বালুচ জাতি

বালুচ
بلۏچ
২০১৭ সালে ইরানের আশকুতুতে কিছু বেলুচ শিশু
মোট জনসংখ্যা
১০ মিলিয়ন
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
 পাকিস্তান৬.৮ মিলিয়ন (২০১৭)
 ইরান১.৫ - ২ মিলিয়ন
 ওমান৫০০,০০০
 সংযুক্ত আরব আমিরাত৪৬৮,০০০
 আফগানিস্তান৫০০,০০০
 তুর্কমেনিস্তান১০০,০০০
ভাষা
বালুচীব্রাহুই
দ্বিতীয় ভাষা
পশতু (আফগানিস্তানে), ফার্সি (ইরানে), উর্দু (পাকিস্তানে)
ধর্ম
সংখ্যাগরিষ্ঠ :
ইসলাম
সংখ্যালঘু :
হিন্দুধর্ম
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী
ইরানি জাতি

বালুচ বা বেলুচ (বেলুচি: بلۏچ) হল একটি পশ্চিম ইরানীয় জাতিগোষ্ঠী।[] যারা প্রধানত বেলুচিস্তান অঞ্চলে বাস করে। বেলুচিস্তান ইরানী মালভূমির দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত যা পাকিস্তান, ইরান এবং আফগানিস্তানকে একত্র করেছে। এছাড়াও ভারত,[] তুর্কমেনিস্তান এবং আরব উপদ্বীপে কিছু বালুচ প্রবাসী রয়েছে।

বালুচ জনগণ প্রধানত বেলুচি ভাষায় কথা বলে। এটি একটি উত্তর-পশ্চিম ইরানীয় ভাষা। অধিকাংশ বালুচ পাকিস্তানের বেলুচিস্তান বসবাস করে। মোট বালুচ জনসংখ্যার প্রায় ৫০% বেলুচিস্তানে বসবাস করে।[] এর মধ্যে ৪০% সিন্ধুতে বসতি স্থাপন করেছে এবং একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা পাকিস্তানী পাঞ্জাবে বাস করে। তারা পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩.৬% এবং ইরান ও আফগানিস্তানের জনসংখ্যার প্রায় ২%।[][]

ব্যুৎপত্তি

'বেলুচ' শব্দের সঠিক উৎপত্তি অস্পষ্ট।

  • রলিনসন (১৮৭৩) বিশ্বাস করতেন যে এটি ব্যাবিলনীয় রাজা এবং দেবতা বেলুসের নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে ।
  • ডেমস (১৯০৪) বিশ্বাস করতেন যে এটি কক্সকম্বের ফার্সি শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে , যা খ্রিস্টপূর্ব 6 ষ্ঠ শতাব্দীতে বেলুচ সৈন্যদের শিরস্ত্রাণে ক্রেস্ট হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
  • হার্জফেল্ড (১৯৬৮) প্রস্তাব করেছিলেন যে এটি মধ্যবর্তী শব্দ brza-vaciya থেকে উদ্ভূত হয়েছে , যা উচ্চস্বরে বা আক্রমনাত্মক কথা বলার উপায় বর্ণনা করে।
  • নাসির দাশতি (২০১২) আরেকটি সম্ভাবনা উপস্থাপন করেছেন, যেটি বালাসাগানে বসবাসকারী জাতিগত গোষ্ঠী 'বালাসচিক'-এর নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে, বর্তমান তুরস্ক এবং আজারবাইজানের ক্যাস্পিয়ান সাগর এবং লেক ভ্যানের মধ্যে, যারা বেলুচিস্তানে স্থানান্তরিত হয়েছে বলে মনে করা হয়।[] সাসানীয় আমলে ।  মূল নামের অবশিষ্টাংশ যেমন 'বালুচুক' এবং 'বালোচিকি' এখনও বেলুচিস্তানে জাতিগত নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[]

