বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থা। সংস্থাটি প্রত্নতত্ত্ব আইন ১৯৬৪ (১৯৭৬ সালে সংশোধিত) অনুসারে রাষ্ট্রের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ২০০৫ থেকে ঢাকার আগারগাঁওস্থ সদরদপ্তর থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যনির্বাহীকে মহাপরিচালক বলা হয়।
ইতিহাস
১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ শাসনামলে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া নামে এই প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা করে। ১৯৭১-এ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ঢাকায় এর কার্যালয় স্থাপিত হয়।[১] ১৯৮৩ সালে বিভাগীয় পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে ঢাকায় প্রধান দপ্তরসহ ৪টি বিভাগে আঞ্চলিক অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ ছাড়া অধিদপ্তরের অধীনে ২০ টি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর রয়েছে। এ অধিদপ্তর দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রাচীন সংস্কৃতি চিহ্নের আবিস্কারের মাধ্যমে ইতিহাস পুনরুদ্ধার এবং আবিস্কৃত স্থাপত্যিক কাঠামোর সংস্কার সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের কাজ করে থাকে।[২]
কার্যক্রম
বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহের তালিকা প্রণয়নসহ তাদের রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করে থাকে। বর্তমানে (এপ্রিল ২০২১) ৫২৪ টি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি রয়েছে এই অধিদপ্তরের অধীনে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মহাস্থানগড়, ময়নামতি, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, সীতাকোট বিহার, কান্তজীর মন্দির, ছোট সোনা মসজিদ, ষাট গম্বুজ মসজিদ, ভাসুবিহার, বিহার ও বারবাজার, লালবাগ দুর্গ। তন্মধ্যে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ও ষাট গম্বুজ মসজিদ বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে।[২]
জাদুঘরসমূহ
বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অন্তর্গত মোট ২১ টি জাদুঘর রয়েছে।[৩]
ঢাকা বিভাগ
রাজশাহী বিভাগ
রংপুর বিভাগ
- তাজহাট জমিদার বাড়ি জাদুঘর
খুলনা বিভাগ
চট্টগ্রাম বিভাগ
- ময়নামতি জাদুঘর
- জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর, আগ্রাবাদ
বরিশাল বিভাগ
- শেরেবাংলা স্মৃতি জাদুঘর
- বিভাগীয় জাদুঘর, বরিশাল
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