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
ইতিহাস
প্রাচীনকালে বেগুসরাই অঞ্চলটি মিথিলা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৭০ সালে বেগুসরাই মুঙ্গের জেলার একটি মহকুমার স্বীকৃতি পায়। ১৯৭২ সালে বেগুসরাই পৃথক জেলার মর্যাদা লাভ করে।[১]
২০০৬ সালে ভারত সরকারেরপঞ্চায়েত মন্ত্রক দেশের ২৫০টি সর্বাধিক অনগ্রসর জেলার তালিকায় বেগুসরাই জেলার নাম নথিভুক্ত করে।[৪] বিহারের যে ৩৬টি জেলা অনগ্রসর অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচির অধীনে অনুদান পেয়ে থাকে, এই জেলা তার মধ্যে অন্যতম।[৪]
জনপরিসংখ্যান
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, বেগুসরাই জেলার জনসংখ্যা ২,৯৭০,৫৪১।[৫] এই জেলার জনসংখ্যা আর্মেনিয়া রাষ্ট্র[৬] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরমিসিসিপি রাজ্যের প্রায় সমান।[৭] জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যেীই জেলার স্থান ১২৮তম।[৫] বেগুসরাই জেলার জনঘনত্ব ১,৫৪০ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৪,০০০ জন/বর্গমাইল)।[৫] ২০০১-২০১১ দশকে এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল২৬.৪৪%।[৫] বেগুসরাই জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৮৯৫ জন মহিলা[৫] এবং সাক্ষরতার হার ৬৩.৮৭%।[৫]
বনাঞ্চল
১৯৮৯ সালে বেগুসরাই জেলায় কানোয়ারঝিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য গঠিত হয়। এই অভয়ারণ্যের আয়তন ৬৩ কিমি২ (২৪.৩ মা২)।[৮]
তথ্যসূত্র
↑Law, Gwillim (২০১১-০৯-২৫)। "Districts of India"। Statoids। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১।
↑ কখMinistry of Panchayati Raj (সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme"(পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। ৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল(পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১১।
↑US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১। Armenia
2,967,975
July 2011 est.line feed character in |উক্তি= at position 8 (সাহায্য)
↑"2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১১-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০। Mississippi
2,967,297line feed character in |উক্তি= at position 12 (সাহায্য)
↑Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Bihar"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১।