কিছু লেখক সংস্কৃত শব্দ bal , যার অর্থ শক্তি এবং och অর্থ উচ্চ বা মহৎ থেকে উদ্ভূত হওয়ার কথা বলেন।[] বেলুচদের একটি প্রাচীনতম সংস্কৃত রেফারেন্স হতে পারে গুর্জরা-প্রতিহার শাসক মিহির ভোজ গোয়ালিয়র শিলালিপি (আর. ৮৩৬-৮৮৫), যা বলে যে রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা নাগভট প্রথম ভালচা ম্লেচাসের একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করেছিলেন। প্রশ্নবিদ্ধ সেনাবাহিনী সিন্ধু বিজয়ের পর উমাইয়া খিলাফতের।[]

ইতিহাস

বালুচ লোকসাহিত্য অনুসারে তাদের পূর্বপুরুষরা বর্তমান সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে বেলুচিস্তানে এসেছিলেন। তারা নিজেদের নবী মুহাম্মাদ সা.-এর চাচা আমীর হামজার রা. বংশধর বলে দাবি করেন। যাঁর বংশধরেরা আলেপ্পোয় বসতি স্থাপন করেছিল। ৬৮০ সালে কারবালায় দ্বিতীয় উমাইয়া খলিফা ইয়াজিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর আমীর হামজার রা. বংশধররা মধ্য কাস্পিয়ান অঞ্চলের পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্বে দিকে, বিশেষ করে ইরানের সিস্তানের দিকে চলে যায়।[]

বালুচী ভাষার ভাষাগত সংযোগের বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে অনেকে বলেন যে, বালুচী ভাষা পশ্চিম ইরানী ভাষাগুলির মধ্যে একটি। তাই বালুচ উপজাতিদের আদি বাসভূমি সম্ভবত মধ্য কাস্পিয়ান অঞ্চলের পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্বে ছিল। সাসানীয় যুগের শেষভাগে বিশেষ কারণে বালুচরা পূর্ব দিকে অভিবাসন শুরু করে এবং এই অভিবাসন কয়েক শতাব্দী ধরে ঘটেছে।

৯ম শতাব্দীর আরব লেখকরা বালুচদের বর্তমান পূর্ব ইরানের কেরমান, খোরাসান, সিস্তান এবং মাক্রানের মধ্যবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী বলে উল্লেখ করেছেন। এসব অঞ্চলে তারা ভেড়ার পাল লালনপালন করত এবং সুযোগ পেলে মরুভূমির যাত্রীদের লুণ্ঠন করত। এক সময় তারা গজনভী এবং সেলজুকদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর ফলে তারা তাদের পূর্বমুখী অভিবাসন অব্যাহত রাখে, যা তাদের বর্তমানে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে নিয়ে আসে। অনেক গবেষকের মতে, বেলুচিস্তানের জলবায়ু অধিক ঠাণ্ডা হওয়ার কারণে ১৩০০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে বালুচরা এবং সিন্ধু ও পাঞ্জাবে চলে আসে এবং সেখানে বসতি স্থাপন করেছিল।[১০]

বালুচ উপজাতিরা যে অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল তা পারস্যের সাফাভী সাম্রাজ্য এবং মুঘল সম্রাটদের মধ্যে বিরোধপূর্ণ অঞ্চল ছিল। যদিও মুঘলরা এই এলাকার পূর্ব অংশের উপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল। ১৭ শতকেরর মধ্যে মীর হাসান নামে একজন উপজাতীয় নেতা নিজেকে প্রথম "বালুচদের খান" হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ১৬৬৬ সালে মীর আহমাদ খান কামবারানি তার স্থলাভিষিক্ত হন, যিনি আহমদজাই রাজবংশের অধীনে কালাতের বেলুচি খানাত প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৩৯ সালে মুঘলদের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকারের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কালাত খানাত তার স্বায়ত্তশাসন হারায় এবং এই অঞ্চলটি কার্যকরভাবে ব্রিটিশ রাজের অংশ হয়ে যায়।[১১]

