টনি গ্রে
|
পূর্ণ নাম | অ্যান্থনি হোলিস গ্রে |
---|
জন্ম | (1963-05-23) ২৩ মে ১৯৬৩ (বয়স ৬১) পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো |
---|
উচ্চতা | ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি (১.৯৮ মিটার) |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট |
---|
ভূমিকা | বোলার, কোচ, ধারাভাষ্যকার |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৮৮) | ২৪ অক্টোবর ১৯৮৬ বনাম পাকিস্তান |
---|
শেষ টেস্ট | ১২ মার্চ ১৯৮৭ বনাম নিউজিল্যান্ড |
---|
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪৬) | ১৫ নভেম্বর ১৯৮৫ বনাম পাকিস্তান |
---|
শেষ ওডিআই | ২০ মার্চ ১৯৯১ বনাম অস্ট্রেলিয়া |
---|
|
---|
|
বছর | দল |
১৯৮৩ - ১৯৯৬ | ত্রিনিদাদ ও টোবাগো |
---|
১৯৮৫ - ১৯৯০ | সারে |
---|
১৯৯৩ - ১৯৯৪ | ওয়েস্টার্ন ট্রান্সভাল |
---|
|
---|
|
প্রতিযোগিতা |
টেস্ট |
ওডিআই |
এফসি |
এলএ |
---|
ম্যাচ সংখ্যা |
৫ |
২৫ |
১২২ |
৯১ |
রানের সংখ্যা |
৪৮ |
৫১ |
১,৭০২ |
৪১১ |
ব্যাটিং গড় |
৮.০০ |
৮.৫০ |
১৪.১৮ |
১৪.৬৭ |
১০০/৫০ |
০/০ |
০/০ |
০/৫ |
০/০ |
সর্বোচ্চ রান |
১২* |
১০* |
৬৯ |
২৪* |
বল করেছে |
৮৮৮ |
১,২৭০ |
২০,৫৪৮ |
৪,৪৬৭ |
উইকেট |
২২ |
৪৪ |
৪৫১ |
১২৮ |
বোলিং গড় |
১৭.১৩ |
১৮.৯৭ |
২২.৮০ |
২৩.০৬ |
ইনিংসে ৫ উইকেট |
০ |
১ |
১৯ |
১ |
ম্যাচে ১০ উইকেট |
০ |
০ |
৪ |
০ |
সেরা বোলিং |
৪/৩৯ |
৬/৫০ |
৮/৪০ |
৬/৫০ |
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং |
৬/– |
৩/– |
৫৭/– |
১৫/– | |
|
---|
|
অ্যান্থনি হোলিস গ্রে (ইংরেজি: Tony Gray; জন্ম: ২৩ মে, ১৯৬৩) পোর্ট অব স্পেন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ত্রিনিদাদ ও টোবাগীয় সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন টনি গ্রে।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৮৩-৮৪ মৌসুম থেকে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম পর্যন্ত টনি গ্রে’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ত্রিনিদাদের দীর্ঘদেহী ফাস্ট বোলার ছিলেন টনি গ্রে। ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী তিনি। এরফলে, বেশ জোড়ালো বাউন্স প্রদানে প্রকৃত পেসারের ন্যায় ভীতিপ্রদ ভূমিকা রাখতেন।
১৯৮৪ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন টনি গ্রে। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ইংরেজ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে সারের পক্ষে খেলেন। এছাড়াও, ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া আসরে ওয়েস্টার্ন ট্রান্সভালের পক্ষে খেলেছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্ট ও পঁচিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন টনি গ্রে। ২৪ অক্টোবর, ১৯৮৬ তারিখে ফয়সালাবাদে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১২ মার্চ, ১৯৮৭ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টে খেলেছিলেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ২৫টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন। পোর্ট অব স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালের নিজ শহরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৬/৫০ গড়েন।
মূল্যায়ন
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ত্রিনিদাদীয় পেসার টনি গ্রেগের আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবন অনেকাংশেই দূর্ভাগ্যজনক ছিল। টেস্টে তিনি ১৭.১৩ গড়ে সুন্দর বোলিং করেছিলেন। ভারতীয় উপমহাদেশে বেশ সফলতা পান। একদিনের আন্তর্জাতিকে ১৮ গড়ে উইকেট পেয়েছেন। প্রতি ২৮ বলে একটি করে উইকেট পেতেন। তবে, ক্রমাগত আঘাতপ্রাপ্তির পাশাপাশি ম্যালকম মার্শাল, জোয়েল গার্নার এবং পরবর্তীতে কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশ ও উদীয়মান ইয়ান বিশপের উত্থান তাকে পিছিয়ে দেয়। এরফলে, তার টেস্ট দলে পুনরায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা স্তিমিত হয়ে পড়ে।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন তিনি। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, বেতারে ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হিসেবে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