ইতিহাসকালেরস্বাক্ষী বহনকারী ক্ষেতলাল উপজেলার অত্র একটি ঐতিহ্যবাহীঅঞ্চল হলো বড়তারা ইউনিয়ন। বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদটির তিন ধার দিয়ে প্রবাহিত হারাবতি ও তুলসীগঙ্গা নদী । কাল পরিক্রমায় আজ ও বড়তারা ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তায়সমুজ্জ্বল.
বড়তারা ইউনিয়নের ইতিহাস
তৎকালীন ব্রিটিশ শাসন আমলে আনুমানিক ১৯২০ ইং সনে বগুড়া মহকুমা অর্ন্তগত বড়তারা গ্রাম সহ মোট ১৯ টি মৌজা নিয়ে ও তৎসহ ৩৫টি গ্রাম সমন্বয়ে গঠিত হয় ২ নং বড়তারা এই পঞ্চায়েত ।উক্ত সময়ে ইউনিয়নের নাম ছিল পঞ্চায়েত। পরবর্তি ১৯৫০ইং সনে পাকিস্তান শাসন আমলে পঞ্চায়েত নাম বিলুপ্ত হয়ে তৎকালীন মৌলিক গনতন্ত্রের মাধ্যমে ইউনিয়ন প্রধানকে প্রেসিডেন্ট নামে ভুষিত করা হয়। ১৯২৬ ইং সনে এই ইউনিয়নের উত্তর হাট শহর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ক্ষীরদেশ্বর চক্রবর্তি বড়তারা পঞ্চায়েত প্রধান নিযুক্ত হন। পর্যায় ক্রমে পরবর্তিতে পাকিস্তানি শাসন আমলে তৎকালীন মহাতাব উদ্দীন সরদার ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।একটানা ৪২ বৎসর প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্টিত থাকার পর তিনি পরলোক গমন করিলে পুত্র গানী মোহাম্মদ সরদার ইউপি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন । তৎপরবর্তি জনাব মোঃ তোজাম্মেল হোসেন মন্ডল ও আঃ বারিক মন্ডর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। অতঃপর ২০০৩ সনে ইউপি নির্বাচনে জনৈক তোজাম্মেল হোসেন তোতা চেয়ারম্যান নিযুক্ত হইয়া প্রায় একটানা ০৯ বৎসর কার্যক্রম পরিচালনা করিতে থাকাকালে ২০১৩ ইং সালে পরবর্তি নির্বাচনে বর্তমান জনৈক্য মোঃ বোরহান উদ্দীন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
বড়তারা ইউনিয়নের নামকরণঃ
১৯২০ ইং সনের ব্রিটিশ শাসন আমলে তৎকালী এই বড়তারা গ্রামের জমিদার বাস করতেন । তারা ছিলেন দুই ভাই ১। তার বড় ভাইয়ের নাম ছিল শ্রী তারা চন্দ্র বাবু । আর তিনি বড় বলে তার নামানুসারে বড়তারা গ্রামের নাম রাখা হয় বড়তারা । আর এ গ্রামেই ইনিয়ন প্রতিষ্টিত হওয়ায় এই ইউনিয়নের নাম বড়তারা ইউনিয়ন।এই ইউনিয়নের মধ্যবর্তি ষ্থান দিয়ে বয়ে গেছে হাবারতী নদী যাহা তুলশীগংঙ্গা নদীতে মিলিত হয়েছে।উক্ত ইউনিয়নের একমাত্র যানবাহন ছিল গরু মহিষের গাড়ি যাহা বর্তমানে বিলুপ্তের হয়ে এখন ইঞ্জিন চালিত যান বাহন অবিচল রয়েছে
যোগাযোগ ব্যবস্থা
যোগাযোগ ব্যবস্থা
ক্ষেতলাল উপজেলা সদর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের দুরত্ব ৮ কি.মি.
উপজলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্স থেকে ভ্যান কিংবা সিএনজি যোগে ইউনিয়ন পরিষদে আসা যায়।
উপজেলা খেকেইউনিয়নে যাতায়াত ব্যবস্থা-
ভ্যান - ভাড়ার হার - ২০ - ২৫ টাকা। (জনপ্রতি)
লছিমন - ভাড়ার হার ২০- ২৫ টাকা । (জনপ্রতি)
বড়তারা ইউনিয়ন থেকে বিভিন্ন গ্রামে যাতায়াতের তথ্য-
পাঠান পাড়া বাজার থেকে বড়তারা ইউনিয়ন পর্যন্ত-
ভ্যান - ভাড়ার হার - ০৮ - ১০ টাকা। (জনপ্রতি)
লছিমন - ভাড়ার হার - ০৮ - ১০ টাকা । (জনপ্রতি)
নিশ্চন্তা থেকে বড়তারা ইউনিয়নপর্যন্ত-
ভ্যান া - ভাড়ার হার - ০৭ - ১০ টাকা। (জনপ্রতি)
লছিমন - ভাড়ার হার -০৫ - ০৮ টাকা । (জনপ্রতি)
ভ্যান - ভাড়ার হার - ০৫ - ০৮ টাকা। (জনপ্রতি)
প্রশাসনিক এলাকা
ক) নাম – ২নং বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদ।
খ) আয়তন – ৮,৬৯৬ একর ( ১৩.৫৮ বর্গ কিঃ মিঃ)
গ) লোকসংখ্যা -২৭,৪২৬ জন (প্রায়) (২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী)
ঘ) গ্রামের সংখ্যা – ৩৫ টি।
ঙ) মৌজার সংখ্যা – ১৯ টি।
চ) হাট/বাজার সংখ্যা -৬ টি।
ছ) উপজেলা সদর থেকে যোগাযোগ মাধ্যম – ভ্যান/অটরিক্সা/বেবীটেক্স/লছিমন।
জ) শিক্ষার হার – ৪৪.৭১%। (২০০১ এর শিক্ষা জরীপ অনুযায়ী)