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হলে বেলুচিস্তান স্বাধীন পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়। তবে বালুচদের কিছু ক্ষু্দ্র দল অনেক আগ থেকেই বালুচ অধ্যুষিত অঞ্চলগুলো নিয়ে স্বাধাীন বেলুচিস্তান গঠনের উদ্দেশ্য আন্দোলন করে আসছে।

ধর্ম

১৮৯১ সালে গোয়ারজাকের একটি জিগ্রি (এক ধরনের ধর্মীয় নৃত্য)

পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বালুচ জনগণ সুন্নি মুসলমান। তাদের প্রায় ৬৪.৭৮% দেওবন্দী আন্দোলনের সাথে, ৩৩.৩৮% বেরেলভি আন্দোলনের সাথে এবং ১.২৫% আহলে হাদিস আন্দোলনের সাথে জড়িত। মাত্র ০.৫৯% বেলুচ শিয়া ইসলামের সাথে সম্পর্কযুক্ত। ৮০০,০০ পাকিস্তানি বালুচি জিকরি সম্প্রদায়কে অনুসরণ করে বলে অনুমান করা হয়।[১২][১৩] অল্প সংখ্যক বুগতি গোত্রের বালুচ অমুসলিম। তাদের মধ্যে কিছু হিন্দুশিখ সদস্য রয়েছে। এছাড়াও বেজেঞ্জো, মারি, রিন্দ এবং অন্যান্য বেলুচ উপজাতিতে কিছু হিন্দু রয়েছে। ভাগনারীরা ভারতে বসবাসকারী একটি হিন্দু বালুচ সম্প্রদায়, যারা তাদের উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ বেলুচিস্তান থেকে দেশভাগের সময় ভারতে চলে আসে।[১৪][১৫]

বেলুচ সংস্কৃতি

বেলুচ পুরুষরা ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করছে ।

সোনার অলঙ্কার, যেমন: নেকলেস ও ব্রেসলেট পরিধান করা বেলুচ মহিলাদের ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের গহনার সবচেয়ে পছন্দের জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল ডর। এটি এক ধরনের ভারী কানের দুল, যা সোনার চেইন দিয়ে মাথায় বেঁধে দেওয়া হয় যেন ভারী ওজন কানের ক্ষতি না করে। তারা সাধারণত একটি সোনার ব্রোচ (তাসনি ) পরে থাকে, যা স্থানীয় জুয়েলারীদের দিয়ে বিভিন্ন আকারে তৈরি করা হয়। এটি পোশাকের দুটি অংশ বুকের উপর একসাথে বেঁধে রাখতে ব্যবহৃত হয়।

প্রাচীনকালে বিশেষ করে প্রাক-ইসলামী যুগে বেলুচ মহিলাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ এবং লোকগান গাওয়ার সাধারণ রেওয়াজ ছিল। একজন বেলুচ মায়ের ঐতিহ্য প্রাচীনকাল থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্মে জ্ঞান স্থানান্তরের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বেলুচদের নিজস্ব পোশাকের স্টাইল ছাড়াও দেশীয় ও স্থানীয় রীতিনীতিও বেলুচদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।[১৬]

২ মার্চ বেলুচ জনগণ তাদের সংস্কৃতি ও ইতিহাস চর্চার অংশ হিসেবে বার্ষিক বেলুচ সংস্কৃতি ও ইতিহাস দিবস অত্যন্ত উৎসবের সাথে উদযাপন করে।[১৭]

বেলুচ উপজাতি

১৯৭০ সালে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরানের বেলুচ-অধ্যুষিত অঞ্চল (গোলাপী)

ঐতিহ্য

ঐতিহ্যগতভাবে ১২ শতকে জালাল খান প্রথম বেলুচি কনফেডারেসির শাসক এবং প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।[১৮] জালাল খান চার ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান: রিন্দ খান, লাশার খান, হোত খান, কোরা খান এবং এক বিবি জাতো। বিবি জাতো তার ভাগ্নে মুরাদকে বিয়ে করেছিলেন।[১৯]

বিভাগ

২০০৮ সালের হিসাবে অনুমান করা হয় যে, আফগানিস্তান, ইরান এবং পাকিস্তানে ৮ থেকে ৯ মিলিয়ন বেলুচ লোক বাস করে এবং তারা ১৩৯ টিরও বেশি উপজাতিতে বিভক্ত।[২০] কিছু অনুমান মতে, তারা ১৫০ টিরও বেশি শাখায় বিভক্ত।[২১]তামান নামে পরিচিত উপজাতিদের নেতৃত্ব দেন তুমান্দার হিসেবে পরিচিত একজন উপজাতি প্রধান এবং প্যারা নামে পরিচিত উপজাতিদের নেতৃত্বে দেন মুকদ্দাম হিসেবে পরিচিত একজন উপজাতি প্রধান।[২২]

পাঁচটি বেলুচ উপজাতি জালাল খানের সন্তানদের থেকে তাদের নাম নিয়েছে। এরা হয়তো তাদের প্রকৃত বংশোদ্ভূত অথবা ঐতিহাসিক উপজাতীয় আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে তাদের এভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।[২৩]

পাকিস্তান

পাকিস্তানের ডেরা বুগতি জেলায় ১৮০,০০০ জন বুগতি রয়েছে। তারা রাহিজা বুগতি, মাসোরি বুগতি, কালপার বুগতি, মারেহতা বুগতি এবং অন্যান্য উপ-উপজাতির মধ্যে বিভক্ত।[২০][২৪]

নবাব আকবর খান বুগতি ২০০৬ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তুমান্দার হিসেবে বুগতির নেতৃত্ব দেন। তালাল আকবর বুগতি ২০০৬ থেকে ২০১৫ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উপজাতীয় নেতা এবং জামহুরি ওয়াতান পার্টির সভাপতি ছিলেন।[২৫]

কোহলো জেলায় ৯৮,০০০ জন মারি রয়েছে।[২০] তারা নিজেদেরকে আরো বিভক্ত করে গজনি মারি, বেজারানি মারি এবং জারকন মারি হিসেবে পরিচিত করে[২০]

