ঝিনাইদহ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের একটি শহর। এটি একই সাথে ঝিনাইদহ জেলা ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার প্রশাসনিক সদরদপ্তর। ঝিনাইদহ নবগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত ঝিনাইদহ জেলার সবচেয়ে জনবহুল শহর এলাকা। এটি প্রশাসনিকভাবে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত। ঝিনাইদহের মোট আয়তন ৩২.৪২ বর্গকিলোমিটার এবং এর জনসংখ্যা ২,৫২,৫০০ জন, যা একে দেশের ১৯ তম বৃহৎ শহরের মর্যাদা দিয়েছে।[১] ঝিনাইদহ সড়ক ও রেল পথে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরের সাথে যুক্ত। জাতীয় মহাসড়ক এন৭ এ শহরকে বাইপাস করে গেছে।
গুরুত্বের দিক দিয়ে খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোরের পর খুলনা বিভাগের চতুর্থ বৃহত্তম শহর ঝিনাইদহ।
ইতিহাস
প্রাচীন কালের ঝিনুকদাহ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের তোরণ হিসেবে পরিচিত ঝিনাইদহ। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, মরমী কবি পাগলা কানাই, গণিত বিশারদ কেপিবসু, বিপ্লবী বাঘা যতীন এবং কবি গোলাম মোস্তফা এর স্মৃতি ধন্য ঝিনাইদহ। ঝিনাইদহ জেলা গঠিত হয় ২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪। ১৯৫৮ সালে ঝিনাইদহের প্রাণ কেন্দ্রে ২০টি মৌজার ৩২.৪২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ৯টি ওয়ার্ড সমন্বয়ে গ-শ্রেণীর ঝিনাইদহ পৌরসভা গঠিত হয়। ঝিনাইদহ পৌরসভা ১৯৮১ সালে খ - শ্রেণী এবং ১৯৯১ সালে ক -শ্রেণীতে উন্নীত হয়।
অবস্থান
ঝিনাইদহ রাজধানী ঢাকা থেকে ১৭৫ কি.মি. দুরে অবস্থিত।
জনসংখ্যা
২০২০ সালের ঝিনাইদহ পৌরসভার রেকর্ড অনুযায়ী ঝিনাইদহ শহরের মোট জনসংখ্যা ২,৫২,৫০০ জন।[২] যার মধ্যে ১২৮৩০০ জন পুরুষ এবং ১২৪২০০ জন নারী। এ শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৭৮০০ জন মানুষ বসবাস করে। শহরের মোট পরিবার রয়েছে ৬০,৯০০ টি।
গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
খুলনা বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষানগরী হিসাবে ঝিনাইদহ সুপরিচিত। ঝিনাইদহের উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে
এছাড়াও ঝিনাইদহ পৌর শহরের বাইরে শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,ঝিনাইদহ ভ্যাটেরনারি কলেজ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ রয়েছে।
দর্শনীয় স্থান
★ বৃহত্তম পোড়াপাড়া বাওড়, স্বরুপ পুর-মহেশপুর।
চিকিৎসা ব্যবস্থা
ঝিনাইদহ শহরে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল,৫০ শয্যা উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স ,চক্ষু হাসপাতাল,ডায়াবেটিক হাসপাতাল,শিশু হাসপাতাল সহ ৫০ টির ও অধিক বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে।
কৃতী/বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব
তথ্যসূত্র