ক্লেম উইলসন
আনুমানিক ১৮৯৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ক্লেম উইলসন |
|
পূর্ণ নাম | ক্লিমেন্ট ইউস্টেস ম্যাক্রো উইলসন |
---|
জন্ম | (১৮৭৫-০৫-১৫)১৫ মে ১৮৭৫ বলস্টারস্টোন, স্টকব্রিজ, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড |
---|
মৃত্যু | ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪(1944-02-08) (বয়স ৬৮) ক্যালভারহল, শ্রোপশায়ার, ইংল্যান্ড |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স, ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম |
---|
ভূমিকা | বোলার |
---|
সম্পর্ক | আরসি থর্প (দাদা); আরএ উইলসন (ভ্রাতা) ও ইআর উইলসন (ভ্রাতা); ডিসি উইলসন (ভ্রাতৃষ্পুত্র) |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১১৯) | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা |
---|
শেষ টেস্ট | ১ এপ্রিল ১৮৯৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা |
---|
|
---|
|
|
|
---|
|
রেভারেন্ড ক্লিমেন্ট ইউস্টেস ম্যাক্রো উইলসন (ইংরেজি: Clem Wilson; জন্ম: ১৫ মে, ১৮৭৫ - মৃত্যু: ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৪) স্টকব্রিজের বলস্টারস্টোন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী শৌখিন ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। এছাড়াও, ইংল্যান্ড চার্চের পাদ্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স ও ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন ক্লেম উইলসন।
শৈশবকাল
আপিংহাম স্কুলে অধ্যয়ন করেন। এরপর কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি হন। ১৮৯৯ সালে স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করার পর ১৯০৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।
১৮৯১ সালে মাঝারিমানের সফলতা পান। তবে, ঐ সময়ের সেরা কোচ এইচ. এইচ. স্টিফেনসনের সুযোগ্য তত্ত্বাবধানে বেশ লাভবান হন তিনি। ১৮৯৩ সালে ৭২২ রান সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে, ১১৭, ১৪৫ ও অপরাজিত ১৮৩ রানের ধারাবাহিক তিনটি ইনিংস ছিল তার। শেষের ইনিংসটিতে রেপ্টনের বিপক্ষে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেছিলেন তিনি। ঐ মৌসুমে ৯০.২৫ রান তুললেও অধিনায়ক হিসেবে ৪৪.২০ গড়ে রান পেয়েছিলেন। এছাড়াও, ১৮৯৩ সালে বোলিং গড়ে শীর্ষস্থানে ছিলেন। উভয় হাতেই কার্যকর বোলিংয়ে সক্ষম ছিলেন। ১৮৯৫ সালে ওভালে ববি অ্যাবল ও হল্যান্ড কেমব্রিজের আক্রমণকে রুখে দিয়ে রানের ফুলঝুড়ি ছোটাতে থাকেন। তৃতীয় উইকেটে ৩০৬ রান উঠলে তিনি বামহাতে বোলিং করে ফিরতি ক্যাচে এ জুটি ভাঙ্গেন।
১৮৯৫ থেকে ১৮৯৮ সময়কালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন ক্লেম উইলসন। তন্মধ্যে, শেষ বছরটিতে অধিনায়কত্ব করেন ও ব্লুধারী হন।[১] কেমব্রিজ দলে চার বছরই নেতৃত্ব দেন। লর্ডসে অক্সফোর্ডের বিপক্ষে উপর্যুপরী চার খেলায় অংশ নিয়ে ৩৫, ৮০, ৭৭ ও ১১৫ রান তুলেন। উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে - সহোদর ভ্রাতা ই. রকলি উইলসন ১৯০১ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় ১১৮ রান তুলেছিলেন। কেমব্রিজের পক্ষে দুই ভাইয়ের একত্রে সেঞ্চুরি করার এটিই একমাত্র ঘটনা। অন্যদিকে, অক্সফোর্ডের পক্ষে ১৮৯৫ সালে এইচ. কে. ফস্টার ১২১ রানের ইনিংস খেলার পর ১৯০০ সালে আর. ই. ফস্টার ১৭১ রান তুলেছিলেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৮৯৫ সাল থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত ক্লেম উইলসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালেই ১৮৯৬ থেকে ১৮৯৯ সাল পর্যন্ত ইয়র্কশায়ারের পক্ষে খেলেন।[২] ইয়র্কশায়ারে অবস্থানকালে ক্লেম উইলসন খুব কমই সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। দশটি ইনিংসে ২৫.৬০ গড়ে রান তুলেন। তন্মধ্যে, ১৮৯৭ সালে ক্যান্টারবারিতে কেন্টের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯১ রান তুলেছিলেন। এ সংগ্রহটি খেলার সর্বোচ্চ ছিল। গীর্জায় নিযুক্তি লাভের ফলে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে তাকে নিবৃত্ত থাকতে হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ক্লেম উইলসন। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ তারিখে জোহেন্সবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১ এপ্রিল, ১৮৯৯ তারিখে কেপটাউনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে লর্ড হকের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনের উদ্দেশ্যে ইংরেজ দলে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ তারিখে জোহেন্সবার্গের ওল্ড ওয়ান্ডারার্সে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের পক্ষে পেলহাম ওয়ার্নার, জনি টিল্ডসলে, ক্লেম উইলসন, উইলিস কাটেল, ফ্রাঙ্ক মিলিগান, জ্যাক বোর্ড ও শোফিল্ড হেই এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ফ্রাঙ্ক মিচেল, ভিনসেন্ট ট্যানক্রেড, হাওয়ার্ড ফ্রান্সিস, রবার্ট ডোয়ার, মারে বিসেট, উইলিয়াম সলোমন ও রবার্ট গ্রাহামের একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ খেলায় তার দল ৩২ রানে জয় পেয়েছিল।
৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৪ তারিখে ৬৯ বছর বয়সে শ্রোপশায়ারের ক্যালভারহল এলাকায় ক্লেম উইলসনের দেহাবসান ঘটে। তার ভ্রাতা রকলি উইলসন ইয়র্কশায়ার ও ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রোল্যান্ড কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বল্প সময়ের জন্যে খেলেছেন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