বিখ্যাত পাকিস্তানি বেলুচ ব্যক্তিবর্গ

  • মীর জাফর খান জামালি। তিনি মুসলিম লীগের একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং বেলুচিস্তানের একজন উপজাতীয় নেতা। তিনি কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।[২৬]
  • জাফরুল্লাহ খান জামালি,পাকিস্তানের ১৫তম প্রধানমন্ত্রী।[২৭]
  • মুসা খান, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডার ইন চিফ।
  • আসিফ আলী জারদারি, পাকিস্তানের ১১তম রাষ্ট্রপতি।[২৮]
  • আসিফ সাইদ খান খোসা, পাকিস্তানের ২৬তম প্রধান বিচারপতি।[২৯]
  • সরদার উসমান বুজদার,পাঞ্জাব প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।[৩০]
  • বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, পাকিস্তান পিপলস পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান।[৩১]
  • শিরিন মাজারি, মানবাধিকার বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সদস্য।[৩২]
  • আবদুল রশিদ গাজী, পাকিস্তানি কূটনীতিক এবং ধর্মীয় আলেম।[৩৩]
  • ফারুক লেঘারি, পাকিস্তানের অষ্টম রাষ্ট্রপতি।[৩৪]
  • মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, ইসলামী চিন্তাবিদ যিনি রুয়েত-ই-হিলাল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[৩৫]
  • সরদার মোহাম্মদ আইয়ুব খান গাধি, প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং পাঞ্জাবের সন্ত্রাস দমনের প্রাক্তন মন্ত্রী।
  • কিরণ মাকসুদ বালুচ, একজন পাকিস্তানি মহিলা ক্রিকেটার
  • মাওলানা আব্দুল আজিজ, লাল মসজিদের ইমাম
  • আফতাব বেলুচ, একজন প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
  • জুলফিকার আলী খোসা, পাঞ্জাব প্রদেশের সাবেক গভর্নর।
  • মীর হাজার খান খোসো, পাকিস্তানের ফেডারেল শরীয়ত আদালতের সাবেক প্রধান বিচারপতি।
  • লতিফ খোসা, পাঞ্জাবের প্রাক্তন গভর্নর।
  • মুহাম্মদ মুকিম খান খোসো, খোসো উপজাতির একজন প্রাক্তন প্রধান সরদার এবং PS-14 জ্যাকোবাবাদ থেকে প্রাদেশিক পরিষদের প্রাক্তন সদস্য।
  • সরফরাজ বুগতি, বেলুচিস্তানের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বর্তমানে সিনেটের সদস্য।
  • জাম কামাল খান, বেলুচিস্তানের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।
  • সানাউল্লাহ খান জেহরি, বেলুচিস্তানের ১৫তম মুখ্যমন্ত্রী।[৩৬]
  • সিরাজ রাইসানি, বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির সদস্য।[৩৭] তিনি সিতারা-ই-শুজাত খেতাবপ্রাপ্ত।[৩৮]
  • শেরবাজ খান মাজারি, একজন বেলুচ প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
  • সরদার মীর বলাখ শের মাজারি, ১৯৯৩ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী।[৩৯]
  • আবদুল কাদির বেলুচ। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল এবং বর্তমান পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ।
  • খায়ের বখশ মারি। তিনি পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের একজন বেলুচ রাজনীতিবিদ ছিলেন[৪০]
  • আকবর বুগতি, বুগতি উপজাতির সাবেক তুমান্দার এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের প্রতিমন্ত্রী।
  • কারিমা বেলুচ, মানবাধিকারকর্মী এবং স্বাধীন বেলুচিস্তান আন্দোলকারী।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Zehi, Pirmohamad। "A Cultural Anthropology of Baluchis"Iran Chamber Society 
  2. Badalkhan, Sabir। "A Brief Introduction to Balochi Literature"। 
  3. Blood, Peter, ed.
  4. Central Intelligence Agency (২০১৩)। "The World Factbook: Ethnic Groups"। ১৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৪ 
  5. দিগন্ত, Daily Nayadiganta-নয়া। "পাকিস্তানে বেলুচিস্তান সঙ্কট"Daily Nayadiganta (নয়া দিগন্ত) : Most Popular Bangla Newspaper। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৩ 
  6. Dashti, The Baloch and Balochistan 2012, পৃ. 8, 33–34, 44।
  7. Dashti, The Baloch and Balochistan 2012, পৃ. 33–34।
  8. Bhandarkar, D. R. (১৯২৯)। "Indian Studies No. I: Slow Progress of Islam Power in Ancient India"। Annals of the Bhandarkar Oriental Research Institute10 (1/2): 30। জেস্টোর 41682407 
  9. "ISBN"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-১৮। 
  10. "From Zardaris to Makranis: How the Baloch came to Sindh"The Express Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৩-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৩ 
  11. Foundation, Encyclopaedia Iranica। "Welcome to Encyclopaedia Iranica"iranicaonline.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৩ 
