চাকদহ রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের শিয়ালদহ - রানাঘাট রেলপথের একটি রেলওয়ে স্টেশন। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার চাকদহ স্টেশন রোডে অবস্থিত।
অবস্থান
চাকদহ রেলওয়ে স্টেশন নদীয়া জেলার চাকদহ শহরে অবস্থিত। এই স্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশন হল - পায়রাডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন এবং পূর্ববর্তী স্টেশন হল - পালপাড়া রেলওয়ে স্টেশন।
ইতিহাস
শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট পর্যন্ত ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে প্রধান লাইনটি ১৮৬২ সালে খোলা হয় এবং দুই মাসের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় প্রসারিত হয়।[১][২]
রেলপথ
চাকদহ রেলওয়ে স্টেশনটি কলকাতা জেলা, উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা ও নদীয়া জেলার মধ্যে বিস্তৃত শিয়ালদহ - রানাঘাট রেলপথের মধ্যে অবস্থিত। এই রেলপথে শিয়ালদহ থেকে নৈহাটি জংশন পর্যন্ত ৪ টি এবং নৈহাটি জংশন-রাণাঘাট পর্যন্ত বর্তমানে দুটি ট্র্যাক রয়েছে। [৩]
শিয়ালদহ - রাণাঘাট রেলপথের অন্তর্গত এই স্টেশনের ট্র্যাকটি সি-শ্রেনির ট্র্যাক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে, যা গতির শ্রেণিবিন্যাস নয়, তবে মহানগর এলাকার শহরতলি রেল পরিষেবার জন্য ব্যবহৃত হয়। [৪]
পরিকাঠাম
স্টেশনটির পরিকাঠাম ভূমিগত। এই স্টেশনে ২ টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। চাকদহ রেলওয়ে স্টেশনে ২ টি রেললাইন বা রেলট্র্যাক রয়েছে। স্টেশনে স্টেশন পরিচালনার জন্য ভবন ও স্টেশন মাষ্টারে ভবন ১ নং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেই অবস্থিত। যাত্রীদের রেল ভ্রমণের জন্য টিকিট স্টেশনের টিকিট ঘর থেকে প্রদান করা হয়। স্টেশনে যাত্রী সুবিধার জন্য বসার আসন, প্ল্যাটফর্ম ছাউনি, পানীয় জল এর ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেশনে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই।
চাকদহ রেলওয়ে স্টেশন ব্যাগ বা যাত্রীদের দ্বারা বহন করা জিনিসপত্রের পরীক্ষায় ব্যবস্থা নেই।
বৈদ্যুতীকরণ
চাকদহ রেলওয়ে স্টেশনের রেলপথে বৈদ্যুতীক ট্রেন চলাচল করে। ১৯৬৩-১৯৬৫ সালে এই রেলপথে বৈদ্যুতীকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল।
রেল পরিষেবা
এই স্টেশনটি স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রেল পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এই স্টেশনের দ্বারা রানাঘাট, কল্যাণী সীমান্ত, গেদে এবং শিয়ালদা ও মাঝেরহাটগামী ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এই স্টেশনে কলকাতা শহরতলি রেলের লোকাল ট্রেনগুলি রেল যাত্রীদের পরিষেবা প্রদান করে থাকে।
প্রশাসন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা
চাকদহ রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতীয় রেলের পূর্ব রেল অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের অন্তর্গত। স্টেশন পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব স্টেশনের প্রধান "স্টেশন মাষ্টার" - এর উপর ন্যস্ত। এছাড়া স্টেশনের নিরাপত্তার জন্য অস্থায়ী ভাবে ভ্রাম্যমাণ জিআরপি কর্মী নিযুক্ত রয়েছে এবং স্টেশন চত্বর ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রদান করে থাকে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