জর্জ থমস
২০০২ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জর্জ থমস |
|
পূর্ণ নাম | জর্জ রোনাল্ড থমস |
---|
জন্ম | ২২ মার্চ, ১৯২৭ ফুটসক্রে, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া |
---|
মৃত্যু | ২৯ আগস্ট ২০০৩(2003-08-29) (বয়স ৭৬) মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৯২) | ২৫ জানুয়ারি ১৯৫২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
---|
|
---|
|
বছর | দল |
১৯৪৬/৪৭ - ১৯৫৩/৫৪ | ভিক্টোরিয়া |
---|
|
---|
|
|
|
---|
|
জর্জ রোনাল্ড থমস, ওএএম (ইংরেজি: George Thoms; জন্ম: ২২ মার্চ, ১৯২৭ - মৃত্যু: ২৯ আগস্ট, ২০০৩) ভিক্টোরিয়ার ফুটসক্রে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন জর্জ থমস। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।
প্রথম-শ্র্রেণীর ক্রিকেট
ভিক্টোরিয়ার ফুটসক্রে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জর্জ থমস মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। অধ্যয়নকালীন কলিন ম্যাকডোনাল্ডের সাথে মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরূপে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন।[১] এছাড়াও, কলিন ম্যাকডোনাল্ডের সাথে একত্রে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিতেন। কাকতালীয়ভাবে ১৯৫২ সালে টেস্ট, রাজ্য ও ক্লাব দলেও তাদেরকে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামানো হয়েছিল।
১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে ১৯৫৩-৫৪ মৌসুম পর্যন্ত জর্জ থমসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৪৬ সালে একটি খেলায় অংশ নেন। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে আরও আঠারোটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় তার অংশগ্রহণ ছিল। ফাস্ট বোলারদের রাজত্বকালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিন সেঞ্চুরি সহযোগে ৩৫ গড়ে রান পেয়েছেন।
১৯৫১-৫২ মৌসুমে পার্থে অনুষ্ঠিত প্রথম খেলায় ভিক্টোরিয়ার সদস্যরূপে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৫০ রান তুলেন। এটিই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল। এছাড়াও, ঐ মৌসুমের শেষদিকে ১২০ রান তুলেন। মেলবোর্নে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে এ সংগ্রহটি করেন। ৫৭.৮৮ গড়ে ৫২১ রান তুলে শেফিল্ড শিল্ড মৌসুম শেষ করেন।[২] ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে হোবার্টে তাসমানিয়ার বিপক্ষে ১৪০ রানের সেঞ্চুরি করেন। এ মৌসুমেই ২৬ বছর বয়সে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জর্জ থমস। ২৫ জানুয়ারি, ১৯৫২ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
জানুয়ারি, ১৯৫২ সালে রিচি বেনো’র সাথে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে তাদের একযোগে অভিষেক ঘটে।[৩] দর্শনীয়তার চেয়ে খাঁটিমানের ব্যাটিং করে ১৬ ও ২৮ রান তুলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি হিট উইকেটে আউট হন। ফ্রাঙ্ক ওরেলের বলে চার মারতে গিয়ে স্ট্যাম্প স্পর্শ করেন।
মূল্যায়ন
রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমায় খেলায় অংশগ্রহণই তার প্রধান ভরসা। তার ভিক্টোরিয়ার দলনেতা লিন্ডসে হ্যাসেট মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘তোমাকে মধ্যাহ্ন ভোজনে কিংবা নতুন বল নেয়ার সময় দেখতে চাই।’ - এ কথাগুলো পরবর্তীতে এক স্বাক্ষাৎকারে জর্জ থমস জানিয়েছেন।
প্রখ্যাত ক্রিকেট ঐতিহাসিক জনি ময়েস তার সম্পর্কে উল্লেখ করেছিলেন যে, খেলোয়াড় হিসেবে তিনি নেতিবাচক মনোভাবের অধিকারী ছিলেন। প্রত্যেক অধিনায়কই তাকে নিচেরদিকে নামাতে বাধ্য হবেন। এ ধরনের ব্যাটসম্যানের কোন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা নেই। বিস্মিত হবার কোন কারণই নেই যে, তার প্রথম টেস্টই সর্বশেষ টেস্ট ছিল।[৪]
ব্যক্তিগত জীবন
প্রতিনিধিত্বমূলক ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নিয়ে চিকিৎসাশাস্ত্রে মনোনিবেশ ঘটান। সর্বদাই হাতের আঘাতপ্রাপ্তির সমূহ সম্ভাবনায় তটস্থ থাকতেন ও চিকিৎসক হিসেবে তার অভিলাষ শেষ হয়ে যেতে পারে।[৫] ধারণা করা হয় যে, একমাত্র টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে তিনি স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। ১৯৭০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ায় লেজার সার্জারির প্রবর্তন করেন। ১৯৯৬ সালে অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া মেডেল পদবীধারী হন। তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা জিম থমস প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলার ও টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নধারী ছিলেন।
১৯৫০ ও ১৯৫১ সালে সময়কালে ভিএফএল আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। ভিক্টোরিয়ায় বিভিন্ন লীগে ১৬টি অস্ট্রেলীয় ফুটবল খেলায় মাঠে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, জুন, ১৯৫১ সালে একটি ভিএফএল সেকেন্ড এইটিন্সের খেলায় কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।
১১ জুলাই, ২০০৩ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত ১৫০ জন অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এর এক সপ্তাহ পর ২৯ আগস্ট, ২০০৩ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্ন এলাকায় জর্জ থমসের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
গ্রন্থপঞ্জি
- Moyes, A.G.: Australian Batsmen: from Charles Bannerman to Neil Harvey (Harrap, 1954).