  12. Williams, Victoria R. (২০২০-০২-২৪)। Indigenous Peoples: An Encyclopedia of Culture, History, and Threats to Survival [4 volumes] (ইংরেজি ভাষায়)। ABC-CLIO। আইএসবিএন 978-1-4408-6118-5 
  13. Fair, C.; Hamza, Ali (২০১৭-০৪-০৪)। "Rethinking Baloch Secularism: What the Data Say"Peace and Conflict Studies24 (1)। আইএসএসএন 1082-7307ডিওআই:10.46743/1082-7307/2017.1405 
  14. "Over 100 Hindu families in Pak want to migrate to India"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০১-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৩ 
  15. "A piece of Balochistan in Mumbai since Partition — 150 families & Khatti Dal"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১১-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৩ 
  16. "Baloch Society & culture"। Baask.com। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  17. "Baloch Cultural Day celebrated with colourful functions, gatherings"Pakistan Today। Pakistan Today। ২ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৮ 
  18. Dashti, Naseer (২০১২)। The Baloch and Balochistan: A Historical Account from the Beginning to the Fall of the Baloch State। Trafford Publishing। পৃষ্ঠা 103–104আইএসবিএন 978-1-4669-5896-8 
  19. Badalkhan, Sabir (২০১৩)। Two Essays on Baloch History and Folklore। Balochistan Monograph Series, V। Universita degli studi di Napoli। পৃষ্ঠা 20। আইএসবিএন 978-88-6719-060-7 
  20. Tahir, Muhammad (৩ এপ্রিল ২০০৮)। "Tribes and Rebels: The Players in the Balochistan Insurgency"। Jamestown Foundation। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  21. Baloch, Muhammad Amin (১৯৯৯)। Inside Ormara। Muhammad Amin Baloch। পৃষ্ঠা 83। 
  22. Bonarjee, P. D. (১৮৯৯)। A handbook of the fighting races of India। Thacker, Spink & Co.। পৃষ্ঠা 47 
  23. Asimov, M. S.; Bosworth, C. E. (১৯৯২)। History of Civilizations of Central Asia (vol.4, part-1)। Motilal Banarsidass Publishing। পৃষ্ঠা 305। 
  24. Pakistan Horizon, Volume 59, Issues 3–4। Pakistan Institute of International Affairs। ২০০৬। 
  25. "JWP leader Talal Bugti passes away in Quetta"The Express Tribune। ২৭ এপ্রিল ২০১৫। 
  26. Dr Shahida Jaffrey Jamali (৬ এপ্রিল ২০১৭)। "Remembering Mir Jaffar Khan Jamali"Daily Times 
  27. "Zafarullah Khan Jamali – Age, Political Party, Family and Education"ARYNEWS। ১১ আগস্ট ২০১৮। 
  28. "Asif Ali Zardari"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ জানুয়ারি ২০১১। 
  29. "Justice Asif Saeed Khosa to be sworn in as 26th Chief Justice of Pakistan"www.thenews.com.pk (ইংরেজি ভাষায়)। 
  30. Haider, Sikandar (১৮ আগস্ট ২০১৮)। "Poorest Baloch tribe's chief set to rule Punjab"The Nation (ইংরেজি ভাষায়)। 
  31. "Bilawal Bhutto Zardari Net Worth, Height, Age, Family -Bio & Wiki"ARYNEWS। ১৪ জুলাই ২০১৮। 
  32. Birmani, Tariq Saeed (২৮ নভেম্বর ২০১৫)। "Mazari tribe divided over local politics"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। 
  33. Walsh, Declan (২০২১)। The Nine Lives of Pakistan: Dispatches from a Divided Nation। Bloomsbury Publishing। পৃষ্ঠা 32–33। 
  34. "Farooq Ahmad Khan: Bhutto's pick, until he sacked her"The National (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ অক্টোবর ২০১০। 
  35. Mansoor, Riaz (২০০৬)। Hayat Shaheed E Islam (حیات شہید ای اسلام)Maktaba Faridia। পৃষ্ঠা 57। 
  36. Notezai, Muhammad Akbar (১০ জানুয়ারি ২০১৮)। "Profile: Sanullah Zehri – more of a Sardar than a politician"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। 
  37. "I am Siraj Khan Raisani Baloch & I will die a Pakistani"www.thenews.com.pk (ইংরেজি ভাষায়)। 
  38. "President Alvi confers top civil, military awards for excellence on Pakistan Day"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ মার্চ ২০১৯। 
  39. "Balakh Sher Mazari – Age, Son, Family, Political party"ARYNEWS। ১৫ জুলাই ২০১৮। 
  40. Hasan Mansoor (১১ জুন ২০১৪)। "Khair Bakhsh Marri: a fighter all the way"Dawn (newspaper)। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!